সাজিদের মৃত্যু নিয়ে ইবি প্রশাসনের প্রহসনের অভিযোগ
Published: 28th, July 2025 GMT
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় প্রশাসনের প্রহসন করছে বলে অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে মৌন অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৮ জুলাই) সাড়ে ৩টার দিকে প্রশাসন ভবন চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে ‘সাজিদ তো কবরে, এরপর কি আপনি-আমি?’, ‘ময়না তদন্তের রিপোর্ট চাই!’, ‘লন্ডন কেমন দেখলেন স্যার?’, ‘প্রশাসনের প্রহসন মানি না মানবো না’, ‘তুমি কে আমি কে, সাজিদ সাজিদ’, ‘তদন্তের অগ্রগতি কতদূর স্যার?’, ‘লাশ ভাসার দশ দিন পর আসায় ধন্যবাদ স্যার!’, ‘next tour কোথায় স্যার?’ ইত্যাদি লেখা সম্বলিত প্লাকার্ড দেখা যায়।
আরো পড়ুন:
রাকসু: দীর্ঘ ৩৫ বছর অপেক্ষার অবসান ঘটাবে যে নির্বাচন
এক বছরেই ‘সমন্বয়ক’ রিয়াদের ভাগ্য বদল, গুলশানে গ্রেপ্তারের পর কানাঘুষা তুঙ্গে
শিক্ষার্থীরা বলেন, সাজিদ আব্দুল্লাহর মৃত্যু স্বাভাবিক কোনো মৃত্যু নয়। ময়না তদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদনে এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, পুকুরে ডুবে তার মৃত্যু হয়নি। তাকে অবশ্যই হত্যা করা হয়েছে। সাজিদের লাশ দীর্ঘ সময় ভেসে থাকলেও সেখানে প্রশাসনের কাউকে পাওয়া যায়নি।
তারা বলেন, তার মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানানোর সময়ও প্রশাসন লিখিত দিতে চায়নি। প্রশাসনের এই প্রহসন আমরা মেনে নিতে পারছি না। আমরা অতিদ্রুত সাজিদের মৃত্যুর ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশের দাবি জানাই।
তারা আরো বলেন, উপাচার্য স্যার দেশের বাইরে ছিলেন। কিন্তু সেখানে বসেও তো তিনি সাজিদের পরিবার বা কাছের বন্ধুবান্ধবদের সাথে কথা বলতে পারতেন, শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে একটা ভিডিও বার্তা দিতে পারতেন। আমরা এটাও জেনেছি, এটা তার কোনো সরকারি সফর ছিল না। তিনি চাইলেই তার সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে আসতে পারতেন, কিন্তু তিনি করেননি। প্রশাসনের আচরণে আমাদের এমনটা মনে হচ্ছে, যেন কিছুই হয়নি। প্রশাসনের এমন উদাসীন আচরণের প্রতিবাদে আজ আমাদের এই মৌন অবস্থান কর্মসূচি।
গত ১৭ জুলাই বিকেল সাড়ে ৬টায় শাহ আজিজুর রহমান হল পুকুর থেকে আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ বর্ষের শিক্ষার্থী সাজিদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর থেকে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। তবে মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে চলতি সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত কমিটির পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশ করার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।
ঢাকা/তানিম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ তদন ত র প রহসন
এছাড়াও পড়ুন:
যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা
রাজধানীতে হাত ও পা বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে আনোয়ার হোসেন (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ীর কাউন্সিল শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বিদ্যুৎমিস্ত্রি ছিলেন আনোয়ার হোসেন। তাঁর কর্মস্থল ছিল পুরান ঢাকার সদরঘাটে। পারিবারিক সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে রাজধানীর মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকতেন।
আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ভোরে আনোয়ার বাসা থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পরে খবর পান, তাঁর ভাইকে কাউন্সিল উত্তর শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির গ্যারেজে নিয়ে হাত–পা বেঁধে রাখা হয়েছে। এরপর সেখানে গিয়ে আনোয়ারের হাত–পা বাঁধা ও রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান তাঁর মা।
লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছে বলে মৃত্যুর আগের তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন আনোয়ার। তাঁর ভাই এ কথা জানিয়ে বলেন, এর কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। এরপর যাত্রাবাড়ীর থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে সঙ্গী সুমনকে নিয়ে আনোয়ার বাসের কাঠামো তৈরির কারখানায় চুরি করতে যান। এ সময় সেখানে থাকা লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাঁর সঙ্গী সুমন পালিয়ে যান।