১. ‘দুষ্টু কোকিল’ (৫০৬ মিলিয়ন)
ভিউয়ে রেকর্ড গড়েছে ‘দুষ্টু কোকিল’। মুক্তির এক বছরে দুই চ্যানেল মিলিয়ে ইউটিউবে গানটির দর্শক ভিউ ৫০০ মিলিয়ন পার হয়েছে। এর মধ্যে চরকির ইউটিউব চ্যানেলে গানটির দর্শক ভিউ ৩৫৪ মিলিয়নের বেশি আর এসভিএফ ইউটিউব চ্যানেলে ১৫২ মিলিয়নের বেশি। অফিশিয়ালি মুক্তি পাওয়ার পর দুটি চ্যানেলে মোট ভিউ ৫০৬ মিলিয়নের বেশি।

ভিউয়ে রেকর্ড গড়েছে ‘দুষ্টু কোকিল’। অফিশিয়ালি মুক্তি পাওয়ার পর দুটি চ্যানেলে মোট ভিউ ৫০৬ মিলিয়নের বেশি। এত কম সময়ে ইউটিউবে দেশি বাংলা সিনেমার কোনো গানে এটি নতুন রেকর্ড।

এত কম সময়ে ইউটিউবে দেশি বাংলা সিনেমার কোনো গানে এটি নতুন রেকর্ড। গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন ঢাকার দিলশাদ নাহার কনা ও কলকাতার আকাশ সেন। গানটির গীতিকার ও সুরকারও আকাশ সেন। গত বছর ঈদুল আজহায় মুক্তি পায় রায়হান রাফীর ‘তুফান’। সে বছরের ২০ জুন অফিশিয়ালি দুটি ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পায় এ ছবির গান ‘দুষ্টু কোকিল’। গানটির চিত্রায়ণে দেখা যায়, একটি পানশালায় এই গানে পারফর্ম করছেন মিমি চক্রবর্তী, তাঁকে দেখেই প্রেমে পড়ে যান নায়ক শাকিব খান।

২.

‘লাগে উড়াধুরা’ (৪০৪ মিলিয়ন)
‘তুফান’ ছবির মুক্তি পাওয়া প্রথম গান ‘লাগে উড়াধুরা’। মুক্তির পর থেকেই দেশ-বিদেশের কয়েক শ ইউটিউবার, কনটেন্ট ক্রিয়েটর গানটি নিয়ে মেতে ওঠে। মূলত হিন্দি বা দক্ষিণি সিনেমা, সিরিজের রিভিউ করেন, এমন অনেক ইউটিউবারও গানটির প্রশংসা করেন। গানটি নিয়ে জাদুয়াজ চ্যানেলের অভিমত ছিল, ‘গানটি পুরো মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছে। বাণিজ্যিক সিনেমার গান হিসেবে এটা অসাধারণ।

‘লাগে উড়াধুরা’ গানের দৃশ্য। আইএমডিবি

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ নট র র কর ড

এছাড়াও পড়ুন:

অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ

দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।

এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।

শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।

সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।

হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।

পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ