গণ-অভ্যুত্থানের কিছুদিন পর হঠাৎ বদলে যায় সাবেক ‘সমন্বয়ক’ জানে আলমের জীবনযাপন
Published: 3rd, August 2025 GMT
রাজধানীর গুলশানে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলমের (অপু) বাড়ি জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের পুনঘরদীঘি গ্রামে। স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, জানে আলম নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। গণ-অভ্যুত্থানের কিছুদিন পর হঠাৎ করেই বদলে যায় তাঁর জীবনযাপন। দামি পোশাক, প্রাইভেট কারে চলাফেরা, প্রভাবশালী রাজনীতিক ও পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছবি—এসব তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেখা যায়।
জয়পুরহাটের পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানে আলমকে সমীহ করতেন। গণ-অভ্যুত্থানের পর প্রথম তিনি ১১ আগস্ট জয়পুরহাট আসেন। সে সময়কার জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নুরে আলম তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। বর্তমান পুলিশ সুপার মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাবও তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। এসব ছবি এখনো ফেসবুকে আছে। জানে আলম এলাকায় এসে নিজেকে বিরাট ক্ষমতাধর ব্যক্তি বলে পরিচয় দিতেন। গুলশানে চাঁদাবাজিতে তাঁর জড়িত থাকার ঘটনায় তাঁর গ্রামের বাসিন্দারা তাই ‘বিস্মিত’ হননি।
আরও পড়ুনঅনটনের মধ্যে বেড়ে ওঠা ছাত্রের বাড়িতে হঠাৎ উঠছে ভবন, এলাকায় নানা আলোচনা২৭ জুলাই ২০২৫পুনঘরদীঘি গ্রামের বাসিন্দা ও জানে আলমের প্রতিবেশী শফিউল আলম বলেন, ‘জানে আলম বয়সের তুলনায় অনেক পাকা ছিল। তার গ্রামের বাড়িতে কেউ থাকে না। এনসিপির জয়পুরহাটের প্রোগ্রামের সময় কিছু সময়ের জন্য গ্রামের বাড়িতে এসেছিল। কয়েক দিন পর আমরা জানতে পারি, গুলশানে তার চাঁদাবাজির ঘটনার ভিডিও বের হয়েছে। অপুর এমন ঘটনায় আমরা বিস্মিত হইনি।’
স্থানীয় লোকজন বলেছেন, জানে আলম এলাকায় ছাত্রদল করতেন। বর্তমানে তিনি রাজধানীর গ্রিন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারীদের মধ্যে সামনের সারির একজন সমন্বয়ক হিসেবে তাঁকে দেখা যেত।
গুলশানের চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার জানে আলমের গ্রামের বাড়ি। সম্প্রতি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার পুনঘরদীঘি গ্রামে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আলম র
এছাড়াও পড়ুন:
গণ-অভ্যুত্থানের কিছুদিন পর হঠাৎ বদলে যায় সাবেক ‘সমন্বয়ক’ জানে আলমের জীবনযাপন
রাজধানীর গুলশানে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলমের (অপু) বাড়ি জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের পুনঘরদীঘি গ্রামে। স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, জানে আলম নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। গণ-অভ্যুত্থানের কিছুদিন পর হঠাৎ করেই বদলে যায় তাঁর জীবনযাপন। দামি পোশাক, প্রাইভেট কারে চলাফেরা, প্রভাবশালী রাজনীতিক ও পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছবি—এসব তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেখা যায়।
জয়পুরহাটের পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানে আলমকে সমীহ করতেন। গণ-অভ্যুত্থানের পর প্রথম তিনি ১১ আগস্ট জয়পুরহাট আসেন। সে সময়কার জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নুরে আলম তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। বর্তমান পুলিশ সুপার মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাবও তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। এসব ছবি এখনো ফেসবুকে আছে। জানে আলম এলাকায় এসে নিজেকে বিরাট ক্ষমতাধর ব্যক্তি বলে পরিচয় দিতেন। গুলশানে চাঁদাবাজিতে তাঁর জড়িত থাকার ঘটনায় তাঁর গ্রামের বাসিন্দারা তাই ‘বিস্মিত’ হননি।
আরও পড়ুনঅনটনের মধ্যে বেড়ে ওঠা ছাত্রের বাড়িতে হঠাৎ উঠছে ভবন, এলাকায় নানা আলোচনা২৭ জুলাই ২০২৫পুনঘরদীঘি গ্রামের বাসিন্দা ও জানে আলমের প্রতিবেশী শফিউল আলম বলেন, ‘জানে আলম বয়সের তুলনায় অনেক পাকা ছিল। তার গ্রামের বাড়িতে কেউ থাকে না। এনসিপির জয়পুরহাটের প্রোগ্রামের সময় কিছু সময়ের জন্য গ্রামের বাড়িতে এসেছিল। কয়েক দিন পর আমরা জানতে পারি, গুলশানে তার চাঁদাবাজির ঘটনার ভিডিও বের হয়েছে। অপুর এমন ঘটনায় আমরা বিস্মিত হইনি।’
স্থানীয় লোকজন বলেছেন, জানে আলম এলাকায় ছাত্রদল করতেন। বর্তমানে তিনি রাজধানীর গ্রিন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারীদের মধ্যে সামনের সারির একজন সমন্বয়ক হিসেবে তাঁকে দেখা যেত।
গুলশানের চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার জানে আলমের গ্রামের বাড়ি। সম্প্রতি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার পুনঘরদীঘি গ্রামে