ওজন বেড়ে যাওয়ার পেছনে শুধুমাত্র খাবার দায়ী নয়, অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণেও ওজন বেড়ে যেতে পারে। চিকিৎসকেরা ওজন কমানোর জন্য সারাদিনের খাবারে প্রক্রিয়াজত খাবারের বদরে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রাখার পরামর্শ দেন।
ভারতীয় চিকিৎসক জয়শন পাল বলেছেন, ‘‘ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পাশাপাশি ওজন কমানোর আরেকটি গুরত্বপূর্ণ শর্ত হলো পর্যাপ্ত ঘুম। রাতে একটানা ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম অত্যন্ত জরুরি।’’
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সকালেই আরও যে কাজগুলো করতে পারেন
দুই গ্লাস পানি পান করুন
শরীর হাইডেট রাখতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সকালে ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে পান করুন দুই গ্লাস স্বাভাবিক পানি। আপনি জানেন? পানিতে কোনো ক্যালরি থাকে না। কিন্তু পানি শরীরের ক্যালোরি বার্ন করতে সাহায্য করে। সারা িদিনে ২ থেকে ৩ লিটার পানি অবশ্যই পান করা উচিত।
সকালে ঝাল নাস্তা করুন
ফ্যাট কমাতে এবং হজমশক্তি বাড়াতে সকালের নাস্তায় মরিচের ঝাল, ঝাল হট সস বা ব্ল্যাক পেপারের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে পারেন।
দারচিনি চা পান করতে পারেন
সকাল শুরু করা দরকার দারচিনির জল দিয়ে। জলে দারচিনি ফুটিয়ে ভেষজ চা হিসাবে খান অনেকেই। পুষ্টিবিদদের মতে, দারচিনির চা খুব ভাল ‘ডিটক্স’ পানীয়। অর্থাৎ এই চা শরীর থেকে টক্সিন বার করতে সাহায্য করে। দারচিনি মেদ ঝরাতেও সাহায্য করে। রোজ সকালে দারচিনি দেওয়া চা খেলে হজমশক্তি বাড়ে।
চিয়া খেতে পারেন
ফাইবার, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন এবং খনিজে পূর্ণ চিয়াবীজ ভিজিয়ে খাওয়াও খুবই ভাল।এরিকার মতে, টক দইয়ের সঙ্গে ভেজানো চিয়াবীজ খেলে পেটও ভরবে আবার রক্তে শর্করার মাত্রাও বশে থাকবে। চিয়াবীজে খাকা ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
শরীরে সকালের রোদ লাগান
সকালের রোদ শরীরের মেটাবলিজমের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। সকালের রোদ ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি সকালের রোদ শরীরের ফ্যাটও কমায়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সকালের রোদ গায়ে লাগান, তাদের ওজন কম হয়। বিশেষ করে যারা দিনের পরবর্তী অংশে রোদে যান, তাদের তুলনায়।
হাঁটাহাঁটি করতে পারেন
সকালে হালকা রোদে মিনিট দশেক হাঁটলেও লাভ অনেক। ওজন কমানোর জন্য হাঁটাহাঁটি ভাল। মেদ ঝরানোর জন্য তা খুব জরুরি। হাঁটলে মাংসেপশি সবল হয়। হার্টও ভাল থাকে। রোদের সংস্পর্শে ভিটামিন ডি তৈরি হয় ত্বকে।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স হ য য কর ওজন কম র জন য প ন কর
এছাড়াও পড়ুন:
অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ
দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।
এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।
শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।
সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫