জুলাই শহীদ পরিবারদের ফ্ল্যাট প্রকল্পে ‘অনিয়মের খবর ভিত্তিহীন’: মন্ত্রণালয়
Published: 29th, July 2025 GMT
জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের পরিবারের জন্য আবাসন প্রকল্পে অনিয়মের খবরকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর ও রাষ্ট্রীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নকারী বলে মন্তব্য করে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
সোমবার (২৮ জুলাই) মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রকাশিত প্রতিবেদনের মূল তথ্য অসত্য এবং প্রকল্পের বাস্তব চিত্রের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। প্রকল্পে ‘পিলার’ নামের কোনো আইটেমই নেই। লিফট, সাব-স্টেশন, পাম্পসহ যেসব সরঞ্জামের অতিরিক্ত দামের অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা অনুমোদিত দর-তালিকার মধ্যেই রয়েছে।
পিলার নেই, অনুমোদিত দরেই বরাদ্দ
জনকণ্ঠসহ কয়েকটি গণমাধ্যমে ২৭ জুলাই প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, ৯০০ টাকার পিলার দেখানো হয়েছে ৪০ হাজার টাকায়, ২৫ লাখ টাকার লিফট কেনা হচ্ছে ৯২ লাখ টাকায়, সাব-স্টেশন ও পানির পাম্পেও ৪-৫ গুণ ব্যয় করা হয়েছে।
ব্যাখ্যায় গৃহায়ণ মন্ত্রণালয় বলেছে, প্রকল্পের প্রাক্কলন ‘গণপূর্ত অধিদপ্তরের ২০২২ সালের (সংশোধিত) সর্বশেষ রেট সিডিউল’ অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে। প্রকল্পের ২১টি উপাদানের মধ্যে কোথাও ‘পিলার’ নামে কোনো আইটেম নেই।
লিফটের খরচের বিষয়ে ব্যাখ্যায় মন্ত্রণালয় বলেছে, প্রকল্পে রয়েছে ২ মিটার/সেকেন্ড গতির ১৪ স্টপ যুক্ত উন্নতমানের ছয়টি ও ১০ স্টপের ১২টি ১০০০ কেজি ধারণক্ষমতার বেড লিফট এবং ১৪ স্টপের ১২টি প্যাসেঞ্জার লিফট।
সাব-স্টেশন ও পানির পাম্প সম্পর্কে জানানো হয়, ছয়টি ১০০০ কেভিএ ও ১২টি ২৫০ কেভিএ সাব-স্টেশন, ২০ হর্স পাওয়ারের ১২টি এবং ১০ হর্স পাওয়ারের ২৪টি সেন্ট্রিফিউগাল পাম্পসহ প্রয়োজনীয় আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম সংযোজিত হয়েছে।
চার সদস্যবিশিষ্ট গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রাক্কলন বিশেষজ্ঞ দল এসব ব্যয়ের যৌক্তিকতা যাচাই করে বলেছে, ডিপিপিতে উল্লেখিত লিফট, সাব-স্টেশন, পাম্প-মোটর ও সীমানা প্রাচীরের রেট যথাযথ এবং বর্তমান রেট সিডিউলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
স্বচ্ছতা নিশ্চিতে বুয়েটের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি
গণমাধ্যমে ওঠা অভিযোগ আরো খতিয়ে দেখতে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল হাসিব চৌধুরীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন অধ্যাপক ড.
ঢাকা/এএএম/রাসেল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রকল প গণপ র ত
এছাড়াও পড়ুন:
বাহরাইনের প্রতি বাংলাদেশিদের জন্যে ভিসা চালুর অনুরোধ
ব্যবসায়ী, পেশাজীবী, দক্ষ ও আধা দক্ষ শ্রমিকসহ বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা সুবিধা পুনরায় চালু করতে বাহরাইনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
উপদেষ্টা দু’দেশের জনগণের সম্পর্ক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্যে ভিসা পুনরায় চালুর এ অনুরোধ জানান।
বাহরাইনে ২১তম আইআইএসএস মানামা সংলাপের ফাঁকে শনিবার (১ নভেম্বর) দেশটির উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল বিন খালিফা আল ফাদেলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেন তিনি। এ সময়ে ভিসা পুনরায় চালুর অনুরোধটি জানান উপদেষ্টা।
রবিবার (২ নভেম্বর) ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে তৌহিদ হোসেন কমিউনিটির কল্যাণ নিশ্চিত এবং সামাজিক সম্পর্ক মজবুতের লক্ষ্যে বাহরাইনে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ‘ফ্যামিলি ভিসা’ প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করারও অনুরোধ জানান।
বাহরাইনের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশটির অর্থনীতিতে বাংলাদেশের নাগরিকদের অবদানের প্রশংসা করেন। তিনি জানান, তার দেশের সরকার ধাপে ধাপে ভিসা সুবিধা পুনরায় চালুর জন্য কাজ করছে।
বৈঠকে উভয়ে দু’দেশের দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের হস্তান্তরে একটি চুক্তি সম্পাদনের সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেন।
তৌহিদ হোসেন ২১তম মানামা সংলাপের অধিবেশনের পাশপাশি আরো কিছু অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন। এসব আয়োজনে বিশ্ব নেতা, বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও নীতি নির্ধারকরা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করবেন।
তথ্যসূত্র: বাসস
ঢাকা/ইভা