রিডিংরুমে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থীর প্রচার কার্যক্রম নিয়ে অভিযোগ দায়ের
Published: 25th, August 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের মনোনীত সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি আবাসিক হলের রিডিংরুমে (পাঠকক্ষ) ঢুকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে করমর্দন ও কোলাকুলি করে ভোট প্রার্থনা করেন, যা আচরণবিধি অনুযায়ী নিষিদ্ধ। এ ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের কাছে এক শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত দেশ: প্রধান উপদেষ্টা
১৫ বছর যাদের জন্য লড়েছি, তারাই আমাকে ধাক্কা দিল: রুমিন ফারহানা
শনিবার (২৩ আগস্ট) আবিদুল ইসলাম খান হল অমর একুশে হলের রিডিংরুমে প্রবেশ করে একাধিক শিক্ষার্থীর কাছে গিয়ে নিজের পরিচয় দিতে থাকেন দোয়া/সমর্থন চান এবং কয়েকজনের সঙ্গে কোলাকুলি করেছেন।
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন–২০২৫-এর নির্বাচনী বিধিমালা ৬(চ) অনুযায়ী, শ্রেণিকক্ষ, পাঠকক্ষ, পরীক্ষার হলসহ পাঠদান বা অধ্যয়ন ব্যাহত হতে পারে—এমন স্থানে সভা/সমাবেশ বা নির্বাচনী প্রচারণা করা যাবে না। আর বিধিমালা ১৭ অনুযায়ী, আচরণবিধি ভঙ্গের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা জরিমানা, প্রার্থিতা বাতিল, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার বা আইন অনুযায়ী অন্যান্য দণ্ডের বিধান আছে।
এ ঘটনায় রবিবার (২৪ আগস্ট) নির্বাচন কমিশনের চিফ রিটার্নিং অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কবি জসীমউদ্দীন হলের শিক্ষার্থী ও ভোটার শাহজামাল সায়েম।
চিঠিতে তিনি দাবি করেছেন, ২১ আগস্ট থেকে অভিযোগের দিন পর্যন্ত প্রার্থী একাধিক কমিশন বিজ্ঞপ্তি অমান্য করে প্রচারণা চালিয়ে গেছেন। অভিযোগপত্রে বিভিন্ন গণমাধ্যমের স্ক্রিনশট ও একটি ভিডিও লিংক সংযুক্ত আছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: ডাকসু নির্বাচন: ভিপি প্রার্থী আবিদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ
বিষয়টি নিয়ে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড.
মোবাইলে কল দিয়ে একাধিকবার চেষ্টা করেও এ বিষয়ে আবিদুল ইসলাম খানের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে ছাত্রদলের ডাকসু প্যানেলের এজিএস পদপ্রার্থী তানভীর হাদি আল মায়েদ বলেন, “বিষয়টি আমি মাত্রই জেনেছি। এ বিষয়ে আমরা পরবর্তীতে জানাব।”
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, “আমরা এই বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। খতিয়ে দেখা হবে।”
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল আচরণব ধ অন য য়
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুর তফসিল সোমবার
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রথম কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে।
রবিবার (২ নভেম্বর) চূড়ান্ত করা হবে নির্বাচনি আচরণবিধি এবং আগামীকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) ঘোষণা করা হবে নির্বাচনের তফসিল।
জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসান বলেন, “২৭ নভেম্বর নয়, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে জকসু নির্বাচন হবে। সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে ডিসেম্বরের ৮, ৯ বা ১০ তারিখ যাচাই করে দেখা হচ্ছে। যেহেতু ১৩ ডিসেম্বর ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে এবং ১১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ কর্মদিবস—সেক্ষেত্রে ১০ ডিসেম্বর বুধবার নির্বাচনের সম্ভাবনা বেশি।”
তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এবারই প্রথম জকসু নির্বাচন। তাই প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করতে কিছুটা সময় লাগছে। অনেক ছাত্র সংগঠনও ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায়, যাতে তারা প্রচারণা চালাতে পারে। তবে আমরা চাই, যত দ্রুত সম্ভব একটি উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজন করতে।”
অধ্যাপক মোস্তফা হাসান বলেন, “ভোটার তালিকা, প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা, ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া—এসব খসড়া তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচনি আচরণবিধিও প্রস্তুত করা হয়েছে চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল অনুসরণ করে।”
আজ সব কার্যকর ছাত্র সংগঠন, সাংবাদিক প্রতিনিধি ও নির্বাচনের অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করে আচরণবিধি চূড়ান্ত করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “কেউ যেন দ্বিমত না করে, সেটিই আমাদের লক্ষ্য। আচরণবিধি চূড়ান্ত হলেই সোমবার বা মঙ্গলবার তফসিল ঘোষণা করব।”
ছাত্রদলের সম্পাদকীয় ও সদস্য পদ বৃদ্ধির দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “জকসুর সংবিধি পাস হয়ে গেছে। এখন এটি সংশোধন করতে হলে একাডেমিক কাউন্সিল, সিন্ডিকেট, ইউজিসি, মন্ত্রণালয় এবং রাষ্ট্রপতির অনুমোদন লাগবে—এটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। তাই নতুন করে সংযোজনের সুযোগ নেই।”
তিনি আরো বলেন, “আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, সেটা স্বীকার করছি। তবে আমরা চাই, সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে। অন্যান্য ক্যাম্পাসের তুলনায় জবির ছাত্র সংগঠনগুলো অনেক ঐক্যবদ্ধ। তাদের সহযোগিতা পেলে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই হবে জকসু নির্বাচন।”
অধ্যাপক মোস্তফা হাসান আশা প্রকাশ করে বলেন, “২০ বছর পর প্রথম জকসু নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আমরা চাই, জবির এই নির্বাচন সারা দেশে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকুক।”
ঢাকা/লিমন ইসলাম/ইভা