অনেক কিছুই অনুচ্চারিত রয়ে গেল ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে। ভারতীয় সংসদের দুই কক্ষ লোকসভা ও রাজ্যসভায় তিন দিনে ৩২ ঘণ্টার বেশি সময় আলোচনা চললেও বিরোধীরা মূল যে দুই বিষয় নিয়ে সরকারের জবাবদিহি দাবি করে আসছিলেন, তার স্পষ্ট উত্তর জানা গেল না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর সরকার অনেক কিছু বলেও অনেক বেশি হেঁয়ালি রেখে গেলেন।

ভূস্বর্গ কাশ্মীরের পেহেলগামে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলা হয়েছিল গত ২২ এপ্রিল। নিহত হয়েছিলেন মোট ২৬ জন, যাঁদের মধ্যে একজন নেপালি। ১৫ দিনের মাথায় ৭ মে রাতে প্রত্যাঘাত করে ভারত। ২২ মিনিটের ঝোড়ো আক্রমণে পাকিস্তান–নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের অভ্যন্তরে থাকা সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল ভারত। পাল্টা জবাব দেওয়ার চেষ্টা পাকিস্তানও করেছিল।

ভারতের দাবি, সেসব সাফল্যের সঙ্গে সামাল দেওয়া হয়েছে। গত ১০ মে আচমকাই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। যুযুধান দুই প্রতিবেশী তা মেনে নেয়। বিনা বাক্যে।

‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে আলোচনায় এই প্রশ্ন মূল আকর্ষণ হয়ে উঠেছিল লোকসভার বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধীর কারণে। তিনি তাঁর ভাষণে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে একেবারে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেছিলেন, ‘ইন্দিরা গান্ধীর সাহসের ৫০ ভাগও যদি দেখাতে পারেন, তাহলে এই সভায় দাঁড়িয়ে দেশবাসীকে স্পষ্ট ভাষায় বলুন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মিথ্যাবাদী।’

সেই থেকে চার দিনের এই যুদ্ধ ঘিরে দুটি প্রশ্ন তোলপাড় হচ্ছে। হওয়ারই কথা। কেননা, দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশীকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করিয়েছেন বলে সেই থেকে ক্রমাগত দাবি জানিয়ে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বলছেন, বাণিজ্য চুক্তির কথা বলে তিনিই দুই দেশকে থামিয়েছেন। অর্থাৎ মধ্যস্থতা করেছেন তিনিই।

তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের এই দাবি ঠিক কি না, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অসত্য কথা বলছেন কি না, তা জানতে ভারতের বিরোধীপক্ষ সেই থেকে আগ্রহ দেখিয়ে আসছে। সংসদে বিশেষ আলোচনায় সেই প্রশ্নই সবচেয়ে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছিল। অথচ নিশ্চিত উত্তর এল না।

‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে আলোচনায় এই প্রশ্ন মূল আকর্ষণ হয়ে উঠেছিল লোকসভার বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধীর কারণে। তিনি তাঁর ভাষণে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে একেবারে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেছিলেন, ‘ইন্দিরা গান্ধীর সাহসের ৫০ ভাগও যদি দেখাতে পারেন, তাহলে এই সভায় দাঁড়িয়ে দেশবাসীকে স্পষ্ট ভাষায় বলুন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মিথ্যাবাদী। তিনি অসত্য কথা বলে চলেছেন।’

শুধু রাহুলই নন, তাঁরই দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ সিং যাদব, আরজেডির মনোজ ঝাসহ দলমত নির্বিশেষে অনেকেই এই দাবি জানিয়েছেন। খাড়গে তো সরকারকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘এতদিনে ট্রাম্প ২৯ বার ওই দাবি জানিয়েছেন। কে বলতে পারে, আমার ভাষণ শেষ হতে না হতে সংখ্যাটা ৩০ হয়ে যাবে!’

মনোজ ঝা বলেন, ট্রাম্পের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে সংসদেরই উচিত সর্বসম্মত প্রস্তাব গ্রহণ করা। কিন্তু কাকস্য পরিবেদনা! প্রধানমন্ত্রী মোদি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং কিংবা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেউই সাহস করে ট্রাম্পের নাম পর্যন্ত উচ্চারণ করলেন না। বললেন না তিনি অসত্যবাদী। স্পষ্ট ভাষায় বললেন না, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চাপে ভারত যুদ্ধবিরতি মেনে নেয়নি। শুধু জানালেন, পৃথিবীর কোনো দেশ যুদ্ধ বন্ধে চাপ সৃষ্টি করেনি। ভারত যুদ্ধবিরতি মেনে নিয়েছে পাকিস্তানের আকুতি মেনে। প্রস্তাব তারাই দিয়েছিল।

দুই দিনের এই আলোচনায় বিরোধীরা কাঠগড়ায় তুলেছে মোদি সরকারের কূটনীতিকেও। পাকিস্তানকে কোণঠাসা করতে যুদ্ধবিরতির পরপরই প্রধানমন্ত্রী সর্বদলীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক কূটনীতিকদের নিয়ে সাতটি দল গঠন করে ৬০ দেশ সফরে পাঠিয়েছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানের ‘সন্ত্রাসবাদী’ চরিত্র উদ্‌ঘাটন।

মোদি কেন যুক্তরাষ্ট্রের নাম নিলেন না, কেন ট্রাম্পের নাম করে প্রধানমন্ত্রী বলতে পারবেন না যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট অসত্য দাবি করছেন, গত বুধবার সন্ধ্যায় রাজ্যসভায় আলোচনা শেষ হওয়ার পর তার জবাব রাহুলই দিয়েছেন। সংসদ ভবন চত্বরে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সে কথা বললে ট্রাম্প পূর্ণ সত্য প্রকাশ করে দেবেন। জানিয়ে দেবেন কীভাবে তিনি যুদ্ধবিরতিতে দুই দেশকে রাজি করিয়েছেন।

এই আলোচনায় অজানা থেকে গেল ভারতের যুদ্ধবিমান নষ্ট হওয়ার বিষয়টিও। তিন দিন ধরে বারবার বিরোধীরা দুই কক্ষে দাবি জানিয়েছেন, কয়টা যুদ্ধবিমান নষ্ট হয়েছে, সরকার তা জানাক। পাকিস্তানের দাবি রাফালসহ পাঁচটা।

ভারতের প্রতিরক্ষা সর্বাধিনায়ক জেনারেল অনিল চৌহানের বয়ানে যুদ্ধবিমান নষ্ট হলেও সেটা বড় কথা নয়। বড় কথা ভারতীয় বাহিনী সাফল্য পেয়েছে কি না। ক্রিকেটের সঙ্গে তুলনা টেনে তিনি বলেছিলেন, কয়টা উইকেট পড়ল, সেটা বড় কথা নয়। বড় কথা, খেলায় জয় হলো কি না।

একই উদাহরণ একটু ঘুরিয়ে দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। লোকসভায় তিনি বলেছেন, পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থীর পেনসিল ভাঙল কি না, কিংবা রাবার নষ্ট হলো কি না, সেটা জরুরি নয়। জরুরি হলো পরীক্ষার ফল। সাফল্য। সেই সাফল্য ভারতীয় বাহিনী পেয়েছে।

এই প্রশ্নের উত্তরও সরকার না দেওয়ায় ভারতের একাধিক যুদ্ধবিমান নষ্ট করার পাকিস্তানি দাবি অমীমাংসিত রইল। কেন সরকার ক্ষতি স্বীকার করল না, সেই রহস্যও অবগুণ্ঠনে ঢাকা রইল। বোঝা গেল, সরকার কিছু লুকোতে চায়।

দুই দিনের এই আলোচনায় বিরোধীরা কাঠগড়ায় তুলেছে মোদি সরকারের কূটনীতিকেও। পাকিস্তানকে কোণঠাসা করতে যুদ্ধবিরতির পরপরই প্রধানমন্ত্রী সর্বদলীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক কূটনীতিকদের নিয়ে সাতটি দল গঠন করে ৬০ দেশ সফরে পাঠিয়েছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানের ‘সন্ত্রাসবাদী’ চরিত্র উদ্‌ঘাটন।

রাহুলসহ বিরোধী নেতারা সেই প্রশ্ন উত্থাপন করে সরাসরি জানতে চান, সন্ত্রাসবাদের বিরোধিতা করলেও কেন পৃথিবীর একটি দেশও পেহেলগামকাণ্ড নিয়ে পাকিস্তানের নামোচ্চারণ পর্যন্ত করল না? এমনকি, দক্ষিণ এশিয়ার যে দুই দেশ ভারতের পরম মিত্র বলে পরিচিত, সেই ভুটান ও নেপালও কেন নির্বাক রইল? এই প্রশ্নের উত্তরও সরকারের কাছে ছিল না।

আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ট্রাম্প জানিয়ে দিলেন, পাকিস্তানের বিপুল তেলভান্ডারের উন্নতির জন্য ওয়াশিংটন ও ইসলামাবাদ একযোগে কাজ করবে। এ কথাও তিনি শুনিয়ে রাখলেন, হয়তো একদিন দেখা যাবে ভারতের কাছে পাকিস্তান তেল বিক্রি করছে। ভারতের কূটনীতি কতটা সফল, কতটাই–বা ব্যর্থ, বন্ধু ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত সেই প্রশ্নও বড় করে তুলে ধরল।

মোদি সরকারের দাবি, পৃথিবীর ১৯৩টি দেশের মধ্যে মাত্র তিনটি দেশ (চীন, তুরস্ক, আজারবাইজান) পাকিস্তানের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। বাকিরা ভারতের পাশে। রাহুল এই বিষয়েও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চেপে ধরে বলেছেন, তারা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু একটা দেশও পাকিস্তানের বিরুদ্ধাচরণ করেনি!

মোদি কেন ট্রাম্পের নামোচ্চারণ করলেন না? সরকারি ব্যাখ্যা, শিষ্টাচার। বিরোধীদের উত্তর, ট্রাম্পের নাম না নিলেও যুক্তরাষ্ট্রের নাম অনায়াসে করা যেত। মোদি বা অন্য কেউ সে পথেও হাঁটেননি। কেন হাঁটেননি, সে বিষয়ে অনুমান ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কনীতি।

‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে তিন দিনের আলোচনা শেষ হতে না হতেই ভারতীয় পণ্যের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করেছে। সেই সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্য অতিরিক্ত অনির্দিষ্ট জরিমানা। সেই অঙ্কের হার কত, তা জানানো হয়নি। গোদের ওপর বিষফোড়ার মতো এসেছে ইরানের সঙ্গে পেট্রোবাণিজ্য করার অপরাধে ৬ ভারতীয় সংস্থার বিরুদ্ধে মার্কিনি নিষেধাজ্ঞা।

বিরোধী মহলের ধারণা, পাল্টা শুল্কনীতিসহ যুক্তরাষ্ট্রের এই আঘাত আগাম আঁচ করেই গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজ্যসভার আলোচনায় অংশ নেননি।

মোদি যাঁকে ‘মাই ফ্রেন্ড ট্রাম্প’ বলে এতদিন জাহির করে এসেছেন, সেই বন্ধুর কাছ থেকে এমন ব্যবহার তাঁর জন্য অপ্রত্যাশিত। শুধু তাই নয়, আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ট্রাম্প জানিয়ে দিলেন, পাকিস্তানের বিপুল তেলভান্ডারের উন্নতির জন্য ওয়াশিংটন ও ইসলামাবাদ একযোগে কাজ করবে। এ কথাও তিনি শুনিয়ে রাখলেন, হয়তো একদিন দেখা যাবে ভারতের কাছে পাকিস্তান তেল বিক্রি করছে। ভারতের কূটনীতি কতটা সফল, কতটাই বা ব্যর্থ, বন্ধু ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত সেই প্রশ্নও বড় করে তুলে ধরল।

ট্রাম্পের নামোচ্চারণ (শিষ্টাচার মেনে) না করে, যুদ্ধবিমানের ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ান না জানিয়ে, কূটনৈতিক সাফল্যের সাতকাহন গুণগান গেয়ে এবং দেশের যাবতীয় অনাসৃষ্টির জন্য প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহররাল নেহরুকে দায়ী করে সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ভর দিয়ে নরেন্দ্র মোদি গত মঙ্গলবার সদর্পে লোকসভা ত্যাগ করলেও বাণিজ্য সংকট কী করে কাটিয়ে উঠবেন, সেই জল্পনা বড় করে মাথা তুলেছে। পরম বন্ধু ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন নরেন্দ্র মোদির শিরে সংক্রান্তি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র র ক টন ত ক টন ত ক সরক র র র জন য স ফল য মন ত র ল কসভ করল ন অসত য

এছাড়াও পড়ুন:

পাল্টা শুল্ক কার্যকরে নতুন সময়সূচি ঘোষণা ট্রাম্পের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া সর্বশেষ নির্বাহী আদেশে বিভিন্ন দেশের ওপর আরোপিত নতুন শুল্কহার কার্যকর হওয়ার সময়সূচিতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ৭ আগস্ট থেকে তা কার্যকর হবে।

এর আগে ট্রাম্প ১ আগস্টের মধ্যে বাণিজ্যচুক্তি সম্পন্ন করার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। তখন তিনি বলে দিয়েছিলেন, এ সময়ের মধ্যে চুক্তিতে না পৌঁছালে চড়া শুল্ক আরোপ করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বৃহস্পতিবার নতুন নির্বাহী আদেশে ৭০টির বেশি দেশের ওপর নতুন পাল্টা শুল্কহার ঘোষণা করেছেন। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সেগুলো আগামী সাত দিনের মধ্যে কার্যকর হবে।

যেসব পণ্য ৭ আগস্টের মধ্যে জাহাজে তোলা হবে বা বর্তমানে যাত্রাপথে রয়েছে এবং সেগুলো যদি ৫ অক্টোবরের আগে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছে যায়, তবে সেগুলোর ক্ষেত্রে শুল্ক প্রযোজ্য হবে না।

অবশ্য কানাডার ওপর যুক্তরাষ্ট্র আরোপিত ৩৫ শতাংশ শুল্ক ১ আগস্ট অর্থাৎ আজ থেকেই কার্যকর হচ্ছে।

আরও পড়ুনকোন দেশে কত শুল্ক বসালেন ট্রাম্প৪ ঘণ্টা আগে

উত্তর আমেরিকার এই দুই প্রতিবেশী দেশ একে অপরের অন্যতম বড় বাণিজ্য সহযোগী হলেও ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে অস্বস্তিকর দ্বন্দ্ব তৈরি হয়।

কানাডা যেসব পণ্য রপ্তানি করে, তার প্রায় তিন-চতুর্থাংশই যায় যুক্তরাষ্ট্রে। ধাতব পদার্থ ও কাঠের পাশাপাশি কানাডা বিপুল পরিমাণে তেল, গাড়ি ও গাড়ির যন্ত্রাংশ, বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, খাদ্যপণ্য এবং ওষুধ যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করে।

আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যারা বাণিজ্য চুক্তি করেনি, তাদের জন্য অনেক দেরি হয়ে গেছে: ট্রাম্প১ ঘণ্টা আগে

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি কানাডার সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা চালিয়ে যেতে আগ্রহী। তবে তিনি সতর্ক করেছেন, নতুন ৩৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগে আর কোনো চুক্তির সুযোগ নেই।

সম্পর্কিত নিবন্ধ