যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা আরও কমেছে। তাঁর জনসমর্থনের হার নেমে ৪০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তাঁর জনপ্রিয়তা এখন সবচেয়ে কম। অর্থনীতি ও অভিবাসন ইস্যু সামলাতে তাঁর দক্ষতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন নাগরিকেরা। রয়টার্স/ইপসোসর করা এক নতুন জনমত জরিপে এমন তথ্য জানা গেছে।

তিন দিন ধরে জরিপটি চালানো হয়। গত সোমবার শেষ হয় জরিপের কাজ। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের ১ হাজার ২৩ জন প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক জরিপে অংশ নেন। এতে ট্রাম্পকে ঘিরে বিভক্ত একটি জাতির চিত্র উঠে এসেছে। জরিপে অংশ নেওয়া ৮৩ শতাংশ রিপাবলিকান ও ৩ শতাংশ ডেমোক্র্যাট তাঁর কর্মকাণ্ড সমর্থন করেছেন। অন্যদিকে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ স্বতন্ত্র ভোটার তাঁর কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি জোরদার করা ও কঠোর অভিবাসনের নীতি গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রচার চালিয়েছিলেন। জরিপে দেখা গেছে, এ দুটি বিষয়ে তাঁর প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ নিলেও মার্কিনরা এ বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় ৩৮ শতাংশ উত্তরদাতা ট্রাম্পের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। জুলাইয়ের মাঝামাঝি করা জরিপে এই হার ছিল ৩৫ শতাংশ। অভিবাসন ইস্যুতেও তাঁর জনপ্রিয়তা সামান্য বেড়েছে—সেখানে ৪৩ শতাংশ উত্তরদাতা তাঁর পদক্ষেপকে সমর্থন জানিয়েছেন। আগের জরিপে এই সংখ্যা ছিল ৪১ শতাংশ।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কক্সবাজারে ৩৫ পুলিশ সদস্যের পোশাকে থাকবে ‘বডি ওর্ন ক্যামেরা’

কক্সবাজারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৩৫ জন পুলিশ সদস্যের পোশাকের সঙ্গে ‘বডি ওর্ন ক্যামেরা’ সংযুক্ত করা হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির এই ক্যামেরার মাধ্যমে দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের অডিও ও ভিডিও কার্যক্রম রেকর্ড করা যাবে।

আজ বুধবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে বিভিন্ন থানা ও ইউনিটের ৩৫ জন পুলিশ সদস্যের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব ক্যামেরা হস্তান্তর করা হয়। বডি ওর্ন ক্যামেরা বিতরণ করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফউদ্দিন শাহীন।

এ সময় পুলিশ সুপার বলেন, ‘আমরা জনগণের পুলিশ হতে চাই। বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহারের মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা, জনগণের আস্থা অর্জন এবং পুলিশের পেশাগত আচরণ পর্যবেক্ষণ সহজ হবে। পর্যটননির্ভর শহর কক্সবাজারে প্রযুক্তিনির্ভর নিরাপত্তাব্যবস্থার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে।’

জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রাথমিকভাবে থানা ও ফাঁড়ির টহল দল, ট্রাফিক ইউনিট, ডিবি এবং বিশেষ অভিযানে অংশ নেওয়া সদস্যদের মধ্যে এই ক্যামেরা বিতরণ করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ইউনিটেও এই প্রযুক্তি সম্প্রসারণ করা হবে।

জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বডি ওর্ন ক্যামেরার রেকর্ড সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনীয় সার্ভার ও সফটওয়্যার সিস্টেম স্থাপন করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ক্যামেরা ব্যবহারে পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, এই উদ্যোগ পুলিশের পেশাদারত্ব নিশ্চিত করার পাশাপাশি মিথ্যা অভিযোগ থেকে সুরক্ষা, তদন্তে স্বচ্ছতা এবং জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়ক হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভবিষ্যতে কেউ স্বৈরাচার হলে পরিণতি শেখ হাসিনার মতো হবে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
  • প্রতিনিধিত্ব করার ‘প্রতীকহীন’ সুযোগ 
  • ১০ হাজার বছর আগের এক নারীর প্রতিকৃতি বানালেন গবেষকেরা
  • সরকারের ভুল সিদ্ধান্তে দেশে ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিতে পারে: তারেক রহমান
  • বিএনপি নেতাকর্মীদের জনবান্ধব হতে হবে : সাখাওয়াত
  • সরকারের একটি অংশ অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে: তারেক রহমান
  • কক্সবাজারে ৩৫ পুলিশ সদস্যের পোশাকে থাকবে ‘বডি ওর্ন ক্যামেরা’
  • জাতিসংঘে সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশ-পাকিস্তান বৈঠক, ফিলিস্তিন ইস্যুতে উদ্বেগ
  • মনোনয়ন নিয়ে চিন্তা করবেন না, জনগণের পাশে থাকুন : আজাদ