ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: আন্তঃহল মুক্ত গদ্য রচনা প্রতিযোগিতা’ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে হলভিত্তিক মোট ৩৭ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। সেখান থেকে ছাত্র ও ছাত্রী দুই ক্যাটাগরিতে মোট ছয়জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।

রবিবার (৩ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আরো পড়ুন:

জবি রেজিস্ট্রারের অসদাচরণের প্রতিবাদে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা

২ দিনের মধ্যে চাকসুর তফসিল ঘোষণা না করলে চবি শাটডাউনের হুঁশিয়ারি

ঢাবি উপাচার্য উপাচার্য অধ্যাপক ড.

নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ। স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌসের সঞ্চালনায় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, ডিন, জুরি বোর্ডের সদস্য, হল প্রভোস্ট/ওয়ার্ডেনবৃন্দ ও শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের জন্য দোয়া পরিচালনা করেন আরবী বিভাগের অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম।  

রচনা প্রতিযোগিতায় ছাত্রী ক্যাটাগরিতে- প্রথম হয়েছেন সংস্কৃত বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের সোনিয়া পারভীন, দ্বিতীয় হয়েছেন ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের অঙ্গনা রাণী পাল ঊর্মি এবং তৃতীয় হয়েছেন উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের আয়েশা আখতার।

ছাত্র ক্যাটাগরিতে- প্রথম হয়েছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের মাহমুদ-উল-হক, দ্বিতীয় হয়েছেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের মো. মাহমুদুল হাসান মাসুম এবং তৃতীয় হয়েছেন সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের মো. ছালেহ আহমেদ নাসিম।

সনদ, সম্মাননা ছাড়াও প্রথম পুরস্কার বিজয়ীকে ১০ হাজার, দ্বিতীয়কে ৭ হাজার এবং তৃতীয়কে ৫ হাজার টাকা আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এসএমএ ফায়েজ বলেন, “গত বছর এই সময়টায় একটি ঐতিহাসিক পরিবর্তন ঘটেছে। আর সেই পরিবর্তনের পেছনে রয়েছে আমাদের শিক্ষার্থীদের অসাধারণ আত্মত্যাগ। কতটা ত্যাগ তারা স্বীকার করেছে, তা ভাবলেও হৃদয় ভারী হয়ে আসে।”

তিনি বলেন, “এই গণ-অভ্যুত্থানের ফলে আমরা একটি নতুন সুযোগ পেয়েছি। এখন শিক্ষার্থীরা মেধার ভিত্তিতে হলের সিট পাচ্ছেন। পড়াশোনার জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। কেউ আর জোর করে কাউকে মিছিলে নিয়ে যাচ্ছে না। এটা একটা বড় পরিবর্তন।”

তিনি আরো বলেন, “বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের প্রতি আমাদের প্রত্যাশা অনেক। তারা মাত্র ১ মাসের ব্যবধানে একটি সরকার বদলে দিতে পেরেছে। এটি বিরল ইতিহাস। আমি বিশ্বাস করি, তারাই একদিন এই দেশকে একটি ভালো জায়গায় পৌঁছে দেবে।”

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত য় হয় ছ ন প রস ক র

এছাড়াও পড়ুন:

ডাকসুর বিবৃতি: বিএনপি তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে

জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে, এমন বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। রোববার বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লব ছিল বৈষম্য, অবিচার ও ফ্যাসিবাদী শাসনকাঠামোর বিরুদ্ধে এ দেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার সম্মিলিত বিপ্লব। শুধু সরকার পরিবর্তন নয়, বরং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ ও একটি বৈষম্যহীন-ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল বিপ্লবের মূল ভিত্তি। নতুন প্রজন্ম চেয়েছিল এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে কোনো প্রকার বৈষম্য ও রাজনৈতিক একচেটিয়া কর্তৃত্বের জায়গা থাকবে না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।

ডাকসুর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশেষত বিএনপি এমন সব মৌলিক সংস্কারের বিরোধিতা করেছে, যা সরাসরি ছাত্র-জনতার স্বপ্নের সঙ্গে জড়িত। পিএসসি, দুদক, ন্যায়পাল ও মহাহিসাব নিরীক্ষকের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছ ও দলীয় প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নিয়োগ নিশ্চিত করার সংস্কার প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তারা ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়। কোনো রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রভাব রাষ্ট্রগঠনমূলক সংস্কারের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে ছাত্র-জনতা সেই বাধা অতিক্রমে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ