ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, ‘‘বহুল প্রত্যাশিত জুলাই সনদ জনআকাঙ্ক্ষা পূরণে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। তাই জনগণ এই সনদ প্রত্যাখ্যান করেছে। শুধু যেনতেন একটি নির্বাচনের জন্য ছাত্র-জনতা জুলাই অভ্যুত্থানে জীবন দেয়নি।’’

শনিবার (২ আগস্ট) রাজধানী উত্তরের ভাটারাস্থ নগর উত্তর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নিয়মিত নগর, সহযোগী সংগঠন ও থানা শাখার যৌথ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

ঢাকা মহনগর উত্তর সেক্রেটারি মাওলানা মুাহাম্মাদ আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, মাওলানা নুরুল ইসলাম নাঈম, ইঞ্জিনিয়ার মুরাদ হোসেন, মুফতি ফরিদুল ইসলাম প্রমুখ। 

মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ ঐক্যমত্য কমিশনের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘প্রায় দেড় হাজার শিশু-কিশোর, ছাত্র-যুবক জীবন দিয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার ও সকল ধরণের বৈষম্য দূর করার জন্য। বিশ হাজার আহত এখনো সুচিকিৎসা পায়নি। সংস্কার অসম্পূর্ণ, খুনিদের বিচার দৃশ্যমান হয়নি। ফ্যাসিস্টরা এখনো মিছিল বের করে, রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়। অথচ তাদেরকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে না। পুলিশসহ প্রশাসনের সর্বত্র আওয়ামী দোসরা এখনো বহাল তবিয়তে আছে। অতএব প্রয়োজনীয় সংস্কার ও খুনীদের বিচার ব্যতীত কোনভাবেই নির্বাচনে যাওয়া যাবে না।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘জুলাই সনদে জুলাই ২৪ অভ্যুত্থানের সাংবিধানিক ভিত্তি, আইনি কার্যকারিতা থাকতে হবে। খুনিদের নামের তালিকা, তাদের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি-গোষ্ঠির উল্লেখ থাকতে হবে। জুলাই যোদ্ধাদের সার্বিক নিরাপত্তা, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত, রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কার, নির্বাচন কমিশন, আইন ও বিচার ব্যবস্থার সংস্কার, আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষার সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা থাকতে হবে। ভবিষ্যতে যেন কেউ রাষ্ট্র যন্ত্রকে ব্যবহার করে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে না পারে, তার গ্যারান্টি থাকবে জুলাই সনদে।’’

ঢাকা/নঈমুদ্দীন// 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ল ই সনদ ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

‘ফিরিয়ে দাও’ থেকে ‘ধূসর সময়’: সিডনিতে একই মঞ্চে মাইলস ও আর্টসেল

সিডনির বসন্তের সন্ধ্যা। লিভারপুলের হুইটল্যাম লেজার সেন্টারের বাইরে তখন লম্বা লাইন—হাতে পতাকা, কাঁধে ব্যাগ, চোখে প্রত্যাশা। সাউন্ডচেকের শব্দ ভেসে আসছে বাইরে। ভেতরে যেন উন্মুখ এক ‘সাগর’, যেখানে মিশে আছে দুই প্রজন্মের মুখ, কণ্ঠ আর স্মৃতি। শনিবার রাতটি হয়ে উঠেছিল প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এক ব্যতিক্রমী উৎসব—বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের দুই যুগের দুই প্রতীক, মাইলস ও আর্টসেল; প্রথমবারের মতো একই মঞ্চে গান করল সিডনিতে।
‘গ্রিনফিল্ড এন্টারটেইনমেন্ট’ আয়োজিত এই ‘মিউজিক ফেস্ট’ ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছিল, তা যেন উপচে পড়ল সেই রাতে। টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পরপরই সব শেষ। অনুষ্ঠান শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিম উপশহর লিভারপুলের রাস্তাগুলো ভরে গেল গানের ভক্তে।

আয়োজনের আগে ভিডিও বার্তায় মাইলস জানায় তাদের উচ্ছ্বাস। ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য হামিন আহমেদ বলেন, ‘সিডনি বরাবরই আমাদের কাছে বিশেষ কিছু। সম্ভবত ১৯৯৬ সালে আমরাই প্রথম বাংলাদেশি ব্যান্ড হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় পারফর্ম করি। এরপর এ নিয়ে অন্তত পঞ্চমবারের মতো সিডনিতে এলাম। এখানকার দর্শকদের ভালোবাসা সব সময়ই অবিশ্বাস্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম এটি স্মরণীয় একটি আয়োজন হতে যাচ্ছে। আমরা চেয়েছি সবাই একসঙ্গে গাইবে, চিৎকার করবে—ভক্তরা সেটাই করেছেন।’ গিটারিস্ট তুজো যোগ করেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি শহরে ট্যুর করছি, কিন্তু সিডনির আবহ একেবারেই আলাদা। দর্শকেরা আমাদের রাতটিকে স্মরণীয় করে দিয়েছেন।’

মঞ্চে আর্টসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ