জামায়াত আমিরের হার্টে সফল অস্ত্রোপচার
Published: 2nd, August 2025 GMT
জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানের ওপেন হার্ট সার্জারি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আজ শনিবার সকাল সাতটায় তাঁকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। অস্ত্রোপচারের পর তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
ইউনাইটেড হাসপাতালের চিফ কার্ডিয়াক সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর কবিরের নেতৃত্বে একদল চিকিৎসক এই অস্ত্রোপচারে অংশ নেন।
অস্ত্রোপচারের পর আজ দুপুরে ইউনাইটেড হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন চিকিৎসক দলের প্রধান ডা.
ডা. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, শফিকুর রহমানের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই তিনি বাসায় ফিরতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি হাসপাতালের ডা. শহিদ আলম চৌধুরী, হাসপাতালের পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৯ জুলাই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের জাতীয় সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় মঞ্চে দুবার ঢলে পড়েন শফিকুর রহমান। পাশে থাকা নেতা-কর্মীরা তাঁকে ঘিরে ধরেন। কিছুক্ষণ পর মঞ্চে ডায়াসের পাশে পা মেলে বসে বক্তব্য শেষ করেন। সমাবেশ শেষে তাঁকে রাজধানীর ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেদিন পরীক্ষা–নিরীক্ষায় তেমন কিছু ধরা না পড়ায় পরদিন তিনি বাসায় ফিরে যান। এরপর ইউনাইটেড হাসপাতালে এনজিওগ্রাম করলে আর্টারিতে (ধমনি) ছোট-বড় পাঁচটি ব্লক ধরা পড়ে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বরিশালের কোচ হচ্ছেন আশরাফুল
ক্রিকেটে দীর্ঘ দুই দশকের ক্যারিয়ার শেষে কোচিংয়ে ক্যারিয়ার গড়ছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। গত বছর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে কোচিং করিয়েছেন আশরাফুল। কিছুদিন আগে গ্লোবাল সুপার লিগে রংপুর রাইডার্সের কোচ হয়েছিলেন। এরই মধ্যে আইসিসির লেভেল-৩ কোচ শিক্ষা কোর্স শেষে সার্টিফিকেট পেয়েছেন।
এবার বড় ধৈর্ঘ্যর ক্রিকেটেও তাকে দেখা যাবে। অক্টোবরে জাতীয় ক্রিকেট লিগে বরিশাল বিভাগের কোচিংয়ের দায়িত্ব পেতে আগ্রহ দেখিয়েছেন আশরাফুল। বিসিবিরও ইচ্ছা আশরাফুল দলটির দায়িত্ব নিক। বিসিবির পরিচালক ও টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেছেন, ‘‘বরিশাল দলকে নিয়ে আমরা খুব সিরিয়াসলি চিন্তা করছি। সে (আশরাফুল) আগ্রহ দেখিয়েছে। সেই বলেছে কোচ হতে চায়। যেহেতু দুই বছর খেলেছে বরিশালে। আমরা তাকে সেখানে কোচ হিসেবে রাখার পরিকল্পনা করেছি।’’
তবে বরিশাল বিভাগের দল নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি আকরাম খানরা। গত বছর লিগ চলাকালীন নিয়মিত অধিনায়ক ফজলে মাহমুদ দল ছেড়ে চলে যান। পরবর্তীতে অধিনায়কত্ব না করার শর্তে খেলেন। পক্ষপাতমূলক অধিনায়কত্ব করার অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে।
আরো পড়ুন:
কোচিংয়ে আগ্রহ বাড়ছে ক্রিকেটারদের
ভারত সফরে ধোনি-কোহলিদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলবেন মেসি
সোহাগ গাজী যুক্ত হলেও পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়। কোচ আশিকুর রহমানও দায়িত্ব ছেড়ে চলে যান। ড্রেসংরুমের অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হয়। যা বিসিবির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন কোচ, অধিনায়ক, ম্যানেজার। এ বছরের দল গঠন নিয়েই চরম বিপাকে।
ফজলে রাব্বী ও সোহাগ গাজীর আলাদা গ্রুপ তৈরি হওয়াতে বিসিবি পড়েছে জটিলতায়। তবে পরিস্থিতি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে জিরো টলারেন্স দেখানো হবে বলে জানিয়েছেন আকরাম খান,
‘‘বরিশালকে নিয়েও আমরা আলাপ–আলোচনা করেছি। চিন্তাভাবনা করছি— যেহেতু অনেক...এরা ম্যানেজার নিয়ে খুশি না, কোচ নিয়ে খুশি না, অধিনায়ক নিয়ে খুশি না। খেলোয়াড়–খেলোয়াড় দ্বন্দ্ব আছে। এটা তো হওয়া আসলে উচিত না। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এটা সিরিয়াসলি মনিটর করব— যদি দেখি কেউ ডিপ্রাইভ হচ্ছে।, খেলা নষ্ট হচ্ছে, বা মান সম্মান খারাপ হচ্ছে। তাহলে আমরা অ্যাকশন নেবো।’’
ঢাকা/ইয়াসিন