পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগের এক দফা দাবিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রশাসনিক ভবন তালাবদ্ধ করেছেন ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থীরা। 

রবিবার (৩ আগস্ট) দুপুর ১২টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হয়ে তালাবদ্ধ করে শিক্ষার্থীরা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তালাবদ্ধ ছিল প্রশাসনিক ভবন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘অথর্ব প্রশাসন, ধিক্কার ধিক্কার’, ‘অক্ষম প্রশাসন, ধিক্কার ধিক্কার’, ‘পারলে শিক্ষক নিয়োগ দেন, নইলে গদি ছাইড়া দেন’, ‘নো টিচার, নো ক্লাস’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

আরো পড়ুন:

চবি শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশায় ছাত্র সংসদ

ছাত্রী হলের সান্ধ্য আইন নিয়ে প্রচারিত সংবাদ ভিত্তিহীন: চবি প্রক্টর

এ সময় ফার্মেসি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাঈম ভূইয়া বলেন, “আমরা গত ২১ জুলাই প্রশাসনিক ভবন তালা দিতে এসেছিলাম। তখন প্রশাসন আমাদের থেকে কিছু সময় চেয়ে নেয়। তারপর প্রশাসন ইউজিসির সঙ্গে আলোচনা করে আমাদের এসে জানায়, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত আসবে। কিন্তু বৃহস্পতিবারের আমরা যোগাযোগ করলে প্রশাসন জানায়, ইউজিসি থেকে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।”

তিনি বলেন, “প্রশাসন আমাদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারছে না। যতক্ষণ আমাদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতে শিক্ষক নিয়োগ না হচ্ছে, ততক্ষণ আমরা প্রশাসন ভবন তালাবদ্ধ রেখে এখানে অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রাখব।”

২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের জেরিন আক্তার বিউটি বলেন, “আমরা কয়েকমাস ধরে শিক্ষক সংকটে ভুগছি। মাত্র পাঁচজন শিক্ষক দিয়ে বিভাগ চলছে। বিষয়টি আমরা ডিন, উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানিয়েছিলাম। তারা আমাদের গত ৩০ জুলাই পর্যন্ত সময় দিয়ে বলেছিল, এর মধ্যে শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত আসবে। কিন্তু এখনো আশানুরূপ কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। সেজন্য আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ তালা ঝুলিয়েছি।”

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.

মো. হায়দার আলী বলেন, “ইউজিসিকে বারবার চিঠি দেওয়ার পরও আমাদের কোনো পদ দেননি। আমরা তো আর পদ সৃষ্টি করতে পারব না। এইমাত্র একটি চিঠি এসেছে ইউজিসি থেকে, সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আগামী ৬ আগস্ট মিটিং আছে।”

গত ২১ জুলাই বিভাগটির শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনে তালা দিতে এলে প্রশাসন ইউজিসির সঙ্গে আলোচনার জন্য সময় চেয়ে নেয়। আলোচনা পরবর্তীতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী এসে গত বৃহস্পতিবারের মধ্যে ইউজিসি থেকে শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত আসবে মর্মে আশ্বস্ত করেন। তবে বৃহস্পতিবারের মধ্যে সিদ্ধান্ত না এলে কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলাবেন বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র ইউজ স

এছাড়াও পড়ুন:

নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন

অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত‌্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই। 

ব‌্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ‌্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ‌্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।

আরো পড়ুন:

৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে

কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস

মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ  উদ্‌যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল। 

বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম‌্যাচে আগে ব‌্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব‌্যাটসম‌্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।

ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’। 

বিস্তারিত আসছে …

 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ