প্লেনে যেসব খাবার নেওয়া নিষেধ বা সীমিত, জেনে নিন ভ্রমণের আগে
Published: 31st, July 2025 GMT
১. তরলজাতীয় খাবার ও পানীয়
পানির বোতল, জুস, দুধ, স্যুপ, তরকারি—এ ধরনের তরল খাবার ১০০ মিলিলিটারের বেশি হলে হাতে বহনের ব্যাগে (হ্যান্ড লাগেজে) নেওয়া যাবে না। আন্তর্জাতিক নিয়মে কেবল ছোট আকারে, স্বচ্ছ প্যাকেটে করে, বিশেষ পদ্ধতিতে নেওয়া যায়।
২. ঝাঁঝালো বা তীব্র গন্ধযুক্ত খাবারশুঁটকি মাছ, কাঁচা পেঁয়াজ, গরুর ভুনা, শুকনা চাটনি বা অতিরিক্ত মসলা দেওয়া রান্না করা খাবার প্লেনে নেওয়া আইনত নিষিদ্ধ না হলেও বেশির ভাগ এয়ারলাইনের নীতিমালায় এসব নিরুৎসাহিত করা হয়। অস্বস্তিকর গন্ধের কারণে অন্য যাত্রীদের অসুবিধা হতে পারে বলেই এমন বিধিনিষেধ।
৩.কাঁচা ফলমূল বা সবজি (বিশেষ করে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে)
অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশেই কাঁচা আম, কাঁঠাল, কলা বা সবজি বহন নিষিদ্ধ বা নিয়ন্ত্রিত। এটি জৈব সুরক্ষা (বায়োসিকিউরিটি) আইনের আওতায় পড়ে, যার উদ্দেশ্য হলো রোগ বা পোকামাকড় বহনকারী কোনো জৈব উপাদান দেশের ভেতর প্রবেশ করতে না দেওয়া। প্রস্থান বা আগমন—উভয় ক্ষেত্রেই এসব খাদ্যদ্রব্য বহন করলে জানিয়ে দেওয়া বাধ্যতামূলক। না জানালে জরিমানাও হতে পারে।
৪. দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারপ্রক্রিয়াজাত নয়, এমন দুধ, ঘি, ছানা বা দই অনেক দেশে বহন করা সীমিত। এসবের মধ্যে জীবাণু বহনের ঝুঁকি থাকে, তাই আন্তর্জাতিকভাবে এসবে কঠোরতা আছে।
আরও পড়ুনমাস শেষে হাতে কিছু টাকা রাখার ৭টি উপায়১১ ঘণ্টা আগে৫. পরিমাণে বেশি রান্না করা খাবার বা ঝোলজাতীয় কিছুহাঁড়ি বা বড় কনটেইনারে করে ভাত, খিচুড়ি বা ঝোলজাতীয় খাবার বহন করা নিরাপত্তার কারণে নিষেধ। এসব খাবার অনিরাপদ হিসেবে গণ্য হতে পারে, বিশেষ করে যদি তা তরল বা আধা তরল হয়।
৬. নিজে প্যাক করা খাবার, যার উৎস অনির্ধারিতআন্তর্জাতিক ফ্লাইটে নিরাপত্তা ও কাস্টমসের জটিলতা এড়াতে অনেকে খাবার নিজে প্যাক করে নেন। কিন্তু খাবারটি কী উপায়ে তৈরি ও প্যাক করা হয়েছে, সেটা বোঝা না গেলে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। তাই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ অনেক সময় এ ধরনের খাবার ফেলে দিতে বলে।
আরও পড়ুনঅনলাইন বাজারে ইলিশ মাছ কিনবেন কোথা থেকে৭ ঘণ্টা আগে৭. খাদ্যদ্রব্যের বড় চালান (কমার্শিয়াল পরিমাণে)ভ্রমণকারীরা অনেক সময় আত্মীয়দের জন্য শুকনা খাবার বা পণ্য নিয়ে যেতে চান। তবে একাধিক প্যাকেট বা বড় প্যাকিং থাকলে সেটা বাণিজ্যিক (কমার্শিয়াল) হিসেবে বিবেচিত হয় এবং কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স বা শুল্কের আওতায় পড়ে।
শেষ কথাদেশ ও এয়ারলাইনসভেদে খাদ্য বহনের নিয়ম ভিন্ন হতে পারে। তাই প্লেনে ওঠার আগে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনসের ওয়েবসাইট বা কাস্টমস গাইডলাইনে চোখ বুলিয়ে নিন। খাবার সঙ্গে নিতে চাইলে শুকনা ও হালকা কিছু বেছে নিন, ভালোভাবে প্যাক করুন এবং নিরাপত্তার স্বার্থে তরল খাবার বা তীব্র গন্ধযুক্ত খাবার থেকে বিরত থাকুন।
আরও পড়ুনউড়োজাহাজে যে কাজগুলো করবেন না১৮ জুলাই ২০২৪উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই অভ্যুত্থান উদযাপনে ডিএসসিসির সাইকেল র্যালি
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান উদযাপন উপলক্ষে জুলাই মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) সাইকেল র্যালির আয়োজন করেছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর থেকে সাইকেল র্যালিটি শুরু হয়ে ঢাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নগর ভবনে এসে শেষ হয়।ডিএসসিসির প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়ার উপস্থিতিতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম র্যালির উদ্বোধন করেন।
এদিন সকাল সাড়ে ৭টায় রবীন্দ্র সরোবর থেকে শুরু হওয়া এ র্যালিতে ১৯০ জন সাইক্লিস্টস এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নগরবাসী অংশগ্রহণ করেন।
আরো পড়ুন:
ঢাবির সিনেটে ৫ অধ্যাপককে নিয়োগ দিলেন রাষ্ট্রপতি
ডাকসুর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ
প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে জনগণকে সম্পৃক্ত করে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ ঢাকা শহরকে বাসযোগ্য করার জন্য সরকারের পাশাপাশি প্রত্যেক নাগরিককে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।”
ডিএসসিসি প্রশাসক বলেন, “ঢাকাকে আগামী প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য করতে হলে পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই।”
পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন সিটি কর্পোরেশনের একার পক্ষে সম্ভব নয় উল্লেখ করে প্রশাসক এ বিষয়ে নাগরিকদের সম্পৃক্ততা ও সহযোগিতা কামনা করেন।
র্যালি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম, সচিব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলামসহ সব বিভাগীয় প্রধান এবং ঢাকা ব্যাংকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এএএম/এসবি