গবেষণাগারে কৃত্রিমভাবে হীরা তৈরি করেছেন চীনের সেন্টার ফর হাই-প্রেশার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অ্যাডভান্সড রিসার্চের বিজ্ঞানীরা। উল্কাপিণ্ডে থাকা বিভিন্ন উপাদান সফলভাবে কাজে লাগিয়ে ষড়্‌ভুজাকার হীরা তৈরি করেছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, কৃত্রিমভাবে তৈরি হীরাটি প্রকৃতিতে পাওয়া যেকোনো বস্তুর চেয়ে শক্ত। বৈজ্ঞানিক সাময়িকী নেচারে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

গবেষণার তথ্যমতে, বিজ্ঞানীরা উচ্চ তাপমাত্রা, উচ্চ চাপ ও আধা হাইড্রোস্ট্যাটিক পরিস্থিতিতে উল্কাপিণ্ডে থাকা গ্রাফাইটকে ষড়্‌ভুজাকার হীরাতে রূপান্তর করেছেন। এই স্ফটিক কাঠামো প্রচলিত প্রাকৃতিক হীরার চেয়ে শক্ত বলে মনে করা হচ্ছে। প্রাকৃতিক হীরা শক্ত হলেও কিছুটা দুর্বলতা থাকে। তবে ষড়্‌ভুজাকার হীরা বা লন্সডেলাইট আরও শক্তিশালী পারমাণবিক বিন্যাস নিয়ে গঠিত।

বিজ্ঞানী ইয়াং লিউশিয়াং বলেন, এই পদ্ধতির মাধ্যমে হীরা তৈরিতে দীর্ঘস্থায়ী চ্যালেঞ্জের সমাধান করা হয়েছে। ভবিষ্যতের উপাদান উদ্ভাবনের জন্য একটি পদ্ধতিগত ভিত্তি স্থাপন করেছি আমরা। অপর বিজ্ঞানী হো-কোয়াং মাও এই অর্জনকে পরবর্তী প্রজন্মের অতি কঠিন উপকরণ ও উন্নত ইলেকট্রনিক যন্ত্র বিকাশের জন্য একটি নতুন পথ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি জানান, কাঁচামাল হিসেবে অতি বিশুদ্ধ, অপরিষ্কার–মুক্ত প্রাকৃতিক গ্রাফাইট ষড়্‌ভুজাকার হীরার নমুনা তৈরিতে সহায়তা করেছে। পুরো প্রক্রিয়া সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।

১০০ মাইক্রন স্কেলে পরীক্ষাগারে ষড়্‌ভুজাকার হীরা তৈরি করা হয়েছে। উল্কাপিণ্ডে প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া এই বিরল হীরা তৈরির মাধ্যমে অতি কঠিন পদার্থের সন্ধানে এগিয়ে গেলেন চীনের বিজ্ঞানীরা। নতুন এই প্রক্রিয়া ভবিষ্যতে পরীক্ষাগারে নতুন পদার্থ তৈরিতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সূত্র: এনডিটিভি

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

৮ ম্যাচে ৮ জয়, ২২ গোল, কোনো গোল খায়নি—বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ইংল্যান্ডের অবিশ্বাস্য রেকর্ড

ম্যাচ ৮
জয় ৮
গোল ২২
বিপক্ষে গোল ০

২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে এমন নিখুঁত পরিসংখ্যান ইংল্যান্ডের।

ওয়েম্বলিতে গত ২১ মার্চ আলবেনিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাই শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। টমাস টুখেলের ইংল্যান্ডের কোচ হিসেবে সেটা ছিল প্রথম ম্যাচ। ২৪০ দিন পর তিরানায় গতকাল রাতে সেই আলবেনিয়াকেই একই স্কোরলাইনে হারিয়ে ইউরোপিয়ান অঞ্চলে নিজেদের বিশ্বকাপ বাছাই শেষ করল টুখেলের দল। ইউরোপের প্রথম দল হিসেবে অক্টোবরেই বিশ্বকাপে খেলার টিকিট তো পেয়েছেই, বাছাইপর্বটা শেষ করার পথে দারুণ এক রেকর্ডও গড়েছে ‘থ্রি লায়ন্স’রা।

বিশ্বকাপ বাছাইয়ের এক আসরে ইউরোপের প্রথম দল হিসেবে সব ম্যাচ জয়ের পাশাপাশি কোনো গোল হজম না করার রেকর্ড গড়েছে ইংল্যান্ড। বাছাইপর্বে অন্তত ছয় ম্যাচ খেলতে হয়েছে—হিসাবটি করা হয়েছে এই বিবেচনায়। তিরানায় আলবেনিয়ার জালে ২ গোল করা ইংল্যান্ড স্ট্রাইকার হ্যারি কেইনও আন্তর্জাতিক ম্যাচে গোলের পরিসংখ্যানে পেছনে ফেলেছেন এডসন অরান্তেস দো নাসিমেন্তোকে। ইংল্যান্ডের হয়ে ১১২ ম্যাচে এ নিয়ে ৭৮ গোল হলো কেইনের। ব্রাজিলের হয়ে নাসিমেন্তোর গোলসংখ্যা ৯২ ম্যাচে ৭৭টি—ওহ ভদ্রলোকের আরেক নাম পেলে!

দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ইংল্যান্ড স্ট্রাইকার কেইন গোল পেয়েছেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ