জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী ছাত্রলীগের নেতাকর্মী, জুমার নামাজ পড়তে বাধা দেওয়া ও উসকানীদাতা শিক্ষকদের বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। এ সময় স্বরাষ্ট্র সচিব ড. নাসিমুল গণির আশ্বাসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে ফিরেছেন শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ-মিছিল নিয়ে যবিপ্রবির কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনের প্রধান সড়ক থেকে প্রশাসনিক ভবনে যায়। বিক্ষোভ-মিছিলের একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডে অংশগ্রহণ করতে স্বরাষ্ট্র সচিব ড.

নাসিমুল গণি শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে পড়েন এবং আশ্বাস দেন জুলাইয়ে হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও জুলাইয়ে উসকানীদাতা শিক্ষকদের সুস্পষ্ট ডকুমেন্টস সরবরাহ করলে দ্রুত বিচারের আওতায় আনবেন। আশ্বাস পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে বিক্ষোভ-মিছিল শেষ করেন।

বিক্ষোভ-মিছিলে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘যারা অতীতে ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদে ছিল, ছাত্রলীগের বিভিন্ন কার্যক্রমে সরাসরি জড়িত ছিল, যাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে এবং অনেকে ছাত্রলীগের বিভিন্ন কার্যক্রমের সাথে সরাসরি জড়িত থেকেও হলে অবস্থান করছে। আজকের রিজেন্ট বোর্ডের মিটিং থেকে তাদের স্থায়ী বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত দেখতে চাই। এছাড়া যারা জুলাই আন্দোলনে সরাসরি বিরোধিতা করছিলেন, অনতিবিলম্বে তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে।’

২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগের দোসরদের বহিষ্কার করতে হবে। গত এক বছর আমরা অনেক প্রহসন দেখেছি, এবার যদি তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে আমরা প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিতে বাধ্য হব।’

যবিপ্রবি/ইমদাদুল/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা

দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। 

আরো পড়ুন:

চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন

১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা

পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।  

বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ