কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের লিংক রোড স্টেশন এলাকায় পাঁচতলা একটি ভবনের ছাদ থেকে পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম শেখ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী (৪৮)। আজ বুধবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মেজবাহ উদ্দিনের বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কাতারিয়া এলাকায়। তিনি ওই এলাকার শেখ আমান উদ্দিন চৌধুরীর ছেলে। তিনি কক্সবাজারের লিংক রোড এলাকার বিসিক শিল্পনগরীর কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে জ্বালানি সরবরাহ করতেন। পরিবার নিয়ে ওই ভবনেরই দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন তিনি।

নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের দাবি, আজ ফজরের নামাজ শেষে তিনি বাসার ছাদে গিয়েছিলেন। পরে ভবনের নিচে মেজবাহ উদ্দিনের মরদেহ পাওয়া যায়। কেউ পরিকল্পিতভাবে ধাক্কা দিয়ে ছাদ থেকে নিচে ফেলে মেজবাহকে হত্যা করেছেন।

জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.

ইলিয়াস খান প্রথম আলোকে বলেন, নিহত ব্যক্তির পরিবারের দাবি, এটি পরিকল্পিত হত্যা। ভবনের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে মেজবাহ উদ্দিনকে একাই ছাদে উঠতে দেখা গেছে। তাঁর মাথার টুপি, পরনের জামা, প্যান্ট, জুতা সবই ঠিকঠাক ছিল। কেউ পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন কি না, তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ব র ভবন র

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা মেডিকেল থেকে ভুয়া চিকিৎসক আটক

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) মহিলা ওয়ার্ড থেকে সজীব দাস পার্থ (২১) নামের এক ভুয়া চিকিৎসককে আটক করেছে হাসপাতালের দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা। 

বুধবার (৩০ জুলাই) রাত দেড়টার দিকে তাকে আটক করা হয়। 

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, রাতে মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি কুলসুম বেগম (৫৪) নামের এক নারী রোগীকে হুইলচেয়ার থেকে জোর করে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেন ওই ব্যক্তি। এতে রোগী পড়ে যান। তা দেখে ওয়ার্ডের লোকজন ও আনসার সদস্যরা সন্দেহভাজন ব্যক্তিটিকে পালানোর চেষ্টাকালে ধরে ফেলেন। পরে তাকে ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পে হস্তান্তর করা হয়।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোহাম্মদ ফারুক বলেন, “রাত দেড়টার দিকে হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ড থেকে রোগীর স্বজন ও আনসার সদস্যরা ভুয়া চিকিৎসক সজীব দাস পার্থ এবং তার এক সহযোগী মানিক মিয়াকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেন।”

তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে সজীব দাস নিজেকে মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর থানার বিলবাড়ি পেড়কুড়ি গ্রামের বাসিন্দা এবং রানেশ চন্দ্র দাসের ছেলে বলে পরিচয় দেয়। দাবি করে, পাবনা মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র সে।

পরিদর্শক ফারুক আরো বলেন, “তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, ছেলেটির মানসিক সমস্যা রয়েছে। পরিবারের সদস্যরা ঢাকায় আসছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/বুলবুল/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ