রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় আজ শনিবার পদ্মা নদী থেকে ধরা ২ কেজি ৪৩০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১২ হাজার ৬০০ টাকায়। স্থানীয় এক মাছ ব্যবসায়ী জেলেদের কাছ থেকে ইলিশটি কিনে ঠাকুরগাঁওয়ে বিক্রি করেন।

স্থানীয় মৎস্যজীবীরা জানান, শনিবার সকালে গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের চর মজলিশপুর এলাকার জেলে বাচ্চু হালদারসহ কয়েকজন পদ্মা নদীতে মাছ শিকারে যান। তাঁরা দৌলতদিয়ার চর করনেশনা এলাকায় জাল ফেলেন। সকালে তাঁরা জাল গুছিয়ে নৌকায় তুলেই দেখতে পান বড় এক ইলিশ ধরা পড়েছে। এ ছাড়া তাঁদের জালে কয়েক দফায় আরও তিনটি ইলিশ ধরা পড়ে। ইলিশ চারটি তাঁরা দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকার মাছ ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখের কাছে বিক্রি করেন।

দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার মাছ ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ বলেন, এর মধ্যে একটির ওজন ছিল ২ কেজি ৪৩০ গ্রাম এবং অন্য তিন ইলিশের মোট ওজন ছিল প্রায় ৩ কেজি ১০০ গ্রাম। ২ কেজি ৪৩০ গ্রাম ওজনের ইলিশটি ৫ হাজার টাকা কেজি দরে ১২ হাজার ১৫০ টাকা দিয়ে কেনেন। এ ছাড়া ৩ কেজি ১০০ গ্রাম ওজনের অন্য তিনটি ইলিশ ৮ হাজার টাকায় কেনেন।

শাহজাহান শেখ ইলিশগুলো বিক্রির জন্য পরিচিত ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ ছাড়া তাঁর ফেসবুক পেজে পোস্ট করেন। পরে ঠাকুরগাঁওয়ের এক চাল ব্যবসায়ী কেনার আগ্রহ দেখালে বড় ইলিশটি ১২ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি করেন। অন্য তিনটি ইলিশও তাঁর কাছে ২ হাজার ৭০০ টাকা কেজি দরে ৮ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি করেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ১২ হ জ র দ লতদ য় ব যবস য়

এছাড়াও পড়ুন:

চকবাজারে প্রিজন ট্রাকের ধাক্কায় ঠেলাগাড়ির শ্রমিক নিহত

রাজধানীর চকবাজারে প্রিজন ট্রাকের ধাক্কায় সোহাগ হাওলাদার (৩০) নামের ঠেলাগাড়ির এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন।

আজ রোববার বেলা সোয়া একটার দিকে চকবাজারের নাজিমুদ্দিন রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

সহকারী প্রধান কারারক্ষী সাইফুল ইসলাম বলেন, দুপুরে কেরানীগঞ্জ থেকে কারা সদর দপ্তরের দিকে যাচ্ছিল ট্রাকটি। ট্রাকটি চালাচ্ছিলেন মনসুর নামের এক চালক। নাজিমুদ্দিন রোডে পৌঁছালে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

সোহাগের সহকর্মীরা বলেন, দুপুরে আগামাছি লেন থেকে তাঁরা চারজন মিলে ঠেলাগাড়িতে ইট বহন করে নাজিমুদ্দিন রোড দিয়ে যাচ্ছিলেন। নাজিমুদ্দিন রোডের বড় মসজিদের সামনে পৌঁছালে দ্রুতগতির একটি প্রিজন ট্রাক ঠেলাগাড়িতে ধাক্কা দেয়। এতে সোহাগ সড়কে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে সোহাগকে উদ্ধার করে বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

সোহাগের সহকর্মী আশরাফুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার পর এলাকাবাসী ট্রাক ও চালককে আটক করেছেন।

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, সোহাগের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।

নিহত সোহাগের বাড়ি বরিশালের মুলাদী উপজেলায়। বাবার নাম দুলাল হাওলাদার। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে সোহাগ কেরানীগঞ্জের জিনজিরা এলাকায় থাকতেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ