৩৫ আলোকবর্ষ দূরে নতুন গ্রহের সন্ধান, থাকতে পারে পানিও
Published: 31st, July 2025 GMT
নক্ষত্রের বাসযোগ্য অঞ্চলে ‘এল ৯৮-৫৯ এফ’ নামের নতুন একটি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন কানাডার ইউনিভার্সিটি ডি মন্ট্রিলের ট্রটিয়ার ইনস্টিটিউট ফর রিসার্চ অন এক্সোপ্ল্যানেটসের বিজ্ঞানীরা। এ বিষয়ে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ‘মহাকাশ টেলিস্কোপ ও উচ্চ-নির্ভুল যন্ত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য একত্র করে আমরা এই গ্রহের খোঁজ পেয়েছি। সেই অঞ্চলে এমন পরিস্থিতি রয়েছে, যেখানে পানির অস্তিত্ব থাকতে পারে।’
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, এল ৯৮-৫৯ হলো এমন একটি ছোট লাল বামন গ্রহ, যা পৃথিবী থেকে মাত্র ৩৫ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। ২০১৯ সালে নাসার টেস স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে প্রথম এই গ্রহের সন্ধান পাওয়া যায়। সেখানে তিনটি ছোট ট্রানজিটিং এক্সোপ্ল্যানেট বা বহির্গ্রহ রয়েছে। এরপর সেখানে ইউরোপীয় সাউদার্ন অবজারভেটরির এসপ্রেসো স্পেকট্রোগ্রাফের সাহায্যে চতুর্থ গ্রহের সন্ধান পাওয়া যায়। এবার পঞ্চম গ্রহের সন্ধান পাওয়া গেল।
নতুন গ্রহটির ভর পৃথিবীর চেয়ে ন্যূনতম ২ দশমিক ৮ গুণ বেশি। গ্রহটিকে একটি সুপার-আর্থ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। এল ৯৮-৫৯ এফ তার নক্ষত্রের চারপাশে প্রায় নিখুঁতভাবে বৃত্তাকার কক্ষপথ অনুসরণ করছে। সেই হিসাবে পৃথিবীর মতো প্রায় একই পরিমাণ নক্ষত্রীয় শক্তি গ্রহণ করছে গ্রহটি। বাসযোগ্য অঞ্চলে অবস্থান করার কারণে গ্রহটির পৃষ্ঠে তরল পানি থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদি এল ৯৮-৫৯ এফ গ্রহে বায়ুমণ্ডল থাকে তাহলে ভবিষ্যতে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে জলীয় বাষ্প ও কার্বন ডাই–অক্সাইডের খোঁজ মিলতে পারে।
বিজ্ঞানী রেনে ডয়ন জানিয়েছেন, সাধারণভাবে পাথুরে গ্রহের জগৎ ও গ্রহের গঠনের বৈচিত্র্যের জন্য এল ৯৮-৫৯ এফ গ্রহ ব্যবস্থার বেশ কিছু প্রশ্নের সমাধানের জন্য সুযোগ দিচ্ছে। সুপার-আর্থ ও সাব-নেপচুন ধরনের গ্রহ কী দিয়ে তৈরি, তা জানার সুযোগ তৈরি হবে। গ্রহ ছোট নক্ষত্রের চারপাশে ভিন্নভাবে কেন তৈরি হয়, তা জানা যেতে পারে। লাল বামনের চারপাশে পাথুরে গ্রহে বায়ুমণ্ডল থাকে কি না, তা জানা যাবে।
সূত্র: এনডিটিভি
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ রহট
এছাড়াও পড়ুন:
ইরান পারমাণবিক স্থাপনাগুলো আরো শক্তিশালী করে পুনর্নির্মাণ করবে
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান জানিয়েছেন, তেহরান তার পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে ‘আরো শক্তিশালী করে’ পুনর্নির্মাণ করবে। রবিবার সরকারি সংবাদমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তার দেশ পারমাণবিক অস্ত্রের সন্ধান করছে না।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, জুন মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে স্থাপনাগুলোতে বোমা হামলা চালিয়েছিল সেগুলো পুনরায় চালু করার চেষ্টা করলে তেহরান ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে নতুন করে হামলার নির্দেশ দেবেন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে বলেন, “ভবন ও কারখানা ধ্বংস আমাদের জন্য কোনো সমস্যা তৈরি করবে না, আমরা আরো শক্তির সাথে পুনর্নির্মাণ করব।”
জুনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছিল। ওই সময় ওয়াশিংটন বলেছিল, স্থাপনাগুলো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির লক্ষ্যেএকটি কর্মসূচির অংশ ছিল। তবে তেহরান জানিয়েছিল, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে বেসামরিক উদ্দেশ্যে।
ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমের প্রসঙ্গে পেজেশকিয়ান বলেছেন, “এগুলো জনগণের সমস্যা সমাধানের জন্য, রোগের জন্য, জনগণের স্বাস্থ্যের জন্য।”
ঢাকা/শাহেদ