রাজনৈতিক মতাদর্শের ঊর্ধ্বে থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে আহ্বান ডিএমপি কমিশনারের
Published: 11th, August 2025 GMT
রাজনৈতিক মতাদর্শের ঊর্ধ্বে থেকে পেশাদারত্ব ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে পুলিশ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
আজ সোমবার রাজারবাগের বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে ডিএমপির জুলাই মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, দীর্ঘদিন পর দেশে একটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে, যেখানে বিভিন্ন দেশের পর্যবেক্ষকেরা উপস্থিত থাকবেন। পুরো পুলিশ বাহিনীর মানমর্যাদা পুনরুদ্ধারে সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে হবে। নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ঢাকা মহানগর এলাকায় পর্যাপ্ত জনবল মোতায়েন থাকবে।
মোটরসাইকেল ব্যবহার করে রাজধানীতে অপরাধ বৃদ্ধির প্রসঙ্গে কমিশনার বলেন, এই প্রবণতা নিয়ন্ত্রণে কাগজপত্রবিহীন মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। জনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই এবং অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আগাম তথ্য সংগ্রহের ওপর তিনি জোর দেন।
সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে (সিআইএমএস) তথ্য নিয়মিত হালনাগাদ রাখা ও তদন্তপ্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও অভিযোগপত্র দাখিলের ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময় মেনে চলার পরামর্শ দেন তিনি।
পর্যালোচনা সভায় জুলাই মাসের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি উপস্থাপন করেন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনের হত্যার ঘটনায় আর্টিকেল নাইনটিনের উদ্বেগ
দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের গাজীপুর প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান তুহিনকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল নাইনটিন। এ ঘটনার দ্রুত, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করার এবং দায়ী ব্যক্তিদের আইন অনুযায়ী জবাবদিহির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে তারা।
আজ সোমবার আর্টিকেল নাইনটিনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সাংবাদিকদের ওপর সহিংসতার ঘটনা যখন বাড়ছে, তখন এ হত্যার ঘটনা ঘটল। এতে করে দেশটিতে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
আর্টিকেল নাইনটিন বলেছে, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনাগুলো দ্রুত, পুঙ্খানুপুঙ্খ ও স্বাধীনভাবে তদন্তের এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার দায়িত্ব রয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের। সাংবাদিকদের ওপর সহিংসতার ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়াটা উদ্বেগজনক। এটি দ্রুত বন্ধ করতে হবে।
আরও পড়ুনগাজীপুরে সাংবাদিক হত্যায় দুই কারণ সামনে রেখে তদন্ত করছে পুলিশ ০৯ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো আইন পাস করেনি উল্লেখ করে আর্টিকেল নাইনটিন বলেছে, সাগর সরওয়ার, মেহেরুন রুনিসহ সাংবাদিকদের বেশির ভাগ হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়নি। এটি সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে সহিংসতা বাড়িয়ে তুলছে। একই সঙ্গে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধ থেকে দায়মুক্তির একটি সংস্কৃতি গড়ে উঠছে।
আরও পড়ুনমুঠোফোনে অস্ত্রধারীদের ভিডিও করছিলেন সাংবাদিক আসাদুজ্জামান, পরে তাঁকেই হত্যা করা হয়০৮ আগস্ট ২০২৫মানবাধিকার সংস্থাটি বলেছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে সাংবাদিকদের ওপর সাম্প্রতিক হামলা সব গণমাধ্যমকর্মী, নাগরিক অধিকারকর্মী এবং গণতন্ত্রের পক্ষে সোচ্চার ব্যক্তিদের জন্য উদ্বেগজনক। সাংবাদিকসহ সংবাদমাধ্যমের সব কর্মীকে সুরক্ষা দেওয়াটা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
আরও পড়ুনময়নাতদন্তের প্রতিবেদন জমা, মরদেহে ৯টি গভীর আঘাতের চিহ্ন৮ ঘণ্টা আগে