ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রশিবির নেতৃত্বাধীন প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী আবু সাদিক কায়েম বলেছেন, “আমাদের এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের উৎকর্ষের মাধ্যমে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিবে ইনশাআল্লাহ। শতবর্ষ এবং স্বাধীনতার পাঁচ দশক পার হয়ে যাওয়ার পরও আমরা দেখেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক অর্জন যেভাবে আছে.

সেদিক বিবেচনায় একাডেমিক অর্জনের দিকে আমরা ফোকাস দিতে পারিনি।”

সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে ঢাবির বিজ্ঞান অনুষদের কার্জন হলে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের এক সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

আরো পড়ুন:

গাছ কাটার প্রতিবাদের ইবির ৬ শিক্ষার্থীর অবস্থান কর্মসূচি

বাকৃবি শিক্ষার্থীদের কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিকে আত্মঘাতী বলছেন শিক্ষকরা

সাদিক বলেন, “সত্যিকার অর্থে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কাজ হচ্ছে- জ্ঞান উৎপাদন করা, জ্ঞান বিতরণ করা এবং নতুন নতুন জ্ঞান নিয়ে আসা। বিশেষত আমাদের যে বিজ্ঞান অনুষদের মাধ্যমে বিজ্ঞান-প্রযুক্তির উন্নতি এবং শিক্ষার মাধ্যমে পুরো বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়া।”

তিনি বলেন, “বিশ্বব্যাপী এ রকম অনেক দেশ আছে, যারা আমাদের পরে স্বাধীন হয়েও বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও শিক্ষা খাতে অনেক অগ্রগতি সাধন করেছে। অন্যদিকে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশে এবং বিশ্বের আরো অন্যান্য উন্নত দেশগুলোর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতে মূল বাজেটের ২৫-৩০ শতাংশ বরাদ্দ থাকে। সেখানে আমাদের গবেষণার জন্য আছে এবারই সর্বোচ্চ; ২ শতাংশ। আমরা যদি শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেট নিয়ে বিজয়ী হতে পারি, তাহলে আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা একটা একাডেমিক ইউনিভার্সিটি বানাবো ইনশাআল্লাহ।”

তিনি আরো বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের যে থাকার জায়গা, খাওয়া সমস্যাসহ নানারকম চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। আগত নারী শিক্ষার্থীদের হতে হয় নানারকম সাইবার বুলিংয়ের শিকার। ফলে নিরাপত্তা সংকটে ভোগেন তারা।”

সাদিক অভিযোগ করে বলেন, “আমরা এখানে যারা আছি ডাকসু নির্বাচন করছি, তারা সবাই জুলাইয়ের সহযোদ্ধা। আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কিভাবে বিনির্মাণ করতে চাই, সেটা নিয়ে আমরা প্রতিযোগিতা করি। কিন্তু আমাদের যারা বন্ধুপ্রতিম প্রতিপক্ষ আছে, তারা ক্রমাগত সাইবার বুলিংসহ মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।”

সাদিক আরো বলেন, “ডাকসু নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসে যে এক আমেজ বিরাজ করছে, শিক্ষার্থীরা নতুন নতুন চিন্তাগুলো শুনতে চাচ্ছে, সেই চিন্তাগুলো না দিয়ে আপনারা যারা পিছনে চলে যাচ্ছেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে আপনাদের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হচ্ছে।”

সবার প্রতি ভালো কাজের প্রতিযোগিতা এবং শিক্ষার্থীদের স্বার্থ নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের পক্ষ থেকে এ শিবির নেতা বলেন, “সাম্প্রতিক সময় ও বিগত সময়ে আমরা যে শিক্ষার্থীবান্ধব কাজ করেছি, শহীদদের আকাঙ্ক্ষার আলোকে প্রশাসনের কাছে যে সংস্কার প্রস্তাবনা দিয়েছি, আমরা আশাবাদী শিক্ষার্থীরা আমাদের জোটের উপর আস্থা রাখবে।”

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

উৎপাদনশীলতা বাড়াতে বিজিএমইএ-এনপিও সমঝোতা স্মারক

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে উৎপাদনশীলতা, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা বাড়াতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশনের (এনপিও) সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিজিএমইএ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

আরো পড়ুন:

শুল্ক হ্রাসে আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই, আরো কমাতে আলোচনার পরামর্শ

বিজিএমইএ নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৮৭.৫০ শতাংশ

বিজিএমইএ জানায়, সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, পোশাক শিল্পকে ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ যুগের উপযোগী করে তুলতে যৌথভাবে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, সেমিনার ও পরামর্শ সেবা পরিচালনা করবে বিজিএমইএ ও এনপিও। পাশাপাশি, উৎপাদনশীলতা ও অপারেশনাল উৎকর্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৫ এস, কাইজেন, লিন ম্যানুফেকচারিংরের মতো আধুনিক পদ্ধতি প্রয়োগে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

চুক্তির অংশ হিসেবে প্রতি বছর তিনটি তৈরি পোশাক কারখানাকে ‘মডেল এন্টারপ্রাইজ’ হিসেবে বাছাই করা হবে এবং এনপিওর কারিগরি সহায়তায় এসব কারখানায় উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এছাড়া, উভয় সংস্থা এশিয়ান প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশনের সহায়তায় গবেষণা ও সক্ষমতা উন্নয়নমূলক উদ্যোগেও একসাথে কাজ করবে।

এনপিও কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বিজিএমইএ পরিচালক জোয়ারদার মোহাম্মদ হোসনে কমার আলম এবং এনপিও সভাপতি মো. নুরুল আলম।

বিজিএমইএ প্রতিনিধি বলেন, বৈশ্বিক বাণিজ্যের পরিবর্তন, প্রযুক্তিগত রূপান্তর এবং সাপ্লাই চেইনের নতুন বাস্তবতায় ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ গ্রহণ এখন সময়ের দাবি। শুধুমাত্র কম খরচের ওপর নির্ভর না করে, এখন প্রয়োজন গুণগত মান, দক্ষতা, গতি ও উদ্ভাবনের সমন্বয়।

বিজিএমইএ পরিচালক জোয়ারদার মোহাম্মদ হোসনে কমার আলম বলেন, “বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে স্মার্ট ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের পথে এগিয়ে নিতে আমাদের উৎপাদন ব্যবস্থায় ডিজিটাল প্রযুক্তি, আইওটি ও ইনোভেশন সংযুক্ত করা জরুরি। বিজিএমইএ ও এনপিওর এই অংশীদারিত্ব বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের টেকসই, আধুনিক ও প্রতিযোগিতামূলক শিল্পে রূপান্তরের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।”

ঢাকা/নাজমুল/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • উৎপাদনশীলতা বাড়াতে বিজিএমইএ-এনপিও সমঝোতা স্মারক