সোনারগাঁয়ে কু-প্রস্তাবের প্রতিবাদ করায় গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা
Published: 3rd, August 2025 GMT
সোনারগাঁয়ে কু-প্রস্তাবের প্রতিবাদ করায় গৃহবধূ শামিমা আক্তার (৩৮)কে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ ওঠেছে প্রতিবেশী বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে।
রবিবার (৩ আগষ্ট) সকালে উপজেলার বৈদ্দ্যেরবাজার ইউপির সাত ভাইয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গৃহবধূর মা সখিনা বেগম সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী শামিমা আক্তার শ্বশুর বাড়ি থাকাকালীন প্রতিবেশী বিল্লাল হোসেন ২ মাস ধরে বিভিন্নভাবে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। এরঅই ধারাবাহিকতায় গত ২ আগষ্ট রাতে জরুরী কাজ শেষে বাড়ি ফেরার সময় রাস্তার উপর গতিরোধ করে পুনরায় কু- প্রস্তাব দেয়।
এতে তিনি রাজি না হলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরদিন ভুক্তভোগী শামিমা আক্তার ও তার জা আসমা বেগম এবং ননদ শিরিনা আক্তার অভিযুক্ত বিল্লাল হোসেনের বাড়িতে বিচার দিতে গেলে সে উত্তেজিত হয়ে এলোপাতাড়িভাবে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা করে।
পরে অভিযুক্তের ভাই ও বোনেরা হামলা চালায়। স্থানীয় এলাকাবাসী তাদের ডাক চিৎকার শুনে এগিয়ে এসে উদ্ধার করে সোনারগাঁ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠিয়ে দেন৷
ভুক্তভোগীর মা সখিনা বেগম বলেন, আমার মেয়ের জামাই চাকুরী সুবাধে বিদেশে থাকেন। এই সুযোগে এলাকার বখাটে বিল্লাল প্রায় সময় কু-প্রস্তাব দেয়।অনেক বার তাকে সাবধান করলেও গতকাল রাতে মেয়ে আমাদের বাড়ি থেকে আসার পথে রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে কু-প্রস্তাব দেয়।
পরবর্তী মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোক নিয়ে বিচার দিতে গেলে তাদেরকে মারধর করে ও আমার নেয়ে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা করে। আমি এর উপযুক্ত শাস্তির দাবী জানাই।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল হাসান খান বলেন, এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর মা একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: হত য স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ প রস ত ব দ য় স ন রগ
এছাড়াও পড়ুন:
সুদানের এল-ফাশের শহরে ‘চরম বিপদে’ বাসিন্দারা: ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস
সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) কাছে দেশটির এল–ফাশের শহরের পতনের পর সেখানকার বাসিন্দারা ‘চরম বিপদের’ মধ্যে রয়েছেন। তাঁরা শহরটিতে আটকা পড়েছেন। গতকাল শনিবার ফ্রান্সভিত্তিক আন্তর্জাতিক দাতব্য চিকিৎসা সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছে।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরএসএফের লড়াই চলছে। গত ২৬ অক্টোবর এল-ফাশের দখল করে নেয় আধা সামরিক বাহিনীটি। শহরটির পতনের পর থেকে সেখানে বিচারবহির্ভূত হত্যা, যৌন সহিংসতা, ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলা, লুটপাট এবং অপহরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেখানকার যোগাযোগব্যবস্থা প্রায় পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুনসুদানে ‘গণহত্যা’ হয়েছে২২ ঘণ্টা আগেএল–ফাশের শহর থেকে যাঁরা পালিয়ে কাছের তাউইলা শহরে আশ্রয় নিয়েছেন, তাঁরা বেসামরিক লোকজনের ওপর গণহত্যা চালানোর কথা বলেছেন। তাঁদের ভাষ্য, এল–ফাশেরে মা–বাবার সামনে সন্তানদের হত্যা করা হচ্ছে। মানুষজন শহরটি থেকে পালানোর সময় তাঁদের মারধর করা হচ্ছে। জাতিসংঘের হিসাবে, ২৬ অক্টোবর থেকে ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ শহরটি থেকে পালিয়েছেন।
শনিবার ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস জানিয়েছে, এল–ফাশেরের বিপুল মানুষ ‘চরম বিপদের’ মধ্যে রয়েছে। তাদের শহরটি ত্যাগ করতে দিচ্ছে না আরএসএফ ও তাদের সহযোগীরা। সংস্থাটির জরুরি বিভাগের প্রধান মাইকেল ওলিভিয়ার লাচেরিটে বলেন, এল–ফাশের থেকে যাঁরা নিখোঁজ হয়েছেন, তাঁরা কোথায়? সম্ভাব্য উত্তরটা হলো—তাঁদের হত্যা করা হয়েছে।
গত শুক্রবার জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আরএসএফের হামলায় এল–ফাশেরে কয়েক শ মানুষ নিহত হয়েছেন। তবে সুদানের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দুই হাজার বেসামরিক মানুষকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাব বলেছে, এল–ফাশেরে গণহত্যা অব্যাহত থাকার বিভিন্ন ইঙ্গিত স্পষ্টভাবে দেখা গেছে।
সুদান ‘মহাবিপর্যয়কর পরিস্থিতির’ মধ্যে রয়েছে বলে শনিবার উল্লেখ করেছেন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়েডফুল। বাহরাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বেসামরিক লোকজনকে সুরক্ষা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আরএসএফ। এরপরও এমন নৃশংসতার জন্য তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা হবে। একই সংবাদ সম্মেলনে সুদানের পরিস্থিতি ‘ভয়ংকর’ বলে উল্লেখ করেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার।
আরও পড়ুনসুদানে আরএসএফের গণহত্যায় আরব আমিরাত ইন্ধন দিচ্ছে কেন৭ ঘণ্টা আগে