টাইব্রেকারে শ্বাসরুদ্ধকর জয় তুলে ব্রাজিল চ্যাম্পিয়ন
Published: 3rd, August 2025 GMT
আট গোলের নাটকীয় লড়াই, অতিরিক্ত সময়ের রুদ্ধশ্বাস পালাবদল এবং শেষে টাইব্রেকারে নির্ভুল লক্ষভেদ; সবশেষে নারীদের কোপা আমেরিকার শিরোপা আবারও উঠল ব্রাজিলের হাতে। কলম্বিয়াকে ৫-৪ গোলে হারিয়ে নবমবারের মতো এই মর্যাদাপূর্ণ ট্রফি নিজেদের করে নিল সেলেসও মেয়েরা।
এটি ছিল কোপা আমেরিকা ফেমেনিনার দশম আসর। যার নয়টিতেই শিরোপা জিতে একচেটিয়া আধিপত্য ধরে রাখল ব্রাজিল। তবে এবারের শিরোপাজয় শুধু সংখ্যার হিসেবে নয়, আবেগ আর ইতিহাসেও দাগ কেটে গেল। আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে বিদায়ের ঘোষণা দিয়ে ফের ফেরা কিংবদন্তি মার্তা ভিয়েইরা দা সিলভার জন্য এটি ছিল এক প্রাপ্তির ম্যাচ।
শুরুটা থেকেই ম্যাচে ছিল দারুণ উত্তেজনা। কলম্বিয়া প্রথমবারের মতো কোপার শিরোপার দ্বারপ্রান্তে চলে গিয়েছিল। ম্যাচের একপর্যায়ে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়েও যায় তারা। কিন্তু ইনজুরি সময়ের শেষ মুহূর্তে গোল করে ব্রাজিলকে সমতায় ফেরান আলোচিত মার্তা। অতিরিক্ত সময়েও থামেননি তিনি। এবার গোল করে দলকে ৪-৩ তে এগিয়ে দেন। তবে সেই আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। লেসি সান্তোস গোল করে কলম্বিয়াকে ফেরিয়ে দেন ম্যাচে।
আরো পড়ুন:
ব্রাজিলের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের
নিশ্ছিদ্র দাপটে উরুগুয়েকে উড়িয়ে ফাইনালে ও অলিম্পিকে ব্রাজিল
গোল ব্যবধান সমান থাকায় নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় শেষে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। পেনাল্টি শুটআউটে শুরু থেকেই চাপ ছিল তুঙ্গে। মার্তা নিজে একটি পেনাল্টি মিস করলেও তার সতীর্থরা সেটি পুষিয়ে দেন। পাঁচ শট শেষে দু’দল ছিল ৩-৩ গোলে সমানে সমান। এরপর সাডেন ডেথে সফল হয় ব্রাজিল, ব্যর্থ হয় কলম্বিয়া। আর তাতেই নিশ্চিত হয় সেলেসাওদের নবম কোপা শিরোপা।
ব্রাজিলের হয়ে গোল করেন অ্যাঞ্জেলিনা আলনসো, আমান্দা গুতেয়াস এবং মার্তা দুটি। কলম্বিয়ার হয়ে গোলের তালিকায় ছিলেন লিন্দা কাইসেদো, মায়রা রমিরেজ, লেসি সান্তোস ও একটি আত্মঘাতী গোল করেন তারসিয়ানে।
টানা পঞ্চমবারের মতো কোপা আমেরিকা জিতে এক অনন্য কীর্তি গড়ল ব্রাজিল নারী দল। অপরাজিত থেকেই তারা শেষ করল আসরটি। তবে এবারের জয় শুধু ট্রফি জেতার নয়, বরং ফিরে আসা এক কিংবদন্তির মঞ্চে আবারও আলো ছড়ানোর গল্প হয়ে থাকবে দীর্ঘদিন।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল কলম ব য় গ ল কর
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।
এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন:
‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’
বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন
জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।
তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।
কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”
গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী