ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পাঁচ অধ্যাপককে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩ বছরের জন্য রাষ্ট্রপতি ও আচার্য অনুমোদনক্রমে সিনেটে শিক্ষাবিদ সদস্য হিসেবে এ মনোনয়ন দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নিয়োগপ্রাপ্ত ওই শিক্ষকরা হলেন, ঢাবির ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক (অব.

) ড. সদরুল আমিন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানী, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা।

আরো পড়ুন:

যৌথ বিবৃতি প্রত্যাখান করে বাহা’কে বয়কট ঘোষণা শিক্ষার্থীদের

গোবিপ্রবিতে ২ বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, প্রক্টর-প্রাধ্যক্ষসহ আহত ১৫

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ, ১৯৭৩ এর আর্টিক্যাল ২০(১)(ই) ও ২০(২) ধারা অনুযায়ী এই পাঁচজন শিক্ষাবিদকে সিনেট সদস্য হিসেবে ৩ বছরের জন্য মনোনয়ন প্রদান করা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে মোট ১০৫ জন সদস্য থাকেন, তার মধ্যে পাঁচজন রাষ্ট্রপতি ও আচার্য অনুমোদিত শিক্ষাবিদ।

আর্টিক্যাল ২০(১)(এ)(বি)(সি) অনুযায়ী, ঢাবির উপাচার্য, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন), উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ও কোষাধ্যক্ষ— এই চারজন সিনেটের সদস্য।

এছাড়া আর্টিক্যাল ২০(১)(ডি) অনুযায়ী, সরকার মনোনীত পাঁচজন সরকারী কর্মকর্তা, আর্টিক্যাল ২০(১)(ই) অনুযায়ী স্পিকার কর্তৃক মনোনীত পাঁচজন সংসদ সদস্য, আর্টিক্যাল ২০(১)(জি) অনুযায়ী সিন্ডিকেট কর্তৃক মনোনীত গবেষণা সংস্থার পাঁচজন প্রতিনিধি, আর্টিক্যাল ২০(১)(এইচ) অনুযায়ী একাডেমিক পরিষদ কর্তৃক মনোনীত অধিভূক্ত ও উপাদানকল্প কলেজগুলোর পাঁচজন অধ্যক্ষ, আর্টিক্যাল ২০(১)(আই) অনুযায়ী একাডেমিক পরিষদ কর্তৃক মনোনীত অধিভূক্ত ও উপাদানকল্প কলেজসমূহের ১০ জন শিক্ষক, আর্টিক্যাল ২০(১)(কে) অনুযায়ী রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট কর্তৃক নির্বাচিত ২৫ জন প্রতিনিধি, আর্টিক্যাল ২০(১)(এল) অনুযায়ী শিক্ষক কর্তৃক নির্বাচিত ৩৫ জন শিক্ষক প্রতিনিধি এবং আর্টিক্যাল ২০(১)(এম) অনুযায়ী ডাকসু কর্তৃক মনোনীত পাঁচজন ছাত্র প্রতিনিধি সিনেটের সদস্য হয়ে থাকেন।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ বব দ য র ষ ট রপত সদস য হ অন য য়

এছাড়াও পড়ুন:

ভুল ফলাফল

প্রতিবছর পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরই ভুল রেজাল্ট নিয়ে অসংখ্য অভিযোগ ওঠে। এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। শত শত শিক্ষার্থী প্রতিবছর জানায়, তাদের প্রাপ্ত নম্বর সঠিক নয়, জিপিএ মেলে না, এমনকি ভালো পরীক্ষা দেওয়ার পরও ফলাফল ‘ফেল’ দেখাচ্ছে। এই ভুলের চরম খেসারত দিতে হয় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। কেউ ভর্তি থেকে বঞ্চিত হয়, কেউ মানসিক ভারসাম্য হারায়, কেউ কেউ আত্মহননের পথ বেছে নেয়। এটি শুধু ভয়াবহ নয়, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার জন্য চরম লজ্জারও।

অভিযোগ বারবার উঠলেও শিক্ষা বোর্ডগুলোর মধ্যে কোনো দায় স্বীকার বা জবাবদিহির প্রবণতা দেখা যায় না। সবকিছু চাপানো হয় ‘টেকনিক্যাল সমস্যা’ কিংবা ‘সিস্টেম ত্রুটি’র ওপর। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই সিস্টেম ত্রুটি কেন বারবার হয়? কেন এখনো আধুনিক ও নির্ভরযোগ্য সফটওয়্যার এবং যথাযথ যাচাই-বাছাই পদ্ধতি গড়ে তোলা হয়নি?

একটি শিক্ষার্থীর জীবনে ফলাফল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি নম্বর কম বা বেশি হওয়া মানে তার স্বপ্নভঙ্গ। বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া অঞ্চলগুলোর শিক্ষার্থীরা সীমিত সুযোগ নিয়ে ভবিষ্যৎ গড়ার চেষ্টা করে। ভুল রেজাল্ট তাদের সেই প্রচেষ্টাকে ধ্বংস করে দেয়।

এই সংকট নিরসনে শিক্ষা বোর্ডের উচিত ফল প্রকাশের আগে কঠোরভাবে যাচাই-বাছাই করা, রিভিউ বা পুনর্নিরীক্ষার ফি ও সময়সীমা হ্রাস করে তা সহজলভ্য করা এবং যঁারা এ ধরনের ভুল করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

স্বপন বিশ্বাস

স্থানীয় সাংবাদিক ও প্রধান শিক্ষক

শালিখা, মাগুরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ