ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রূপগঞ্জে উচ্ছেদ অভিযান
Published: 31st, July 2025 GMT
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা ও গোলাকান্দাইল এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে দখল মুক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর উপস্থিতিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- রূপগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল আলম এবং রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম।
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে রূপগঞ্জের ভুলতা ও গোলাকান্দাইল এলাকায় সড়কের উভয় পাশে গাউছিয়া কাপড়ের পাইকারী মার্কেটসহ ১৪-১৫টি মার্কেট রয়েছে।
শিল্পাঞ্চল খ্যাত লাখো মানুষের আনাগোনা রয়েছে এখানে। ব্যস্ততম এই মহাসড়কের এক পাশ ও ফুটপাত দখল করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা কাঁচাবাজার বসিয়েছে। অন্যপাশে কাপড়, জুতা, কসমেটিক্স সামগ্রীর ভাসমান দোকান বসিয়ে সড়কের এক তৃতীয়াংশ দখল করে রেখেছিল। এসব দোকান থেকে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় হতো।
শুধু তাই নয়, এসব দোকানীদের কারণে প্রতিনিয়ত ঘন্টার পর ঘন্টা মহাসড়কে যানজট লেগে থাকতো। এতে ভোগান্তির শিকার হতো যাত্রী সাধারণ ও পথচারীরা।
বিশেষ করে দূর দূরান্ত থেকে বিভিন্ন যানবাহন ভুলতা- গোলাকান্দাইল এলাকায় এসে বাধার মুখে পড়তো। কয়েকদিন পর পর উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করলেও ফের দখলে নিতো ভাসমান ব্যবসায়ীরা।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দখল করে আর কখনো ভাসমান দোকান বসতে দেয়া হবে না বলে প্রশাসন থেকে কঠোর হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
মহাসড়কে থাকা ভাসমান দোকানপাট উচ্ছেদের ফলে পুরো মহাসড়ক দখল মুক্ত হয়েছে। এতে যাত্রী সাধারণ থেকে শুরু করে পথচারী ও স্থানীয়দের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
পুনরায় মহাসড়ক দখল করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাছাড়া ব্যবসায়ীদের আটক করারও হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র পগঞ জ উপজ ল ব যবস সড়ক র
এছাড়াও পড়ুন:
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হওয়ার পথে কোনো বাধা দেখছি না: নজরুল ইসলাম খান
আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনে বিএনপি কোনো বাধা দেখছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। আজ শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার মহাপরিচালকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হওয়ার পথে কোনো বাধা দেখছি না। যেহেতু বাধা দেখছি না, সেহেতু এটা না–ও হতে পারে, সেই দুশ্চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। আমরা অপেক্ষা করছি, আশা করব শিগগিরই সরকার এ ব্যাপারে তাদের সুস্পষ্ট বক্তব্য নিয়ে আসবে এবং নির্বাচন কমিশনকে সেই অনুযায়ী পরামর্শ দেবেন।’
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে যেসব প্রক্রিয়া করা প্রয়োজন বিএনপির পক্ষ থেকে তা করা হচ্ছে, তবে ৮২৬টির মধ্যে ৫১টি সুপারিশ নিয়ে ভিন্ন মত আছে।
এর আগে হাটহাজারীতে পৌঁছে সেখানে হেফাজতে ইসলামের প্রয়াত আমির মাওলানা শাহ আহমদ শফী ও জুনায়েদ বাবুনগরীর কবর জিয়ারত করেন বিএনপি এই দুই নেতা। পরে মাদ্রাসার মহাপরিচালক মুফতি খলিল আহমেদ কাশেমী এবং শায়খুল হাদীস শেখ আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
হাটহাজারী মাদ্রাসায় জুমার নামাজ আদায় শেষে সেখানে দুপুরের আহার করেন বিএনপির নেতারা। পরে তাঁরা চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির বাবুনগর আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া আজিজুল উলুম মাদ্রাসায় হেফাজত ইসলামের আমির মাওলানা শাহ মুহিববুল্লাহ বাবুনগরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রওনা হন।
বিএনপির দুই স্থায়ী কমিটির সঙ্গে দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মীর হেলাল উদ্দিন, উত্তর জেলা বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির নেতা নূর মোহাম্মদ, সরোয়ার আলমগীর; দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব হেলাল উদ্দিন, জাসাস চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সভাপতি কাজী সাইফুল ইসলাম, ফটিকছড়ি উপজেলার বিএনপি আহ্বায়ক আজিম উল্লাহ বাহার প্রমুখ রয়েছেন।
বিএনপির নেতারা জানিয়েছেন, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সৌজন্য সাক্ষাতে হাটহাজারী মাদ্রাসায় গেছেন দলের নেতারা। বিএনপি নেতারা সৌজন্য সাক্ষাৎ বললেও আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দলটির নেতারা হেফাজতে ইসলামের নেতারাসহ আলেম-ওলামাদের সমর্থন ও সহযোগিতা চেয়েছেন।
গত ২০ জুলাই ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ সমাবেশে চট্টগ্রামে আসলে হাটহাজারী আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ নেতা-কর্মীরা। নাহিদ ইসলামের সঙ্গে ছিলেন দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, চট্টগ্রামের তত্ত্বাবধায়ক জোবাইরুল আরিফ প্রমুখ। নেতা-কর্মীরা হেফাজতে ইসলামের সাবেক আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী ও জুনায়েদ বাবুনগরীর কবর জিয়ারত করেন।