জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের পরিবারের জন্য আবাসন প্রকল্পে অনিয়মের খবরকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর ও রাষ্ট্রীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নকারী বলে মন্তব্য করে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

সোমবার (২৮ জুলাই) মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রকাশিত প্রতিবেদনের মূল তথ্য অসত্য এবং প্রকল্পের বাস্তব চিত্রের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। প্রকল্পে ‘পিলার’ নামের কোনো আইটেমই নেই। লিফট, সাব-স্টেশন, পাম্পসহ যেসব সরঞ্জামের অতিরিক্ত দামের অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা অনুমোদিত দর-তালিকার মধ্যেই রয়েছে।

পিলার নেই, অনুমোদিত দরেই বরাদ্দ
জনকণ্ঠসহ কয়েকটি গণমাধ্যমে ২৭ জুলাই প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, ৯০০ টাকার পিলার দেখানো হয়েছে ৪০ হাজার টাকায়, ২৫ লাখ টাকার লিফট কেনা হচ্ছে ৯২ লাখ টাকায়, সাব-স্টেশন ও পানির পাম্পেও ৪-৫ গুণ ব্যয় করা হয়েছে। 

ব্যাখ্যায় গৃহায়ণ মন্ত্রণালয় বলেছে, প্রকল্পের প্রাক্কলন ‘গণপূর্ত অধিদপ্তরের ২০২২ সালের (সংশোধিত) সর্বশেষ রেট সিডিউল’ অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে। প্রকল্পের ২১টি উপাদানের মধ্যে কোথাও ‘পিলার’ নামে কোনো আইটেম নেই।

লিফটের খরচের বিষয়ে ব্যাখ্যায় মন্ত্রণালয় বলেছে, প্রকল্পে রয়েছে ২ মিটার/সেকেন্ড গতির ১৪ স্টপ যুক্ত উন্নতমানের ছয়টি ও ১০ স্টপের ১২টি ১০০০ কেজি ধারণক্ষমতার বেড লিফট এবং ১৪ স্টপের ১২টি প্যাসেঞ্জার লিফট।

সাব-স্টেশন ও পানির পাম্প সম্পর্কে জানানো হয়, ছয়টি ১০০০ কেভিএ ও ১২টি ২৫০ কেভিএ সাব-স্টেশন, ২০ হর্স পাওয়ারের ১২টি এবং ১০ হর্স পাওয়ারের ২৪টি সেন্ট্রিফিউগাল পাম্পসহ প্রয়োজনীয় আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম সংযোজিত হয়েছে।
চার সদস্যবিশিষ্ট গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রাক্কলন বিশেষজ্ঞ দল এসব ব্যয়ের যৌক্তিকতা যাচাই করে বলেছে, ডিপিপিতে উল্লেখিত লিফট, সাব-স্টেশন, পাম্প-মোটর ও সীমানা প্রাচীরের রেট যথাযথ এবং বর্তমান রেট সিডিউলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

স্বচ্ছতা নিশ্চিতে বুয়েটের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি
গণমাধ্যমে ওঠা অভিযোগ আরো খতিয়ে দেখতে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল হাসিব চৌধুরীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন অধ্যাপক ড.

ইশতিয়াক আহমেদ, অধ্যাপক ড. খান মাহমুদ আমানত, স্থপতি ড. আবু সাঈদ মোশতাক আহমেদ এবং ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের একজন প্রতিনিধি। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

ঢাকা/এএএম/রাসেল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রকল প গণপ র ত

এছাড়াও পড়ুন:

উৎসব ঘুরে প্রেক্ষাগৃহে ‘বাড়ির নাম শাহানা’

কৈশোর পেরোনোর আগেই শাহানাবাড়ির মেয়ে দীপার বিয়ে হয়ে যায়। স্বামীর নির্যাতনের জাল ছিঁড়ে নিজের মতো করে বাঁচতে চেয়েছেন তিনি। নব্বইয়ের দশকের পটভূমিতে দীপার বেঁচে থাকার লড়াইয়ের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বাড়ির নাম শাহানা।

সত্য কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত বাড়ির নাম শাহানায় দীপা চরিত্রে অভিনয় করেছেন আনান সিদ্দিকা। ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে কমলা কালেক্টিভ ও গুপী বাঘা প্রোডাকশন্স লিমিটেড।

নির্মাণের বাইরে লীসা গাজী লেখক, নাট্যকর্মী হিসেবে পরিচিত

সম্পর্কিত নিবন্ধ