মানিকগঞ্জে প্লাস্টিক কারখানার আগুন, ৬০ কোটি টাকার ক্ষতি
Published: 2nd, August 2025 GMT
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ তৈরির কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২ আগস্ট) সকাল সোয়া ১০টার দিকে উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের ভাকুম এলাকার কারখানায় আগুন লাগে। পরে ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনীর সদস্যরা দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, আগুনে তাদের প্রায় ৬০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় ও শ্রমিকরা জানান, সকালে ৫-৬ জন শ্রমিক কারখানায় কাজ করছিলেন। এসময় আইপিএস রুম থেকে আগুন ও ধোঁয়া বের হয়। অল্প সময়ের মধ্যে আগুন পুরো কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে। টহল দেওয়ার সময় ঘটনাটি নজরে আসে সেনাবাহিনীর। তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি প্রাথমিকভাবে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন এবং ফায়ার সার্ভিসকে অবহিত করেন।
আরো পড়ুন:
টঙ্গীতে খোলা ম্যানহোলে পড়ে নারী নিখোঁজ, চলছে উদ্ধার অভিযান
এখনো নিখোঁজ দুই যুবক, বিলের ধারে স্বজনদের আহাজারি
সিংগাইর, সাভার চামড়া শিল্প এলাকা ও মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
কারখানার মালিক মো.
তিনি আরো বলেন, “আগুনে ৬০ থেকে ৬৫ কোটি টাকার মালামালের ক্ষতি হয়েছে। কারখানার ভেতরে থাকা শ্রমিকরা নিরাপদে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন।”
সেনাবাহিনীর সিনিয়র ক্যাম্প কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর বলেন, “আমরা নিয়মিত টহলে ছিলাম। হঠাৎ আগুনের ধোঁয়া দেখতে পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। প্রাথমিকভাবে সহায়তা করি। কাঁচের জানালা ভেঙে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সহযোগিতা করি। পাঁচজন শ্রমিক ছিলেন, তারা নিরাপদে বেরিয়ে আসেন।”
সিঙ্গাইর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লিডার মহিবুর রহমান বলেন, “ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করি। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তের পর জানা যাবে।”
সিংগাইর থানার ওসি জে ও এম তৌফিক আজম বলেন, “সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসসহ অন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণ কাজ করে। তাৎক্ষণিক ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ জানা সম্ভব হয়নি।”
ঢাকা/চন্দন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আগ ন আগ ন ন ক জ কর
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনের দিন অমোচনীয় কালি সরবরাহ না হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে: ছাত্রদল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে অমোচনীয় কালি সরবরাহ না করলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতারা। এ ছাড়া এমফিল কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্রদলকে ভোট প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
রোববার উপাচার্যের সভাকক্ষে রাজনৈতিক ও সক্রিয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫–এর আচরণবিধিবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় ছাত্রদলের নেতারা এমন মন্তব্য করেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘নির্বাচনে যদি কোনো ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটে, তাহলে আমরা একচুল ছাড় দেব না। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, যদি কোনো ধরনের অনিয়ম হয়— কোনো ছাড় হবে না। নির্বাচনের সময় অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে হবে। যদি নির্বাচন কমিশন অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে।’
ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ‘ম্যানুয়ালি’ ভোট গণনার দাবি জানিয়ে শামসুল আরেফিন বলেন, ‘কত ব্যালট ছাপানো হলো, কত ভোট গণনা হলো, কত ব্যালট নষ্ট হলো—এসব তথ্য স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকাশ করতে হবে। কারণ, আমরা ডাকসুতে ব্যালট কেলেঙ্কারির অভিযোগ সম্পর্কে জানি।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ বিধিমালায় এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ছাত্রদলকে ‘মাইনাস’ করার একটি মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জকসু গঠন ও পরিচালনা বিধিমালায় বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর নিয়মিত শিক্ষার্থী ভোটার কিংবা প্রার্থী ছাড়া কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। অন্যদিকে এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থীর যোগ্যতা না দিয়ে আমাদের মাইনাস করা ছিল মাস্টারপ্ল্যান—আর সেই মাস্টারপ্ল্যান সফল হয়েছে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য রেজাউল করিম, প্রক্টর, সিন্ডিকেটের সদস্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর নির্বাচন কমিশনার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।