ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ বলেছেন,“অনলাইন ভূমি ব্যবস্থাপনার ফলে ভুয়া ভূমি রেজিস্ট্রেশন ও জালিয়াতির সুযোগ কমে গেছে। অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ও ই-মিউটেশন সিস্টেমের কারণে মালিকানার তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে হালনাগাদ হয়, যা ভুয়া দলিল তৈরির সুযোগ অনেকাংশে হ্রাস করে এবং ভূমি সংক্রান্ত অপরাধ প্রতিরোধে সাহায্য করে।”

সোমবার (২৫ আগস্ট) স‌চিবাল‌য়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘৭৭তম টিম সভা’য় তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

স্থানীয়রা আন্তরিক না হলে সড়কের পাশের গাছ রক্ষা করা কঠিন: ভূমি উপদেষ্টা  

নাটোরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এসিল্যান্ড অফিস ঘেরাও 

প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী ভূমিসেবা ডিজিটাইজেশন টিম গঠন করা হয়েছে জা‌নি‌য়ে সি‌নিয়র স‌চিব ব‌লেন, “এই টিম বিভাগ ভিত্তিক কার্য পর্যালোচনা করে প্রতি অবহিত করা হ‌চ্ছে।”

তি‌নি ব‌লেন, “ভূমি সেবা প্রদানে আধুনিক বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে সন্তুষ্টির মাত্রা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তেমনি মহানগর থেকে মাঠ পর্যায় সর্বত্র কার্যক্রম পরিদর্শন জোরদার করা হয়েছে। পরিদর্শন প্রতিবেদন নিয়ে সভা করে কারো বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনে অসততার বা সেবা গ্রহীতাকে হয়রানির প্রমাণ পেলে বিধি মতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়াও যেকোনো মাধ্যমে দুর্নীতি বা হয়রানির প্রমাণ পেলেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। ভূমিসেবায় দুর্নীতির ব্যাপারে কোনো আপস নয়। জনবান্ধব ভূমিসেবা প্রদানই ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রধান লক্ষ্য।”

সভায় জানানো হয়, সরকারি স্বার্থসংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ মামলা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব প্যানেল আইনজীবী নিয়োগের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় অনুমোদন পাওয়া গেছে। অবৈধ বালু ও মাটি উত্তোলন বন্ধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে, জরিমানা করা হচ্ছে। সার্বিক পরিস্থিতি ভালো।এছাড়া ভূমি ব্যবস্থাপনা ম্যানুয়েল, ২০২৫ মতামতের জন্য বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের কাছে পাঠানো হয়েছে। মতামত পাওয়াগেলে ভেটিংএর জন্য আইন মন্ত্রণালয় পাঠানো হবে। এছাড়াও ভূমি ভবনে স্থাপিত ভূমি জাদুঘরে ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ,আধুনিকায়ন ও সমৃদ্ধকরণের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকদের কাছে ভূমি ব্যবস্থাপনার বিবর্তন সংক্রান্ত তথ্য ও ভূমি জরিপকার্যে ব্যবহৃত ভূমি ঐতিহ্যের ধারক এমন যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম যদি থাকে ভূমি মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের জন্য পত্র দেওয়া হয়েছে।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের সভা‌পতি‌ত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মো.

শরিফুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (জরিপ ও সায়রাত অনুবিভাগ) সায়মা ইউনুস, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন অনুবিভাগ), মো. এমদাদুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব (মাঠ প্রশাসন অনুবিভাগ) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ব ভ গ ব যবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

পিএইচডি গবেষকদের জন্য বৃত্তি চালু করা হবে: জবি উপাচার্য

থিসিস শিক্ষার্থীদের গবেষণা সহায়তার পাশাপাশি পিএইচডি গবেষকদের জন্যও অনুরূপ বৃত্তি চালুর ঘোষণা দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম।

রবিবার (২ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের থিসিস শিক্ষার্থীদের মধ্যে গবেষণা সহায়তা হিসেবে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।

আরো পড়ুন:

সুদানে গণহত্যার প্রতিবাদে জাবি ও জবিতে মানববন্ধন

ইবিতে কুরআন ও হিজাববিরোধী মন্তব্যের প্রতিবাদ শিক্ষার্থীদের

অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একাডেমিক ও গবেষণামুখী শিক্ষার্থীদের জন্য শুভেচ্ছা ও দোয়ার নিদর্শনস্বরূপ কিছু করতে পারায় আমরা আনন্দিত। আমরা থিসিস শিক্ষার্থীদের গবেষণা সহায়তার পাশাপাশি খুব শিগগিরই পিএইচডি গবেষকদের জন্যও অনুরূপ বৃত্তি চালু করব।”

তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক একাডেমিক পরিবেশ উন্নয়ন ও গবেষণার পরিধি বাড়াতে প্রশাসন অব্যাহতভাবে কাজ করছে। গবেষণার সুযোগ বাড়াতে এবং শিক্ষার্থীদের আগ্রহ সৃষ্টিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা করবে।”

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বলেন, “গবেষণার মানোন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের থিসিসে আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে এ ধরনের অনুদান প্রদান একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ। অনুদানের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করবে।”

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. শেখ রফিকুল ইসলাম।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের আওতায় প্রতিটি থিসিস শিক্ষার্থী ১৪ হাজার ১২৪ টাকা করে অনুদান পাবেন। এ অর্থ শুধু গবেষণাসংক্রান্ত কাজে ব্যয়যোগ্য এবং ‘থিসিস শিক্ষার্থীদের বৃত্তি’ হিসেবে বিবেচিত হবে।

অনুষ্ঠানে প্রতিটি অনুষদ থেকে দুজন করে শিক্ষার্থী উপাচার্যের কাছ থেকে চেক গ্রহণ করেন। অবশিষ্ট শিক্ষার্থীরা আগামীকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তর থেকে পরিচয়পত্র বা প্রবেশপত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে চেক সংগ্রহ করতে পারবেন।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউট পরিচালক, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, প্রাধ্যক্ষ এবং বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ