ট্রেনের বগিতে হাতির ধাক্কায় ‘উন্নয়ন’ কি টলে গেল
Published: 2nd, August 2025 GMT
বাংলাদেশে ‘উন্নয়ন’ যেন অন্ধ কসাইয়ের হাতের ছুরি, যেখানে যায়, সেখানেই নির্বিচার কাটে—হোক তা বন, পাহাড় কিংবা হাতির চলার পথ (করিডর)। উন্নয়নের নামে এমন ‘পরিবেশবিনাশী’ প্রকল্পের অন্যতম উদাহরণ চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০৩ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ।
লোহাগাড়ার চুনতি, ফাঁসিয়াখালী, মেধাকচ্ছপিয়া সংরক্ষিত বনের ২৭ কিলোমিটার এলাকা চিরে পাতা হয়েছে এটি। কাটা পড়েছে প্রায় আড়াই লাখ গাছ। একের পর এক পাহাড়-টিলা কেটে সমতল করা হয়েছে। এ রেলপথ শুধু গাছ বা পাহাড়ই কাটেনি, হাতির চলাচলের পথও ‘কেটে’ দিয়েছে। রেলপথটি যেন ধুঁকতে থাকা প্রকৃতির ওপর আরেক দফায় দুরমুশপেটা।
অগ্রাধিকার প্রকল্প বলে কথা, তাই পদে পদে পরিবেশের গলা চিপে ধরা হলেও বন বিভাগ কিংবা পরিবেশ অধিদপ্তর বাধা দেয়নি। উল্টো বনের ২০৭ একর এলাকা এক ফরমাশে ‘সংরক্ষিত’ থেকে হয়ে গেছে ‘উন্মুক্ত’।
অবশ্য পরিবেশ সংরক্ষণে চারটি শর্ত দিয়েছিল বন বিভাগ। বলাই বাহুল্য, সেসব শর্ত পুরোপুরি মানা হয়নি। ফলে বিপণ্নপ্রায় এশিয়ান হাতি চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতা যেমন তৈরি হয়েছে, তেমনি প্রাণীগুলোর জীবনও পড়েছে ঝুঁকিতে।
গত বছরের অক্টোবরে একটি বাচ্চা হাতি ট্রেনের ধাক্কায় মারা যায়। জুলাইয়ের ২২ তারিখ রাতেও চুনতির বনে ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ যেতে বসেছিল একটি হাতির। চালক দেখতে পেয়ে ট্রেন থামিয়েছিলেন বলে প্রাণীটি রক্ষা পেয়েছে।
তবে রেলপথের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা হাতিটিকে সরাতে বারবার ট্রেনের হুইসেল বাজানো হয়। এতে ‘বিরক্ত’ হয়ে সে একটি বগিতে ধাক্কা দিতে থাকে। এতে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অবশ্য শেষতক অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটেনি।
দুটি ওভারপাস নির্মাণের কথা থাকলেও নির্মাণ করা হয়েছে একটি। গত ১১ ডিসেম্বর চুনতি বন্য প্রাণী অভয়ারণ্যের জাঙ্গালিয়া এলাকায়.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ব শ
এছাড়াও পড়ুন:
সন্ধ্যায় সারা দিনের আলোচিত খবর
ছবি: প্রথম আলো