মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস পাঁচ দশক ধরে আলোচিত প্রযুক্তি ব্যক্তিত্ব। মাইক্রোসফটকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে সফল প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার পাশাপাশি বিশ্বের নানা প্রান্তের বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনসংক্রান্ত গবেষণার বিষয়ে নিয়মিত খোঁজখবর রাখেন বিল গেটস। দীর্ঘ পেশাগত জীবনে বেশ কয়েকবার প্রযুক্তিনির্ভর ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন তিনি। সম্প্রতি বিল গেটস সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভবিষ্যতের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি নিয়ে বেশ কিছু চমকপ্রদ ভাবনা প্রকাশ করেছেন। বিল গেটসের মতে, ভবিষ্যতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি মানুষকে আরও ভালোভাবে কাজ করার সুযোগ করে দিলেও সতর্ক থাকতে হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক পরিবর্তন খুব দ্রুত আসবে, যে কারণে সবাইকে তৈরি থাকতে হবে।

বিল গেটস জানিয়েছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো প্রযুক্তি মানুষের দৈনন্দিন কিছু কাজ কমিয়ে দেবে। তবে মানুষ আর প্রযুক্তি দুনিয়া প্রস্তুত না থাকলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে নতুন সমস্যা তৈরি হতে পারে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে একটি ইতিবাচক পরিবর্তনও আসবে। এই প্রযুক্তি মানুষকে আরও ভালো কাজ করতে বা আরও বেশি সময় ছুটি কাটাতে সুযোগ করে দেবে।

আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম সাধারণ বুদ্ধিমত্তা (এজিআই) সম্পর্কে বিল গেটস জানান, এআইয়ের উন্নত একটি রূপ এজিআই। এই প্রযুক্তি বিক্রয় বা গ্রাহক সহায়তার মতো জটিল কাজ মানুষের চেয়ে ভালোভাবে করতে পারে। এজিআই মানুষের কাছে ভিন্ন জিনিস হলেও একবার যখন মেশিন এজিআই বুঝে যাবে তখন কম খরচে আরও নির্ভুলভাবে বিভিন্ন কাজ করা যাবে। তখন একটি বড় পরিবর্তন হবে।

আরও পড়ুননিজের যে সিদ্ধান্তের জন্য অনুতপ্ত বিল গেটস২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

এআই প্রযুক্তি দ্রুতগতির পরিবর্তন দেখে বেশ অবাক বিল গেটস। তাই তিনি নিজে কঠিন সব বিষয় বোঝার জন্য এআইকেন্দ্রিক বিভিন্ন টুল ব্যবহার করেন। তরুণদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিল গেটস জানান, তরুণদের কৌতূহলী হতে হবে। বিভিন্ন এআই টুলের ব্যবহার শিখতে হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদিও সেই চলার পথে বাধা আসার আশঙ্কা রয়েছে।

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

আরও পড়ুনযে পেশা ছাড়া প্রায় সব এআই দখল করে নেবে০২ এপ্রিল ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক ত র ম ব দ ধ মত ত র ব ল গ টস

এছাড়াও পড়ুন:

পরিবর্তন কেবল পরিবর্তনের জন্য নয়, কোনটা বিভেদ, খেয়াল রাখতে হবে: মঈন খান

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেছেন, কসমেটিক পরিবর্তন দিয়ে বাংলাদেশের আঠারো কোটি মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন সম্ভব নয়। প্রকৃত পরিবর্তনের জন্য প্রথমে মানুষের অন্তরের পরিবর্তন দরকার।

আজ শনিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন আবদুল মঈন খান। ‘ফিরে দেখা রক্তঝরা জুলাই আগস্ট প্রত্যাশা আর প্রাপ্তি’ শীর্ষক কথকতার আয়োজন করে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি।

আবদুল মঈন খান বলেন, ‘বলা হচ্ছে সংবিধানের কিছু পরিবর্তন হবে, কিন্তু আমি বলব, পুরো সংবিধান পাল্টে দিলেও যারা সংবিধান তৈরি ও পালন করে, এ দেশের জনগণের অন্তরের পরিবর্তন না হলে কোনো লাভ হবে না। আমরা পরিবর্তন চাই, কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে, পরিবর্তন কেবল পরিবর্তনের জন্য নয়। কোনটা বিভেদ, সেটাও খেয়াল রাখতে হবে।’

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে ১৬শ হত্যাকাণ্ডের জন্য ১৬শ মামলা হওয়া উচিত ছিল।’ এ প্রসঙ্গে আবদুল মঈন খান বলেন, ‘আমি আইনজ্ঞ না হয়েও বলছি, যদি ১৬শ মামলা হয়, তাহলে আধুনিক বিচারব্যবস্থায় এসব মামলার বিচার হতে ১৬শ বছর লাগবে। বরং বাংলাদেশে যে হত্যাকাণ্ড হয়েছে, তার বিচারের জন্য একটি মামলাই যথেষ্ট। আর কোনো সৎ সাহসী সরকার হলে ১৬ ঘণ্টায় এই বিচার সম্পন্ন করা সম্ভব।’

চব্বিশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পার হলেও মানুষের আকাঙ্ক্ষা কতটা বাস্তবায়ন হয়েছে, সে বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা। তিনি বলেন, ‘আমরা সংস্কারের কথা বলছি, আমি প্রশ্ন করতে চাই, যে প্রত্যাশা নিয়ে চব্বিশের জুলাই–আগস্ট এসেছিল, আজকের জুলাই–আগস্টে তার কতটা পূরণ হয়েছে? দীর্ঘ ফ্যাসিবাদের সময়ে যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আমরা আন্দোলন করেছিলাম, সেটা কি পূরণ হয়েছে? কেন আমাদের উত্তরণ হয়নি, সেই প্রশ্ন করতে হবে।’

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের কথা সবাই বললেও কেউ শহীদদের ধারণ করছে না বলে মন্তব্য করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, ‘জুলাইয়ের গল্প অনেকটা একাত্তরের গল্পের মতো হয়ে যাচ্ছে। সবাই বলছে, কিন্তু শহীদদের কেউ ধারণ করছে না। এসব চিহ্ন দেখলে মনে হয়, প্রকৃতপক্ষে নতুন বন্দোবস্ত হচ্ছে না। বরং আমরা পুরোনো ধারায় থেকে যাব। সরকারের পক্ষ থেকে এখনো শহীদের সঠিক তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল।’

রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিলনায়তনে ‘ফিরে দেখা রক্তঝরা জুলাই আগস্ট প্রত্যাশা আর প্রাপ্তি’ শীর্ষক কথকতায় বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। আজ শনিবার সকালে

সম্পর্কিত নিবন্ধ