‘জয় বাংলা’ স্লোগানে বক্তব্য শেষ করলেন ‘রিকশাচালক দলে’র নেতা
Published: 6th, August 2025 GMT
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বরগুনার বেতাগী উপজেলা বিএনপির ও এর অঙ্গ–সহযোগী সংগঠনের বিজয় মিছিলে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বেতাগী উপজেলা ‘রিকশাচালক দল’ আয়োজিত এক সমাবেশে এ ঘটনা ঘটে। তবে সংগঠনটি বিএনপির স্বীকৃত অঙ্গ বা সহযোগী সংগঠন নয়।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মিলন মিয়া। তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং নিজেকে বেতাগী পৌর শাখার ‘রিকশাচালক দল’–এর সভাপতি পরিচয় দেন।
১ মিনিট ৯ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে মিলন মিয়াকে বলতে শোনা যায়, ‘আজকের এই রিকশা-ভ্যান-অটোচালক দল বেতাগী উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে ৫ আগস্টে জুলাই যোদ্ধাদের স্মরণ করছি। যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। যাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তাঁদের প্রতি সরকার যেন সহযোগিতা, সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেন—এ আশাবাদ ব্যক্ত করছি। ৫ তারিখে যে ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা পলায়ন করেছে দেশ থেকে, আমরা তাকে হটিয়েছি। জয় বাংলা, তারেক রহমান জিন্দাবাদ, তারেক রহমান জিন্দাবাদ, শেখ হাসিনা.
সমাবেশে জয় বাংলা স্লোগান দেওয়ার অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন মিলন মিয়া। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই ভিডিও আমার না। কে বা কারা আমার ভিডিওর মধ্যে কাট (এডিট) করে এই অংশ জুড়ে দিয়েছে। অনেক দুষ্টচক্র আছে, তারা এটা করেছে। আমি বলেছিলাম, তারেক জিয়া জিন্দাবাদ, শহীদ জিয়া অমর হোক।’
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব গোলাম সরোয়ার রিয়াদ খান বলেন, ‘গত ১৭ বছরে দলে কোনো লোক ছিল না। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দলে লোকের ভিড়ে জায়গা হয় না। কিছু লোকের বিতর্কিত আচরণের কারণে দলের সম্মানহানি হচ্ছে। আমরা দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেব।’
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতের কারাগারে ১৩ বাংলাদেশি জেলে, উৎকণ্ঠায় পরিবার
পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলা এবং পার্শ্ববর্তী বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুরের ১৩ জন জেলে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ভারতের জলসীমায় প্রবেশ করায় সে দেশের কোস্ট গার্ডের হাতে আটক হয়েছেন। বর্তমানে তারা পশ্চিমবঙ্গের কাটদ্বীপ জেল হাজতে বন্দি আছেন বলে পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয়েছে।
গত ১২ সেপ্টেম্বর বিকেলে ইন্দুরকানীর পাড়েরহাট এলাকার মালেক বেপারীর মালিকানাধীন ফিশিং ট্রলার ‘এমভি মায়ের দোয়া’ নিয়ে সাগরে যান ওই ১৩ জন জেলে। মাছ ধরার উদ্দেশ্যে ১ নম্বর চালনার খাড়ি বয়ায় জাল ফেলার কিছুক্ষণ পরেই ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়। ইঞ্জিন মেরামতের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তারা। স্রোতের টানে ট্রলারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভেসে যায় ভারতের জলসীমায়। এর পাঁচ দিন পর ১৭ সেপ্টেম্বর সকালে ভারতীয় কোস্ট গার্ড ট্রলারটি আটক করে এবং এতে থাকা জেলেদের আটক করে স্থানীয় পুলিশের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায়।
আটকদের মধ্যে আছেন—চন্ডিপুর গ্রামের খোকন মাঝি, খায়রুল বাশার, মিরাজ শেখ, তরিকুল ডাকুয়া, শহিদুল ইসলাম, আকরাম খান, ইউসুফ মোল্লা, রাজু শেখ, রাকিব সিকদার ও মারুফ বেপারী, বাদুর এলাকার আল-আমিন, চাড়াখালী এলাকার তরিকুল ইসলাম এবং উমেদপুর এলাকার শাহাদাহ হোসেন।
জেলেদের পরিবারগুলো জানিয়েছে, হঠাৎ করেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর থেকে তারা উৎকণ্ঠায় আছেন। পরে খবর আসে যে, ট্রলারটি ভারতের জলসীমায় ভেসে গিয়ে আটক হয়েছে। জেলেদের নিরাপদে ফিরে পাওয়ার আশায় আছে পরিবারগুলো।
ট্রলারের মালিক মালেক বেপারী বলেছেন, “আমার ট্রলারেই তারা সাগরে গিয়েছিল। ভারতীয় একটি সূত্র থেকে জানতে পেরেছি, তারা কাটদ্বীপ জেলখানায় আছে।”
ইন্দুরকানী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাহাদ রহমান বলেছেন, “আমরা ইতোমধ্যে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা চলছে।”
ঢাকা/তাওহিদুল/রফিক