হবিগঞ্জের চুনারুঘাট ও শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির নতুন কমিটির বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।

রবিবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে এই দুই উপজেলায় প্রায় একই সময়ে মিছিল বের হয়। এতে বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।

আরো পড়ুন:

তুরাগ নদে সেতুর দাবিতে টঙ্গীতে সড়ক অবরোধ 

বাকৃবিতে কম্বাইন্ড ডিগ্রি প্রণয়নে জরুরি একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক দাবি

চুনারুঘাট পথসভায় বক্তব্য রাখেন- উপজেলা বিএনপি নেতা শামছুল হক তালুকদার, শফিকুর রহমান জামাল, প্রিন্সিপাল আব্দুর রব, মিজানুর রহমান লাল মিয়া মেম্বার, কাছুম আলী মেম্বার, আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের বিএনপির সাবেক সভাপতি আজগর আলী মাস্টার, সৈয়দ তোফাজ্জল, হোসাইন মোহাম্মদ রুবেল, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আজাদ মিয়া তালুকদার, ছাত্রদলের সদস্য সচিব মারুফ আহমেদ, শাহ প্রান্ত। 

বক্তারা বলেন, দলের নির্যাতিত নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে জেলার এক নেতার ইশারায় উপজেলা বিএনপির একটি পকেট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ কমিটি বাতিল করতে হবে।

একই দাবিতে শায়েস্তাগঞ্জের বাল্লা রেলওয়ে গেইট থেকে ঝাড়ু মিছিল বের হয়। মিছিলটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সড়কে গিয়ে শেষ হয়। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মোখলেছুর রহমান, নওশাদ হাসান, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের মোশাররফ চৌধুরী, মহিলা দল নেত্রী তুলনা চৌধুরী মিছিলে নেতৃত্বে দেন। 

শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শামছুল আলম রিপন অভিযোগ করে বলেন, “ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম-নির্যাতন, মামলা-হামলার শিকার হয়ে আন্দোলন করেছেন নেতাকর্মীরা। অথচ তাদের বাদ দিয়ে নতুন উপজেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এটা নেমে নিতে পারছি না। আমি রাজপথে ছিলাম, রয়েছি। আমাকে কমিটিতে রাখা হয়নি। অবিলম্বে ঘোষিত কমিটি বাতিল করে ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানাচ্ছি।”

ঢাকা/মামুন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ন ত কর ম ব এনপ র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে

ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাত্র ১২৭ রানে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আরও কম, ১২৫ রানে। কিন্তু রোববার (০২ নভেম্বর) তারা চোখে চোখ রেখে লড়াই করল আফগানিস্তানের বিপক্ষে।

আগে ব্যাট করে ৩ উইকেটে আফগানদের করা ২১০ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে হার মানে মাত্র ৯ রানে। দুই ইনিংসে রান হয়েছে মোট ৪১১টি। যা আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ।

আরো পড়ুন:

কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস

ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত

স্বাগতিকরা থেমে থেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও ব্রিয়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা, রায়ান বার্ল ও তাশিনগা মুসেকিওয়ার ব্যাটে লড়াই করে শেষ বল পর্যন্ত। বেনেট ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৭ রান। অধিনায়ক রাজা ৭টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫১ রান। বার্ল ১৫ বলে ৫ ছক্কায় খেলেন ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। আর মুসেকিওয়া ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ২৮ রান।

বল হাতে আফগানিস্তানের আব্দুল্লাহ আহমদজাই ৪ ওভারে ৪২ রানে ৩টি উইকেট নেন। ফজল হক ফারুকি ৪ ওভারে ২৯ রানে ২টি ও ফরিদ আহমদ ৩ ওভারে ৩৮ রানে নেন ২টি উইকেট।

তার আগে উদ্বোধনী জুটিতে আফগানিস্তানের রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ১৫.৩ ওভারে ১৫৯ রানের জুটি গড়েন। এই রানে গুরবাজ আউট হন ৪৮ বলে ৮টি চার ও ৫ ছক্কায় ৯২ রানের ইনিংস খেলে। মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। ১৬৩ রানের মাথায় ইব্রাহিম আউট হন ৭টি চারে ৬০ রান করে। এরপর সেদিকুল্লাহ অটল ১৫ বলে ২টি চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহকে ২১০ পর্যন্ত নিয়ে যান।

বল হাতে জিম্বাবুয়ের ব্রাড ইভান্স ৪ ওভারে ৩৩ রানে ২টি উইকেট নেন। অপর উইকেটটি নেন রিচার্ড এনগ্রাভা।

৯২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন গুরবাজ। আর মোট ১৬৯ রান করে সিরিজ সেরা হন ইব্রাহিম জাদরান।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ