আইনজীবীদের আস্থার প্রতিদান দিচ্ছেন আনোয়ার প্রধান
Published: 24th, August 2025 GMT
দরজায় কড়া নাড়ছে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন। আগামী ২৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আইনজীবীদের বহু আকাঙ্ক্ষার ভোটগ্রহণ। দীর্ঘদিন যাবত ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত নারায়ণগঞ্জ বারের আইনজীবীরা তাই ভোট প্রদানের জন্য উন্মুখ হয়ে অপেক্ষা করছেন।
জেলা আইনজীবী সমিতির এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান সভাপতি এডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির এবং সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান।
গতবছর এই দুইজনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করেছিলেন নারায়ণগঞ্জ বারের আইনজীবীরা। নির্বাচিত হওয়ার পর সিনিয়র জুনিয়র আইনজীবীদের আস্থার প্রতিদান দিয়ে যাচ্ছেন এ দুজন।
বিশেষ করে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান আইনজীবীদের আস্থার চূড়ায় অবস্থান করছেন। নারায়ণগঞ্জ বারের সিনিয়র আইনজীবীদের আদর স্নেহে তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে এগিয়ে চলেছেন তিনি এবং সকলের কাছে আস্থার জায়গা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।
সিনিয়রদের দোয়া আর আশীর্বাদে এক ঝাঁক উদিয়মান আইনজীবীকে সাথে নিয়ে সকলকে এক সুতায় গেঁথে রেখেছেন বারের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আনোয়ার প্রধান। নারায়ণগঞ্জ বার এখন দলমত নির্বিশেষে একটি সুখী পরিবার আর এর পুরো কৃতিত্ব সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধানের।
একটা সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতিতে একক আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের আইনজীবীরা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলো। বিরোধী মত দমন করতে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে আইনজীবীদের লাঞ্ছিত করেছে। গডফাদার শামীম ওসমানের নেতৃত্বে সেই সন্ত্রাসী হামলা থেকে রক্ষা পায়নি কেউ।
আইনজীবী সমিতির গণতান্ত্রিক ভোটাধিকার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগের আইনজীবীরা। সেই ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদের বিজয় নিশান উড়িয়েছেন অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান। গডফাদারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে গণতান্ত্রিক ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার লড়াইয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন আর এজন্য হামলা মামলা এবং নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে তাকেও তবুও তিনি লড়াইয়ের মাঠ ছেড়ে যাননি।
৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আদালত পাড়ায় কোনো প্রকার মব সন্ত্রাস হতে দেননি আনোয়ার প্রধান। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ পন্থী যেসব আইনজীবীরা কোনো জোর জুলুম সন্ত্রাসীতে লিপ্ত ছিল না, তাদেরকে আদালতে পেশাগত দায়িত্ব পালনের পরিবেশ সৃষ্টি করে দেন তারা।
শীর্ষ কয়েকজন আওয়ামী লীগের আইনজীবী আসতে না পারলেও বাকিরা সবাই নিয়মিত আদালত করছেন। কেউ তাদেরকে কোন প্রকার হেনস্থার শিকার হচ্ছেন না। সকল দল মতের আইনজীবীরা একটি পরিবার মত তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করছেন। বৈষম্য দূর করে সকলকে এক সুতায় গাঁথার পুরো কৃতিত্বটাই জেলা বারের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধানের।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ব র আইনজ ব দ র র আইনজ ব র সন ত র স আস থ র করছ ন আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
যে ১০ কারণে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে বেশি ঝগড়া হয়
একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েই বিয়ে করেন দুজন ব্যক্তি; কিন্তু একসঙ্গে থাকতে শুরু করার পর সবচেয়ে আপন এই মানুষের সঙ্গেও নানা কারণে তৈরি হয় মতবিরোধ। এক কথা, দুই কথায় বাধে ঝগড়া। বয়োজ্যেষ্ঠদের মতে, স্বামী–স্ত্রীর ঝগড়া আসলে এক জায়গায় রাখা দুটি বাসনের ঠোকাঠুকির মতো। এগুলো জীবনেরই অংশ; কিন্তু এই ঠোকাঠুকি বাড়তে দিলেই বিপত্তি। তাই দাম্পত্য জীবনে ঝগড়া কমিয়ে আনতে চাইলে প্রথমে মতবিরোধের কারণগুলো খুঁজে বের করতে হবে। বিশ্বজুড়ে কী কারণে দাম্পত্যে ঝগড়া হয় বেশি, চলুন আগে সেটিই জেনে নেওয়া যাক।
১. বোঝাপড়ার অভাবনাবিলা ও রাফি (ছদ্মনাম) দুজনেই চাকরিজীবী। কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরে ক্লান্ত নাবিলা আশা করেন, স্বামী তাঁর কাছে জানতে চাইবেন সারা দিন কেমন কাটল। কিন্তু তা না করে চুপচাপ নিজের মনে ফোন স্ক্রল করেন রাফি।
স্বামীর এমন আচরণে কষ্ট পান নাবিলা। অন্যদিকে রাফি ভাবেন, সারা দিন কাজের পর স্ত্রীর হয়তো কথা বলতে ইচ্ছা করছে না, ও একটু নিজের মতো থাকুক। দুজনের চাওয়া ভিন্ন। এভাবে নিজের প্রত্যাশার কথা না জানিয়ে দিনের পর দিন কাটাতে থাকলে মনের ভেতর ক্ষোভ জমা হতে থাকে।
আবার বাসার বাড়তি বিল নিয়ে রাফি যখন চিন্তিত, সেটিকে পাত্তা না দিয়ে হেসে উড়িয়ে দিলেন নাবিলা। এভাবে অপর পক্ষকে কষ্ট দিতে না চেয়েও কষ্ট দিচ্ছেন তাঁরা। দাম্পত্য কলহ নিয়ে ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে গবেষণা করা মার্কিন মনোবিজ্ঞানী জন গটম্যান জানান, ৬৯ শতাংশ বৈবাহিক দ্বন্দ্বের কারণ পারস্পরিক বোঝাপড়ার অভাব।
আরও পড়ুনধনীদের ৮টি অভ্যাস, যা মধ্যবিত্তদের চোখে ধরা পড়ে না১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫২. অর্থনৈতিক হিসাবএকজন বাইরে খেতে ভালোবাসেন, অন্যজন সঞ্চয়ে বিশ্বাসী। আর এতেই বাধে বিপত্তি। এ ছাড়া দুজনেই আয় করলে কে কোন খাতে ব্যয় করবেন, তা নিয়েও ঝগড়া করেন দম্পতিরা। দীর্ঘদিন ধরে দাম্পত্য বিচ্ছেদ নিয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানজিম আল ইসলাম।
অভিজ্ঞতার আলোকে এই আইনজীবী বলেন, ‘কেউ নিজের শখ পূরণ করতে গিয়ে অন্যের দিকটা ভাবছেন না, কেউ আবার নিজের ইচ্ছা–অনিচ্ছায় ক্রমাগত ছাড় দিয়েই যাচ্ছেন। সংসারে বারবার একপক্ষীয় অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে যিনি ছাড় দিচ্ছেন, তাঁর মনে অসন্তুষ্টি তৈরি হয়, যা একসময় বড় ঝগড়ায় রূপ নেয়।’
এ ছাড়া ছোটখাটো অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে গিয়েও ঝগড়া করেন দম্পতিরা। আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের গবেষণা বলছে, টাকাপয়সা নিয়ে ঝগড়া করা দম্পতিদের ৩০ শতাংশই সম্পর্কে খুশি থাকেন না।
৩. সময় না দেওয়াসঙ্গীকে সময় না দিলে দ্বন্দ্ব বাড়ে