রাজশাহী কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি, আসন ৫০০টি
Published: 3rd, August 2025 GMT
রাজশাহী কলেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত ভর্তি নীতিমালা ২০২৫-২০২৬ অনুযায়ী একাদশ শ্রেণিতে মোট ৫০০জন ছাত্রছাত্রী ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
# ভর্তির ১ম পর্যায়ে আবেদনের তারিখ: ১১/০৮/২০২৫ পর্যন্ত।
আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা—আবেদনকারীদের ২০২৩, ২০২৪ ও ২০২৫ সালে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীরা ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে।
১.বিজ্ঞান বিভাগ:
বাংলা ভার্সন– বিজ্ঞান শাখায় ভর্তি হতে লাগবে–ন্যূনতম জিপিএ ৫.০০,
শর্ত: বিজ্ঞান গ্রুপের মোট ৩০০ আসন সংখ্যার বিপরীতে বিভিন্ন কোটায় আবেদনের ক্ষেত্রেও ন্যূনতম প্রাক-যোগ্যতা হতে হবে জিপিএ ৫.০০। আসন সংখ্যা ৩০০টি।
বাংলা ভার্সন– মানবিক শাখায় ভর্তি হতে লাগবে–
মানবিক থেকে মানবিকে জিপিএ ৪.৫০,
বিজ্ঞান থেকে মানবিকে জিপিএ ৪.৫০,
ব্যবসায় শিক্ষা থেকে মানবিকে জিপিএ ৪.৫০।
শর্ত: মানবিক গ্রুপের মোট ১০০ আসন সংখ্যার বিপরীতে বিভিন্ন কোটায় আবেদনের ক্ষেত্রেও ন্যূনতম প্রাক-যোগ্যতা থাকতে হবে জিপিএ ৪.৫০। আসন সংখ্যা ১০০টি।
বাংলা ভার্সন–ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ভর্তি হতে লাগবে–
ব্যবসায় শিক্ষা থেকে ব্যবসায় শিক্ষায় জিপিএ ৪.৫০,
বিজ্ঞান থেকে ব্যবসায় শিক্ষায় জিপিএ ৪.৫০,
মানবিক থেকে ব্যবসায় শিক্ষায় জিপিএ ৪.৫০।
শর্ত: মানবিক গ্রুপের মোট ১০০ আসন সংখ্যার বিপরীতে বিভিন্ন কোটায় আবেদনের ক্ষেত্রেও ন্যূনতম প্রাক-যোগ্যতা থাকতে হবে জিপিএ ৪.৫০। আসন সংখ্যা ১০০টি।
১. একাদশ শ্রেণিতে ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। অনলাইনে আবেদনের জন্য ওয়েবসাইট এর ঠিকানা
২. অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থীকে ২২০ টাকা আবেদন ফি জমা সাপেক্ষে সর্বনিম্ন ৫ টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানের জন্য পছন্দক্রমের ভিত্তিতে আবেদন করতে পারবে। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে তার মধ্য থেকে শিক্ষার্থীর মেধা, কোটা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি মাত্র কলেজে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।
প্রার্থী নির্বাচনে অনুসরণীয় পদ্ধতি—১. ভর্তির জন্য কোন বাছাই বা ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে না। কেবল শিক্ষার্থীর এস.এস.সি. বা সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে।
২. কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানের ৯৩% আসন সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে যা মেধার ভিত্তিতে নির্বাচন করা হবে।
৩. শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১% এবং অধীনস্থ দপ্তর বা সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের সন্তানদের ক্ষেত্রে ১% সহ মোট ২% আসন মহানগর, বিভাগীয় ও জেলা সদরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য নুন্যতম যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে সংরক্ষিত থাকবে। যদি আবেদনকারীর সংখ্যা বেশী হয় সেক্ষেত্রে তাদের নিজেদের মধ্যে মেধার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাবে।
৪. আবেদনের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারী কর্তৃক দপ্তর প্রধানের প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নিজস্ব দপ্তরের প্রধান হলে সেক্ষেত্রে তাঁর একধাপ উপরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে।
৫.মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যার ভর্তির জন্য ৫% আসন সংরক্ষিত থাকবে। মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র কন্যাদের আসন নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রমাণ পত্র বা গেজেটের সত্যায়িত কপি আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে এবং ভর্তির সময় মূল কপি প্রদর্শন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে ইস্যুকৃত মুক্তিযোদ্ধা সনদ যথাযথভাবে যাচাই করে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা পাওয়া না গেলে মেধা তালিকা থেকে উক্ত আসনে ভর্তি করা হবে।
# বিস্তারিত তথ্য জানতে ওয়েবসাইট: https://rc.gov.bd, https://rc.edu.bd
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবস য় শ ক ষ জ প এ ৪ ৫০ সমম ন র প আসন স খ য কর মকর ত ন য নতম য গ যত ম নব ক
এছাড়াও পড়ুন:
সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি বাণিজ্য-বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করবে: ঢাকা চেম্বার
বাংলাদেশ ব্যাংকের ধারাবাহিক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও শিল্পায়ন কার্যক্রমে স্থবিরতা তৈরি করতে পারে বলে মন্তব্য করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। সংস্থাটি বলছে, কড়াকড়ি মুদ্রানীতির প্রভাবে ঋণপ্রবাহ কমে যাওয়ায় দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে ডিসিসিআই জানায়, ২০২৫ সালের জুনের শেষে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমে ৬.৪ শতাংশে নেমে এসেছে, যা গত ২২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এ ধারা অর্থনীতির জন্য উদ্বেগজনক। চেম্বার মনে করে, ব্যবসায়িক পরিবেশে অনিশ্চয়তা, আইন-শৃঙ্খলার চ্যালেঞ্জ, জ্বালানি সরবরাহে ঘাটতি এবং কঠোর মুদ্রানীতির কারণে ঋণ প্রবৃদ্ধির নিম্নমুখী ধারা আরো তীব্র হচ্ছে।
ডিসিসিআই আরো জানায়, ঋণ প্রবাহ সংকুচিত হওয়ার ফলে খেলাপি ঋণ উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকায়, যা ব্যাংকিং খাতে মোট বকেয়া ঋণের প্রায় ২৭.০৯ শতাংশ। এ পরিস্থিতি আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ব্যবসায়িক আস্থা হ্রাস পাওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ ব্যাংক নীতিসূদ হার ১০ শতাংশে অপরিবর্তিত রেখেছে-যা ক্ষুদ্র, কুটির, ছোট ও মাঝারি শিল্পসহ উৎপাদনমুখী খাতগুলোর জন্য বড় চাপ তৈরি করছে বলে মনে করে ডিসিসিআই। সংস্থাটির ভাষ্য, দীর্ঘমেয়াদি উচ্চ সুদের হার উৎপাদন ও বিনিয়োগ খাতে ঋণের ভার বাড়াচ্ছে, ফলে সামগ্রিক অর্থনীতির গতিশীলতা ব্যাহত হচ্ছে।
চলতি মুদ্রানীতিতে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২৫) বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা আরো কমিয়ে ৭.২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে, যেখানে আগের ছয় মাসে তা ছিল ৯.৮ শতাংশ। বিপরীতে সরকার খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ২০.৪ শতাংশ করা হয়েছে। ঢাকা চেম্বারের মতে, এ ব্যবস্থায় সরকারি খাতের চাহিদা মেটাতে গিয়ে বেসরকারি খাতের জন্য আর্থিক খরচ ও প্রতিযোগিতা উভয়ই বেড়ে যাবে।
এ অবস্থায় ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প খাতে ঋণপ্রবাহ বাড়াতে নীতিসূদ হার হ্রাস এবং ঋণ গ্রহণের শর্তাবলি সহজ করার আহ্বান জানিয়েছে ডিসিসিআই। তারা সৎ ঋণগ্রহীতাদের রক্ষায় সহায়তা এবং তাৎক্ষণিক খেলাপি শ্রেণিতে পড়া এড়াতে ঋণ শ্রেণিবিন্যাসে সময়সীমা ছয় মাস বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে।
সংস্থাটি মনে করে, টেকসই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার নিশ্চিত করতে হলে আর্থিক খাতে কাঠামোগত সংস্কার, ঋণ বরাদ্দে স্বচ্ছতা এবং বাজারে তারল্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে কঠোর নজরদারি অব্যাহত রাখতে হবে।
চূড়ান্তভাবে ডিসিসিআই বলছে, সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা রক্ষা, বেসরকারি খাতে আস্থা পুনরুদ্ধার ও বিনিয়োগ বাড়াতে আরো নমনীয়, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও খাতভিত্তিক প্রতিক্রিয়াশীল মুদ্রানীতির বিকল্প নেই।
ঢাকা/নাজমুল/সাইফ