গাজীপুরের চন্দ্রায় দেশের সুপারব্র্যান্ড ও ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটনের হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন করেছেন ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের ১২১ সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল।

এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে ছিলেন বিভিন্ন দেশ থেকে মনোনিত বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে এনডিসি কোর্স করার জন্য আগত ২৯ জন উচ্চ পর্যায়ের সামরিক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪জন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর উচ্চপদস্থ ৭ জন সামরিক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ১৩ জন জয়েন্ট সেক্রেটারি, বাংলাদেশ পুলিশের ১ জন কমিশনার ও ৩ জন ডিআইজি।

সোমবার (২৮ জুলাই, ২০২৫) সকালে অতিথিরা ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে পৌঁছালে তাদের স্বাগত জানান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউসুফ আলী, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও মো.

জিয়াউল আলম, এফসিএ, এসিএ (আইসিএইডব্লিউ), ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাজ্জাদ হোসেন, হেড অব অ্যাডমিন মেজর (অব.) জাহিদুল হাসান, হেড অব এইচআর কাওসার উদ্দিন চৌধুরী এবং হেড অব গ্লোবাল বিজনেস আব্দুর রউফ প্রমুখ।

আরো পড়ুন:

এবার ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে ওয়ালটনের ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ

বিমান বিধ্বস্ত: দেশজুড়ে ওয়ালটন প্লাজায় মিলাদ ও দোয়া

অতিথিরা ফ্যাক্টরিতে আগমনের পর তাদের উদ্দেশ্যে স্বাগত বক্তব্য দেন অ্যাডমিন হেড মেজর (অব.) জাহিদুল হাসান।

এরপর অতিথিরা ওয়ালটনের ভিডিও ডকুমেন্টারি, গ্লোবাল বিজনেস প্রেজেন্টেশন উপভোগ করেন এবং ওয়ালটন সম্পর্কিত প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নিয়ে ওয়ালটনের প্রোডাক্টস লাইন, বৈশ্বিক বাজারসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত অবহিত হন। অতিথিদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন ভারতীয় নৌবাহিনীর কর্মকর্তা  প্রোমোদ জর্জ থমাস।

প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টারে ওয়ালটনের তৈরি সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার সমৃদ্ধ এসি দেখেছেন অতিথিরা

অতিথিরা ওয়ালটনের সুসজ্জিত প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টারসহ পরিবেশবান্ধব সর্বাধুনিক প্রযুক্তির রেফ্রিজারেটর, ভিআরএফ এসি, মোল্ড অ্যান্ড ডাই প্রোডাকশন প্ল্যান্ট এবং হেডকোয়ার্টার্সের বিশাল আউটডোর এরিয়া ঘুরে দেখেন।

সে সময় তারা ওয়ালটনের আন্তর্জাতিক মানের প্রোডাকশন লাইন ও সুবিশাল গ্রীণ ফ্যাক্টরি দেখে অভিভূত হন। তারা ওয়ালটন ব্র্যান্ডের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন এবং ওয়ালটন কর্তৃপক্ষের আতিথিয়তার ভূয়সী প্রশংসা করে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। 

ঢাকা/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের

ভারত চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করতে ব্যর্থ হলে দেশটির ওপর ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ট্রাম্প বলেন, “তারা (ভারত) ২৫ শতাংশ শুল্ক দেবে।” 

বুধবার (৩০ জুলাই)  ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এক সাংবাদিক ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন, চুক্তিতে পৌঁছালে ব্যর্থ হলে ভারত কি উচ্চ শুল্কের মুখোমুখি হবে? উত্তরে ট্রাম্প বলেন, “হ্যাঁ, আমার তাই মনে হয়।”

ভারতসহ আরো বেশ কয়েকটি দেশকে বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য ১ আগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুবা বর্ধিত শুল্কের মুখোমুখি হতে হবে।

আরো পড়ুন:

পুতিনকে এবার ১০ দিনের আল্টিমেটাম দিলেন ট্রাম্প

নিউ ইয়র্কে গুলিতে নিহত রতনের কুলাউড়ার বাড়িতে শোকের ছায়া 

ভারতীয় ও আমেরিকান কর্মকর্তারা গত কয়েক মাস ধরে একটি বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছেন, তবে এখনও কাঙ্ক্ষিত বাণিজ্যচুক্তি সম্পাদিত হয়নি। সোমবার মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার সিএনবিসি-কে বলেন, “ভারত তাদের বাজারের কিছু অংশ খুলে দিতে চাচ্ছে, আমরা আলোচনায় আগ্রহী। তবে কতটা অগ্রসর হতে তারা প্রস্তুত- সেটি আরো আলোচনা দরকার।’

ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের উচ্চ শুল্ক নীতির সমালোচনা করে আসছেন। তার অভিযোগ, ভারত যুক্তরাষ্ট্রের ভালো বন্ধু, কিন্তু বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় ভারত মার্কিন পণ্যে সবচেয়ে বেশি শুল্ক আরোপ করে।

ট্রাম্প বলেন, “এখন আমি দায়িত্বে আছি, তাই ভারত তা করতে পারবে না।” তিনি ভারতকে ‘শুল্কের রাজা’ ও বাণিজ্য সম্পর্কের ‘বড় অপব্যবহারকারী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

চলতি বছরের এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ভারতীয় পণ্যে ২৭ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন ট্রাম্প, যা পরে স্থগিত করা হয়। তবে নতুন করে তিনি আবারো কড়া অবস্থান নিচ্ছেন।

উভয় পক্ষই বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য দৌড়ঝাঁপ করছে, কর্মকর্তারা আলোচনাকে কখনো ‘ইতিবাচক’, আবার কখনোবা ‘পরিমিত’ বলে বলে মনে করছেন।

মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার স্বীকার করেছেন যে- যদিও তিনি আগে বলেছিলেন ভারতের সঙ্গে একটি চুক্তি ‘আসন্ন’, কিন্তু “এটি বোঝা উচিত যে, দিল্লির বাণিজ্য নীতি ‘অনেক দিন ধরেই সুরক্ষাবাদী’ এবং তাদের অভ্যন্তরীণ বাজারকে দৃঢ়ভাবে রক্ষা করার’ ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।”

গ্রিয়ার জানান, ট্রাম্প এমন চুক্তি নিশ্চিত করার দিকে মনোনিবেশ করছেন, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অন্যান্য দেশের বাজারকে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্মুক্ত করবে।

উভয় দেশের জন্যই কৃষি ও দুগ্ধ খাত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ওয়াশিংটন ভারতের কৃষি খাতে আরো বেশি প্রবেশাধিকারের জন্য চাপ দিচ্ছে। কিন্তু ভারত দুগ্ধ ও কৃষিখাতে বড় পরিসরে বাজার উন্মুক্ত করতে অনাগ্রহী। আমদানির ওপর কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে মোদি সরকার সংবেদনশীল কৃষি খাত রক্ষায় বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, কারণ এই খাতে বিপুলসংখ্যক ভারতীয়ের জীবিকা জড়িত।

গত সপ্তাহে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল সিএনবিসিকে বলেন, কৃষিক্ষেত্র ভারতের জন্য সংবেদনশীল এবং সরকার কৃষকদের স্বার্থ ‘ভালোভাবে সুরক্ষিত’ নিশ্চিত করবে।

গোয়েল আরো বলেন, ভারত শিগগির ওয়াশিংটনের সঙ্গে একটি চুক্তি করার বিষয়ে আশাবাদী।

যুক্তরাষ্ট্র ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। ২০২৪ সালে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৯০ বিলিয়ন ডলার। ট্রাম্প এবং মোদি এই সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি করে ৫০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন।

ভারত ইতিমধ্যেই বোর্বন হুইস্কি ও মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন পণ্যের ওপর শুল্ক কমিয়েছে, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এখনও ভারতের সঙ্গে ৪৫ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্য ঘাটতি চালিয়ে যাচ্ছে, যা ট্রাম্প কমাতে আগ্রহী।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ