রাজনৈতিক দলের সংস্কার ও আর্থিক স্বচ্ছতা কত দূর
Published: 19th, August 2025 GMT
ফেব্রুয়ারির ১৫ থেকে সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংস্কারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পুরো ছয় মাস ধরে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিনিময় ও সমঝোতা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা হয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এটি একটি বড় কৃতিত্বই বলতে হবে। অবশ্য স্বাধীনতার ৫৪ বছরের প্রথম কয়েক বছর বাদ দিলে প্রায় পুরোটা সময়ে রাজনীতি প্রধানত যে দ্বিদলীয় বৃত্তে আবদ্ধ ছিল, তার একটি পক্ষ এখন পলাতক। তাদের প্রকাশ্য কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকায় বহুপক্ষীয় আঙ্গিকে রাজনীতির প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও সহযোগিতার নতুন রূপ দেখা যাচ্ছে।
প্রায় ডজন তিনেক রাজনৈতিক দলের নেতারা ম্যারাথন আলোচনার মাধ্যমে সংবিধান, রাষ্ট্রকাঠামো, সংসদ, নির্বাচন ও বিচারব্যবস্থার বিভিন্ন বিষয়ে গ্রহণযোগ্য কিছু সংস্কারের অঙ্গীকার করবেন বলে কথা রয়েছে। এটি আশা জাগানো অগ্রগতি। সব কটি বিষয়ে সবাই একমত না হলেও তাঁরা যে রাজপথে শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে প্রতিপক্ষের ওপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার বদলে সংলাপের মাধ্যমে সমাধান খুঁজতে সক্ষম, তার প্রমাণ দেওয়ায় তাঁদের সাধুবাদ প্রাপ্য।
আরও পড়ুনসংবিধান, নির্বাচন ও রাজনৈতিক দলের সংস্কার যেভাবে০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪তবে হতাশারও যে অনেক কারণ ঘটছে, সে কথাও বলা দরকার। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় নৈরাশ্যের বিষয় হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোর নিজেদের সংস্কারের প্রশ্ন প্রায় পুরোপুরি উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি অভ্যন্তরীণ সংস্কারের কাজ শুরু করতে পারত, তাহলে সংসদে নারী প্রতিনিধিত্বের বিষয় নিয়ে সত্যিকার অগ্রগতি অর্জন সম্ভব হতো। অন্তত ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদারের মুখে শুনতে হতো না, ‘নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটা অঘটন ঘটে গেছে, একটা বিপর্যয় ঘটে গেছে। এটার জন্য আমরা সবাই দায়ী।’
২০০৮ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, পাঁচ বছর আগেই সব রাজনৈতিক দলে বিভিন্ন পর্যায়ের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ পদ নারীদের জন্য সংরক্ষিত থাকার কথা। কোনো দল সেই লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা করেছে—এমন কোনো আলামত মেলে না। এখনো কেউ এ বিষয়ে দৃঢ় কোনো অঙ্গীকার করতে আগ্রহী বলে মনে হয় না। সংসদের সংরক্ষিত আসনসংখ্যা প্রতীকীভাবে বাড়ানোর আলোচনাতেই তা আটকে আছে। দলের মধ্যে নারী যদি তাঁর অবস্থান শক্ত করতে না পারেন, তাহলে সংসদে কোটা পূরণে স্ত্রী-কন্যাদের মনোনয়নের ধারা চলতেই থাকবে এবং আমরা সংসদে বন্দনা-সংগীত শুনতে থাকব।
সবশেষে সব দলের জন্যই প্রযোজ্য প্রশ্ন হচ্ছে, নাগরিকেরা উদ্বৃত্ত আয় না থাকলেও নির্দিষ্ট আয়সীমা অতিক্রম করলে যেহেতু কর দিতে বাধ্য, সেহেতু রাজনৈতিক দলগুলোর আয় কেন করযোগ্য হবে না? ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে লোকসান হলেও কর রেয়াত নেই। অনেক ক্ষেত্রেই অগ্রিম কর দিতে হয়। ভারতে রাজনৈতিক দলগুলোকে কর দিতে হয় এবং সম্প্রতি কংগ্রেসের বর্ধিত কর দাবির বিরোধ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে হেরে যাওয়ায় দলটির ঘাড়ে এখন প্রায় ২০০ কোটি রুপির বোঝা চেপে আছে।সর্বদলীয় আলোচনায় অংশ নেওয়া অন্তত দুটি দল থেকে অতীতে সংসদে যাঁরা নারী সংসদ সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন, আশা ছিল, তাঁরা তাঁদের দলে নারী অধিকারের এজেন্ডা নির্ধারণে সফল ভূমিকা রাখতে পারবেন এবং তা ঐকমত্য কমিশনে প্রতিফলিত হবে। প্রগতিশীল রাজনৈতিক আদর্শের দাবি নিয়ে যেসব দল সক্রিয় আছে, সেসব দলেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে কোনো অগ্রগতি নেই।
গত বছরের জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে এত বিপুলসংখ্যক ছাত্রীকে আমরা সরব দেখে আশা করেছিলাম, আন্দোলনপ্রসূত নতুন রাজনৈতিক দলে অন্তত তাঁদের জোরালো প্রতিনিধিত্ব থাকবে। দু-একটি আলোচনায় তাঁদের উপস্থিতি দেখা গেলেও কার্যকর অর্থে তা কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। এটিও রাজনৈতিক দলের নিজস্ব সাংগঠনিক সংস্কারবিমুখতার নমুনা।
রাজনৈতিক দলের সংস্কারের আরেকটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে রাজনীতির অর্থায়ন। কেননা, বহুদিন ধরেই রাজনীতিকে কালোটাকার প্রভাবমুক্ত করার আলোচনা চলছে। ২০০৮ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ এবং রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালায় কিছু সুনির্দিষ্ট বিধি পালনের কথা বলা আছে। কিন্তু এসব প্রতিপালন যথাযথভাবে হচ্ছে কি না, সে প্রশ্ন কোনোভাবেই এড়িয়ে যাওয়া যায় না। আবার বিধিমালা মানা না হলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বা কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হলে তার কারণ কী—এসব প্রশ্নেরও উত্তর প্রয়োজন।
সম্প্রতি রাজনৈতিক দলগুলোর আয়-ব্যয়ের যেসব হিসাব নির্বাচন কমিশনে জমা পড়েছে, তা থেকেও বেশ কিছু প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। পত্রিকার খবরে বলা হচ্ছে, ইসির সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তা জানান, ৩১ জুলাই পর্যন্ত ২৮টি দল আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে। এর মধ্যে জামায়াত ইসলামীর আয় ও ব্যয় অন্য সব দলের চেয়ে বেশি। ২০২৪ সালে দলটির আয় হয়েছে ২৮ কোটি ৯৭ লাখ ২৯৯ টাকা। আর দলটি এ বছর ব্যয় দেখিয়েছে ২৩ কোটি ৭৩ লাখ ৩৮ হাজার ১৭৭ টাকা।
নিবন্ধন বাতিল হওয়ার আগে ২০১৩ সালে সর্বশেষ আয়-ব্যয়ের হিসাব দিয়েছিল জামায়াতে ইসলামী। এরপর চলতি বছর নিবন্ধন ফিরে পাওয়ায় এক যুগ পর আবার হিসাব দিল দলটি। তবে নিবন্ধন না থাকলেও দলটি যেহেতু গত বছরের আগস্টের শুরুর তিন থেকে চার দিন বাদে সক্রিয় ছিল, সেহেতু ওই সব বছরের আয়-ব্যয়ও অপ্রাসঙ্গিক নয়।
বিএনপি যে আয়-ব্যয়ের হিসাব দিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিএনপির মোট আয় ১৫ কোটি ৬৫ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪২ টাকা। একই সময়ে দলটির ব্যয় ৪ কোটি ৮০ লাখ ৪ হাজার ৮২৩ টাকা। উদ্বৃত্ত অর্থের পরিমাণ ১০ কোটি ৮৫ লাখ ৯০ হাজার ১৯ টাকা। এই অর্থ ব্যাংক হিসাবে জমা আছে।
আরও পড়ুনকোন পথে সংস্কার ও রাজনৈতিক ঐকমত্য২১ মে ২০২৫পত্রিকায় জাতীয় পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি ও গণ অধিকার পরিষদেরও হিসাবও ছাপা হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, ২০২৪ সালে জাতীয় পার্টির আয় হয়েছে ২ কেটি ৬৪ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৮ টাকা; দলটি ব্যয় দেখিয়েছে ১ কোটি ৭৯ লাখ ৮৮ হাজার ৪৪ টাকা। দলের হিসাবে জমা আছে ৮৪ লাখ ৫০ হাজার ৮৯৪ টাকা। একই সময়ে এবি পার্টি আয় করেছে ১ কোটি ৩৭ লাখ ৯৪ হাজার ৩৪৪ টাকা। গণ অধিকার পরিষদের আয় হয়েছে ৪৬ লাখ ৪ হাজার ৩০০ টাকা। আর ব্যয় হয়েছে ৪৫ লাখ ৯৬ হাজার ৮৮ টাকা।
সবার হিসাব থেকেই দেখা যাচ্ছে, দলগুলোর কেউই অর্থকষ্টে ছিল না, সবারই উদ্বৃত্ত আছে। এটি ইতিবাচক খবর। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর হিসাব থেকে বোঝার কোনো উপায় নেই যে দলগুলোকে অনুদান হিসেবে কিংবা অন্য কোনো কারণে কে, কত টাকা দিচ্ছে? ছোট ছোট চাঁদার বাইরে অন্য যেকোনো থোক সহায়তার সূত্র দলগুলোর স্বেচ্ছায় প্রকাশ করা উচিত। ব্যক্তিগতভাবেও রাজনৈতিক নেতারা এ ধরনের সহায়তা নিলে তার তথ্য প্রকাশের বাধ্যবাধকতা থাকা উচিত। দলের নামে বিভিন্ন পর্যায়ে চাঁদাবাজির যেসব ঘটনা ঘটে, সেগুলো তাহলে বন্ধ করা সম্ভব হতো। পুরোপুরি বন্ধ না হলেও দলীয় নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণে রাখা যেত।
নির্বাচন কমিশনের যে নির্ধারিত ছক আছে, তাতে অবশ্য এসব তথ্য চাওয়া হয় না। কেন হয় না, তা বোধগম্য নয়। আবার রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের যে বিধিমালা আছে, তাতে বলা আছে, রাজনৈতিক দলগুলোর আয়-ব্যয় ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে পরিচালনা করতে হবে। বিস্ময়কর তথ্য হচ্ছে, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের সই করা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, আয় ও ব্যয়ের হিসাব পরিচালনার জন্য দলটির কোনো ব্যাংক হিসাব নেই।
নতুন নিবন্ধন চেয়েছে—এমন দলগুলোর যারা এই শর্ত পূরণ করেনি, কমিশন তাদের চিঠি দিয়েছিল বলেও খবর বেরিয়েছে। জামায়াতের ক্ষেত্রে এখন কী ব্যবস্থা নেয় কমিশন, সেটাই দেখার অপেক্ষা। জামায়াতের ক্ষেত্রে বিষয়টির আলাদা তাৎপর্যও রয়েছে। এই একটি দলই জানিয়েছে যে তারা নির্বাচনের প্রার্থীদের অনুদান দিয়েছে ১১ কোটি ৫ লাখ ১৫ হাজার ৪২০ টাকা, অর্থাৎ প্রার্থীপ্রতি গড়ে ৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকা করে। পুরোনো নির্বাচনী আইনে প্রার্থীদের সব আয়-ব্যয় ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আইন বদলানো হলে ভিন্ন কথা। না হলে দলটি এবং দলের প্রার্থীরা কি ইতিমধ্যেই বিধি ভঙ্গ করেছেন?
সবশেষে সব দলের জন্যই প্রযোজ্য প্রশ্ন হচ্ছে, নাগরিকেরা উদ্বৃত্ত আয় না থাকলেও নির্দিষ্ট আয়সীমা অতিক্রম করলে যেহেতু কর দিতে বাধ্য, সেহেতু রাজনৈতিক দলগুলোর আয় কেন করযোগ্য হবে না? ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে লোকসান হলেও কর রেয়াত নেই। অনেক ক্ষেত্রেই অগ্রিম কর দিতে হয়। ভারতে রাজনৈতিক দলগুলোকে কর দিতে হয় এবং সম্প্রতি কংগ্রেসের বর্ধিত কর দাবির বিরোধ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে হেরে যাওয়ায় দলটির ঘাড়ে এখন প্রায় ২০০ কোটি রুপির বোঝা চেপে আছে।
কামাল আহমেদ সাংবাদিক
মতামত লেখকের নিজস্ব
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ও র জন ত ক উদ ব ত ত ব যবস থ ঐকমত য কর দ ত দল র ন র জন য দলট র বছর র সব দল
এছাড়াও পড়ুন:
বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে ঐকমত্য না হলে গণভোট ছাড়া উপায় নেই: এবি পার্টি
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে অংশ নিয়ে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারলে গণভোট ছাড়া উপায় নেই।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক হয়। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এবি পার্টির চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে মজিবুর রহমান বলেছেন, ‘সংবিধান পরিবর্তন, সংস্কার, সংশোধন, নতুন করে লেখা বা বাতিলের চূড়ান্ত ক্ষমতা জনগণের। আমরা ঐক্যবদ্ধ মতামতের ভিত্তিতে জুলাই সনদ তৈরি করেছি, হয়তো কয়েকটি বিষয়ে কারও কারও “নোট অব ডিসেন্ট” (দ্বিমত) আছে। কিন্তু চূড়ান্ত কোনটা হবে, তা নির্ধারণের মূল ক্ষমতা জনগণের।’
কমিশনের আজকের প্রস্তাবে জুলাই ঘোষণাপত্রের ২২ নম্বর অনুচ্ছেদকে রেফারেন্স আকারে উল্লেখ করায় কোনো কোনো রাজনৈতিক দল ও নেতা জুলাই ঘোষণাপত্রের বৈধতা নিয়ে মন্তব্য করেন। এ বিষয়ে এবি পার্টির চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে যাঁরা আজ প্রশ্ন তুলছেন, কাল তাঁরা সংসদে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করবেন এবং এই সনদকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না, তার নিশ্চয়তা কী?
এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সানী আবদুল হক বলেন, সংবিধানে এটা নেই, ওটা নেই বলে সংবিধান সংস্কার করা যাবে না—এই ধারণা অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাপরিপন্থী। রাজনৈতিক দলগুলো যদি জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতির প্রশ্নে নিজেদের অবস্থান থেকে নমনীয় না হয়, তবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পুরো প্রচেষ্টা মুখ থুবড়ে পড়বে।
আশঙ্কা প্রকাশ করে এবি পার্টির এই নেতা বলেন, এমন পরিস্থিতি জাতিকে এক গভীর সংকটের দিকে ঠেলে দেবে। সুতরাং জাতীয় স্বার্থে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা জরুরি; অন্যথায় গণভোট ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
আরও পড়ুনবর্ধিত মেয়াদের আগেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে চায় কমিশন: আলী রীয়াজ৪ ঘণ্টা আগে