ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন করলেন ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের প্রতিনিধিরা
Published: 29th, July 2025 GMT
গাজীপুরের চন্দ্রায় দেশের সুপারব্র্যান্ড ও ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটনের হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন করেছেন ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের ১২১ সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল।
এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে ছিলেন বিভিন্ন দেশ থেকে মনোনিত বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে এনডিসি কোর্স করার জন্য আগত ২৯ জন উচ্চ পর্যায়ের সামরিক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪জন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর উচ্চপদস্থ ৭ জন সামরিক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ১৩ জন জয়েন্ট সেক্রেটারি, বাংলাদেশ পুলিশের ১ জন কমিশনার ও ৩ জন ডিআইজি।
সোমবার (২৮ জুলাই, ২০২৫) সকালে অতিথিরা ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে পৌঁছালে তাদের স্বাগত জানান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউসুফ আলী, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও মো.
আরো পড়ুন:
এবার ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে ওয়ালটনের ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ
বিমান বিধ্বস্ত: দেশজুড়ে ওয়ালটন প্লাজায় মিলাদ ও দোয়া
অতিথিরা ফ্যাক্টরিতে আগমনের পর তাদের উদ্দেশ্যে স্বাগত বক্তব্য দেন অ্যাডমিন হেড মেজর (অব.) জাহিদুল হাসান।
এরপর অতিথিরা ওয়ালটনের ভিডিও ডকুমেন্টারি, গ্লোবাল বিজনেস প্রেজেন্টেশন উপভোগ করেন এবং ওয়ালটন সম্পর্কিত প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নিয়ে ওয়ালটনের প্রোডাক্টস লাইন, বৈশ্বিক বাজারসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত অবহিত হন। অতিথিদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন ভারতীয় নৌবাহিনীর কর্মকর্তা প্রোমোদ জর্জ থমাস।
প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টারে ওয়ালটনের তৈরি সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার সমৃদ্ধ এসি দেখেছেন অতিথিরা
অতিথিরা ওয়ালটনের সুসজ্জিত প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টারসহ পরিবেশবান্ধব সর্বাধুনিক প্রযুক্তির রেফ্রিজারেটর, ভিআরএফ এসি, মোল্ড অ্যান্ড ডাই প্রোডাকশন প্ল্যান্ট এবং হেডকোয়ার্টার্সের বিশাল আউটডোর এরিয়া ঘুরে দেখেন।
সে সময় তারা ওয়ালটনের আন্তর্জাতিক মানের প্রোডাকশন লাইন ও সুবিশাল গ্রীণ ফ্যাক্টরি দেখে অভিভূত হন। তারা ওয়ালটন ব্র্যান্ডের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন এবং ওয়ালটন কর্তৃপক্ষের আতিথিয়তার ভূয়সী প্রশংসা করে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
ঢাকা/এসবি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।
এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন:
‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’
বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন
জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।
তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।
কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”
গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী