ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় প্রশাসনের প্রহসন করছে বলে অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে মৌন অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২৮ জুলাই) সাড়ে ৩টার দিকে প্রশাসন ভবন চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে ‘সাজিদ তো কবরে, এরপর কি আপনি-আমি?’, ‘ময়না তদন্তের রিপোর্ট চাই!’, ‘লন্ডন কেমন দেখলেন স্যার?’, ‘প্রশাসনের প্রহসন মানি না মানবো না’, ‘তুমি কে আমি কে, সাজিদ সাজিদ’, ‘তদন্তের অগ্রগতি কতদূর স্যার?’, ‘লাশ ভাসার দশ দিন পর আসায় ধন্যবাদ স্যার!’, ‘next tour কোথায় স্যার?’ ইত্যাদি লেখা সম্বলিত প্লাকার্ড দেখা যায়। 

আরো পড়ুন:

রাকসু: দীর্ঘ ৩৫ বছর অপেক্ষার অবসান ঘটাবে যে নির্বাচন

এক বছরেই ‘সমন্বয়ক’ রিয়াদের ভাগ্য বদল, গুলশানে গ্রেপ্তারের পর কানাঘুষা তুঙ্গে

শিক্ষার্থীরা বলেন, সাজিদ আব্দুল্লাহর মৃত্যু স্বাভাবিক কোনো মৃত্যু নয়। ময়না তদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদনে এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, পুকুরে ডুবে তার মৃত্যু হয়নি। তাকে অবশ্যই হত্যা করা হয়েছে। সাজিদের লাশ দীর্ঘ সময় ভেসে থাকলেও সেখানে প্রশাসনের কাউকে পাওয়া যায়নি।

তারা বলেন, তার মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানানোর সময়ও প্রশাসন লিখিত দিতে চায়নি। প্রশাসনের এই প্রহসন আমরা মেনে নিতে পারছি না। আমরা অতিদ্রুত সাজিদের মৃত্যুর ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশের দাবি জানাই। 

তারা আরো বলেন, উপাচার্য স্যার দেশের বাইরে ছিলেন। কিন্তু সেখানে বসেও তো তিনি সাজিদের পরিবার বা কাছের বন্ধুবান্ধবদের সাথে কথা বলতে পারতেন, শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে একটা ভিডিও বার্তা দিতে পারতেন। আমরা এটাও জেনেছি, এটা তার কোনো সরকারি সফর ছিল না। তিনি চাইলেই তার সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে আসতে পারতেন, কিন্তু তিনি করেননি। প্রশাসনের আচরণে আমাদের এমনটা মনে হচ্ছে, যেন কিছুই হয়নি। প্রশাসনের এমন উদাসীন আচরণের প্রতিবাদে আজ আমাদের এই মৌন অবস্থান কর্মসূচি।

গত ১৭ জুলাই বিকেল সাড়ে ৬টায় শাহ আজিজুর রহমান হল পুকুর থেকে আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ বর্ষের শিক্ষার্থী সাজিদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর থেকে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। তবে মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে চলতি সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত কমিটির পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশ করার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ তদন ত র প রহসন

এছাড়াও পড়ুন:

ওয়েস্ট ইন্ডিজের অদ্ভুত রেকর্ড, আবার হারল অস্ট্রেলিয়ার কাছে

গত ম্যাচের নায়ক ছিলেন টিম ডেভিড। তাঁর রেকর্ড সেঞ্চুরিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২১৪ রান ২৩ বল বাকি থাকতেই তাড়া করেছিল অস্ট্রেলিয়া। তাতে সিরিজজয় নিশ্চিত হয়ে গেছে বলে আজ আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচে তাঁকে বিশ্রাম দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তবে ডেভিড না থাকলেও আরেকবার ২০০ রান তাড়া করতে খুব বেশি সমস্যা হয়নি অস্ট্রেলিয়ার।

সেন্ট কিটসে সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ২০৬ রানের লক্ষ্যে ৩ উইকেট ও ৪ বল বাকি থাকতে পেরিয়েছে মিচেল মার্শের দল। এ নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে সপ্তমবার ২০০ বা এর বেশি রান তুলেও হারল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, যে বিব্রতকর রেকর্ড আর কোনো দলের নেই।

আগের ম্যাচে ডেভিড যেমন ৩৭ বলে সেঞ্চুরি করে অস্ট্রেলিয়ান রেকর্ড গড়েছেন, আজ কেউ তেমন কিছু করতে পারেননি। জশ ইংলিশ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও ক্যামেরন গ্রিনদের মাঝারি কিন্তু বিধ্বংসী ইনিংসই দলকে লক্ষ্যে পৌঁছে দিয়েছে। শুরুটা যদিও ভালো ছিল না। শূন্য রানেই ফেরেন অধিনায়ক মার্শ। পাওয়ার প্লেতে এরপর ঝড় তোলার দায়িত্ব নেন ইংলিশ ও ম্যাক্সওয়েল। ৩০ বলে ৫১ রান করে ইংলিশ যখন আউট হন, তখন অস্ট্রেলিয়ার রান ৬.১ ওভারে ৬৬।

পাওয়ার প্লের পরের চার ওভারে ঝড় তোলেন ম্যাক্সওয়েল। ১৮ বলে ৬ ছক্কা ও ১ চারে করেন ৪৭ রান। এই ৪ ওভারে তিনি ছক্কা মেরেছেন ৫টি। অস্ট্রেলিয়াকে ১০.১ ওভারে ১২৯ রানে ম্যাক্সওয়েল ফেরেন বলে। এরপর গ্রিন খেলেছেন পরিস্থিতির মেজাজ বুঝে। ৩০ বলে করেছেন ফিফটি, মাঠ ছেড়েছেন দল জিতিয়ে।

অস্ট্রেলিয়ার দারুণ পারফরম্যান্সের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হারের পেছনে তাদের বাজে ফিল্ডিংও কম দায়ী নয়। তিনটি ক্যাচ মিসের সঙ্গে বেশ কয়েকটি ফিল্ডিংও মিস করেছেন ক্যারিবীয়রা। এই জয়ে ৫ ম্যাচের সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ৪-০ তে এগিয়ে গেল।

এর আগে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০৫ রান তুলেছিল ‘সমবায় পদ্ধতিতে’। মানে কারও অবদান খুব বেশিও না, কমও না। রোস্টন চেজকে হিসাবের বাইরে রাখতে হবে, তিনি আউট হয়েছেন শূন্য রানে। বাকি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান এসেছে শেরফান রাদারফোর্ডের কাছ থেকে, ৩১ রান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ রান এসেছে রোমারিও শেফার্ড ও রোভম্যান পাওয়েলের ব্যাট থেকে।

কোনো ব্যাটসম্যান ৩২ রানও করতে পারেননি, এমন টি-টোয়েন্টি ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২০৫ রানই সর্বোচ্চ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে কোনো ফিফটি ছাড়া সর্বোচ্চ রান অস্ট্রেলিয়ার। ২০০৭ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২২১ রান করেছিল তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষককে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার
  • লাইভ কনসার্টে পোশাক বিড়ম্বনায় জেনিফার লোপেজ (ভিডিও)
  • কুয়েট শিক্ষক সমিতির আন্দোলন স্থগিত, ১৬০ দিন পর মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে ক্লাস
  • ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থও দেখতে হবে
  • গিল-সুন্দর-জাদেজার সেঞ্চুরিতে ভারতের জয়ের সমান এক ড্র
  • নতুন উপাচার্যের যোগদানে কুয়েটে অচলাবস্থা নিরসনের প্রত্যাশা
  • ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে চাঁদাবাজি: গ্রেপ্তার ৪ জনের ৭ দিনের রিমান্ড
  • জনতা ব্যাংকের ২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ: দুদকে অধ্যাপক বারকাতকে জিজ্ঞাসাবাদ
  • ওয়েস্ট ইন্ডিজের অদ্ভুত রেকর্ড, আবার হারল অস্ট্রেলিয়ার কাছে