ওসমানী বিমানবন্দরে বোর্ডিং ব্রিজের চাকা ফেটে তরুণের মৃত্যু
Published: 31st, July 2025 GMT
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বোর্ডিং ব্রিজের (আন্তর্জাতিক বিমানে যাত্রী ওঠার জন্য লাগানো সিঁড়ি) চাকা ফেটে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা রুম্মান আহমদ (২২) নামের এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সোয়া ৪টার দিকে রুম্মান আহমদের মৃত্যু হয়।
রুম্মান আহমদ সিলেটের বিমানবন্দর থানা এলাকার কান্দিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন এনামুল (২৫) নামের অপর এক যুবক। তিনি বিমানবন্দর থানা এলাকার মহালদি গ্রামের বাসিন্দা। তাঁরা বিমানবন্দরে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বিমানে যাত্রী ওঠার জন্য সিঁড়ি হিসেবে বোর্ডিং ব্রিজ ব্যবহার করা হয়। সেটি স্থানান্তর করতে নিচে চাকা লাগানো থাকে। বিমান চলাচলের ফাঁকে সেগুলো নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে বোর্ডিং ব্রিজের দুটি চাকা বদলানোর কাজ করছিলেন দুই কর্মী। এ সময় হঠাৎ বিকট শব্দে একটি চাকা ফেটে যায়। এতে তাঁরা আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় রুম্মানকে একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সোয়া ৪টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদ বলেন, বোর্ডিং ব্রিজের চাকা বদলাতে গিয়ে একটি চাকা ফেটে গিয়েছিল। এ সময় চাকার পাশে থাকা দুজন আহত হন। পরে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। অসাবধনতা বা দুর্ঘটনা যা-ই হোক, দুঃখজনক ঘটনা ঘটে গেছে।
সিলেট বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আনিসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে বোর্ডিং ব্রিজের চাকা খুলে নেওয়ার সময় সেটি বিকট শব্দে ফেটে গিয়েছিল। এতে একজনের মৃত্যু হয়েছে, আরেকজন আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন। নিহতের লাশ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আমার স্ত্রী খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করছেন না: জেডি ভ্যান্স
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স তাঁর স্ত্রী উষা ভ্যান্স ক্যাথলিক গির্জার মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে কোনো একদিন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবেন বলে যে মন্তব্য করেছিলেন, তা নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। নিজের এ মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বিশাল এক পোস্ট দিয়েছেন তিনি।
জেডি ভ্যান্স বলেন, তাঁর যে মন্তব্য নিয়ে কথা হচ্ছে, সেটি মূল বক্তব্য থেকে কেটে নেওয়া একটি অংশ। কোন প্রসঙ্গে তিনি ওই মন্তব্য করেছেন, সেটা দেখানো হয়নি।
গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে তরুণদের সংগঠন ‘টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ’র একটি অনুষ্ঠানে এক তরুণীর প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে ভ্যান্স তাঁর স্ত্রী উষা একদিন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত উষা হিন্দু সংস্কৃতিতে বেড়ে উঠেছেন।
স্ত্রী একদিন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবেন, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করা ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, ভ্যান্সের এ মন্তব্য কি তাঁর স্ত্রীকে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়ার ইঙ্গিত।
স্ত্রী একদিন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবেন, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করা ভিডিও ভাইরাল হওয়া পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, ভ্যান্সের এ মন্তব্য কি তাঁর স্ত্রীকে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়ার ইঙ্গিত।জবাব দিতে এক্স পোস্টে ভ্যান্স বলেন, একটি পাবলিক ইভেন্টে তাঁকে তাঁর আন্তধর্মীয় বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তিনি ওই প্রশ্ন এড়িয়ে যেত চাননি, উত্তর দিয়েছেন।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ‘প্রথমেই বলি, প্রশ্নটি আসে আমার বাঁ পাশে থাকা একজনের কাছ থেকে, আমার আন্তধর্মীয় বিয়ে নিয়ে। আমি একজন পাবলিক ফিগার, লোকজন আমার ব্যাপারে জানতে আগ্রহী এবং আমি প্রশ্নটি এড়িয়ে যেতে চাচ্ছিলাম না।’
এ বছর জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে জেডি ভ্যান্স ও তাঁর স্ত্রী উষা ভ্যান্স