মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কাজিপুর সীমান্ত এলাকা থেকে তাঁদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ১৫ জনের পরিচয় জানা গেছে। তাঁদের বাড়ি খুলনা, যশোর, নড়াইল ও ঠাকুরগাঁও জেলায়। কাজের সন্ধানে অবৈধভাবে ভারতে গিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা সেখানে বসবাস করে আসছিলেন।

আটক ব্যক্তিরা হলেন ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াকান্দি উপজেলার ইকরামুল ইসলাম (৫৫), একই উপজেলার চচপাড়া গ্রামের হাসিরুল ইসলাম (২৮), বারিসা গ্রামের শাহ আলম (১৮), কাচকালি ভানুর গ্রামের জাকির আলী (২৫), ঘেরবাড়ি গ্রামের উছিরুল মিয়া (২৮), রতনদিঘী গ্রামের ফাতেমা আক্তার (৪০), রানীশংকৈল উপজেলার বলতচা গ্রামের সোহেল রানা (৩২), কাশিপুর গ্রামের আবদুল কাদের (৩০), নড়াইলের কালিয়া উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের মহাসিন শেখ (৩১), সদর উপজেলার কাঠাদূর গ্রামের টুটুল মণ্ডল (৫৫), কালিয়া উপজেলার বরকত শেখ (২২), যশোরের অভয়নগর উপজেলার হিদিয়া গ্রামের তুহিন শেখ (২৬) ও ময়না (২২), খুলনার দিঘিলিয়া উপজেলার লাউহাটি গ্রামের লতা খাতুন (২৪) ও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের গাউছিয়া গ্রামের তানিয়া খাতুন (২৮)। অন্য তিনজনের পরিচয় জানা যায়নি।

গাংনীর কাজিপুর সীমান্ত ফাঁড়ির কোম্পানি কমান্ডার নায়েক সুবেদার হাবিবুর রহমান বলেন, আজ দুপুরে কাজিপুর গ্রামের সীমান্তে টহল দিচ্ছিল বিজিবির একটি দল। তখন সীমান্তের ১৪৫ নম্বর পিলারের কাছে সন্দেহভাজন কয়েকজনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। পরে তাঁদের আটক করে ক্যাম্পে আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানান, তাঁরা সবাই বাংলাদেশি। বিভিন্ন সময় তাঁরা অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিলেন। সেখানকার পুলিশ তাঁদের আটক করে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। পরে আজ দুপুরে বিএসএফ কাজিপুর সীমান্তে এনে কাঁটাতারের ফটক খুলে জোর করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বানি ইসরাইল বলেন, কাজিপুর বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার হাবিবুর রহমান অনুপ্রবেশের দায়ে ১৮ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন। থানায় হস্তান্তরের পর তাঁদের প্রকৃত পরিচয় জানা যাবে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল র ক ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। 

ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। 

বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি। 

অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক। 

পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। 

একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক। 

সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।

সুচরিতা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেট সীমান্তে বাংলাদেশে ঢুকে খুঁটি উপড়ে ফেলে বিএসএফ, স্থানীয়দের প্রতিবাদ
  • পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনে কর্মকর্তা নিয়োগ, বেতন ৫১,০০০ টাকা
  • জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক