শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে, যেখানে আকর্ষণীয় পরিবেশের পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের মেধা বিকাশের উপযুক্ত পরিবেশ ও সুযোগ পায়।   

তিনি বলেন, ‘‘আমরা এমন এক পরিবেশ চাই, যেখানে ছাত্রছাত্রীরা ক্লাব ও বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে নিজেদের প্রতিভা ও আগ্রহের জায়গাগুলো অন্বেষণ করতে পারবে। সেইসঙ্গে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, উপজাতি, চরাঞ্চল ও বিভিন্ন ক্যাম্পে বসবাসকারী উর্দুভাষীদের জন্যও শিক্ষা গ্রহণের পূর্ণ সুযোগ নিশ্চিত করা হবে।’’

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের সম্মেলন কক্ষে ২০২২ ও ২০২৩ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইনস্টিটিউশনস (PBGSI) স্কিমের আওতায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

ড.

আবরার বলেন, ‘‘এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য শিক্ষক, বাবা ও মা অনেক পরিশ্রম করেন।  তাই ছাত্রছাত্রীদের উচিত তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো। আমি আহ্বান জানাবো শিক্ষার্থীরা যেন অন্তত ফুল কিনে দিয়ে শিক্ষক ও অভিভাবকদের ধন্যবাদ জানায়।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক আমাদের সবচেয়ে বড় স্টেকহোল্ডার। শিক্ষার্থীদের চাওয়া-পাওয়া থাকতে পারে, তবে সেটি জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করে যুক্তিযুক্ত ও ন্যায়সঙ্গত উপায়ে রাষ্ট্রের কাছে তুলে ধরা উচিত। আমাদের মনে রাখতে হবে, রাষ্ট্রের সম্পদ সীমিত। তাই পরিকল্পিতভাবে এই সম্পদের ব্যবহার করেই আমাদের সমস্যার সমাধান করতে হবে। আর এ জন্য নাগরিকদেরও এগিয়ে আসতে হবে।’’

সামাজিক বৈষম্য ও প্রতিযোগিতার প্রসঙ্গ তুলে ধরে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘‘আমাদের অভিভাবকরা দেশের কয়েকটি নামকরা স্কুলে সন্তানদের ভর্তির জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েন। আমরা যদি দেশের সব স্কুলকে মানসম্পন্ন করে গড়ে তুলতে পারি, তাহলে এই অযথা প্রতিযোগিতা দূর হবে।’’

তিনি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী শিক্ষা-পরিবেশ তৈরি করার কথাও বলেন, যাতে অভিভাবকেরা নিশ্চিন্তে সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে পারেন।

কারিগরি শিক্ষার বিষয়ে অভিভাবকদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে ড. আবরার বলেন, ‘‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের অনেক অভিভাবক এখনো কারিগরি শিক্ষাকে অবহেলার চোখে দেখেন। অথচ বাস্তবতা হলো, কর্মসংস্থান তৈরির অন্যতম মাধ্যম এই কারিগরি শিক্ষা। আমাদের এখনই এ বিষয়ে মনোযোগী হতে হবে।’’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ড. খ ম খবিরুল ইসলাম, সচিব, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, মো. মজিবর রহমান, সচিব (রুটিন দায়িত্ব), মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, সৈয়দ মামুনুল আলম, অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা), মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং নুজহাত ইয়াসমিন, অতিরিক্ত সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।

অনুষ্ঠানে দুই বছরের শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। 

ঢাকা/এএএম//

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন র জন য আম দ র পর ব শ

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ