ইলিশের উৎপাদন কমে যাওয়ার জন্য নানা কারণ রয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার। তিনি বলেছেন, ‘‘এ অবস্থা উত্তরণে সরকার কাজ করছে।’’

সোমবার (২৫ আগস্ট) সকালে বরিশাল ক্লাব মিলনায়তনে ‘উপকূলীয় এলাকার মহিষের চারণভূমি ও উন্নয়নের সমস্যা এবং সমাধান’ শীর্ষক জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘‘ইলিশের উৎপাদন কমার জন্য প্রাকৃতিক কারণও রয়েছে। নদীর নাব্যতা কমে যাচ্ছে। মেঘনা নদীর অববাহিকায় দূষণের মাত্রা বেড়েছে। বৃষ্টি না হলে ইলিশ মাছ ডিম পাড়তে পারে না। বিভিন্ন প্রাকৃতিক কারণ ও তথাকথিত উন্নয়নের কারণে নদী ভরাট এবং দখল হয়ে যাচ্ছে।’’

উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার বলেন, ‘‘ইলিশ সমুদ্র থেকে নদীতে আসে এবং আবার ফিরে যায়। কিন্তু বর্তমানে তা হচ্ছে না। সবচেয়ে বড় সমস্যা ঝাটকা নিধন। এটি সম্পূর্ণ বন্ধ করা যায়নি। এছাড়া অবৈধ জালের ব্যবহার ইলিশের প্রাপ্যতা কমাচ্ছে। তবে এ সবের বিরুদ্ধে আমরা কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছি। আশা করছি, খুব শীঘ্রই ইলিশ সুফল পাওয়া যাবে।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘খুব শীঘ্রই ঢাকায় একটি মিটিং হবে। যেখানে নদী থেকে মাছ ধরে হাত বদলের সিন্ডিকেট বন্ধ করার পরিকল্পনা নেয়া হবে। এ উদ্যোগের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ সরাসরি বাজারে মাছ পাবে এবং সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে আসবে।’’

গরু, ছাগল ও মহিষ পালনে চারণভূমির সংকটের কথা জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘‘উপকূল এলাকায় মহিষের চারণভূমি সংকুচিত হয়ে গেছে। এর পেছনে নানা কারণ রয়েছে। তবে সঠিক নীতি ও ব্যবস্থা নিলে মহিষ দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।’’ 

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বাফেলো অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রফেসর ড.

ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে পিকেএসএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ফজলে রাব্বি সাদেক আহমেদ, বরিশাল বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, জিজেইউএস নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন মহিন উপস্থিত ছিলেন। 

ঢাকা/পলাশ/বকুল 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবস থ উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

আফগানিস্তানে মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। দুই মাস আগেই দেশটিতে এক ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

ইউএসজিএস জানায়, রোববার দিবাগত রাতে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলম এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের গভীরতা প্রথমে ১০ কিলোমিটার বলা হয়। পরে তা সংশোধন করে গভীরতা ২৮ কিলোমিটার বলে জানায় সংস্থাটি।

আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।

আরও পড়ুনআফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২২০৫, খোলা আকাশের নিচে মানুষ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আফগানিস্তানে প্রায়শই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতমালা বরাবর, যেখানে ইউরেশীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে।

ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ভূমিকম্পবিদ ব্রায়ান ব্যাপটির দেওয়া তথ্য মতে, ১৯০০ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ১২টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।

আরও পড়ুন৩৫ বছরে আফগানিস্তানে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ