‘আমি বিবাহিত, সেটা ফেসবুকে প্রমাণ করার কিছু নেই’
Published: 26th, August 2025 GMT
ঢাকাই সিনেমার আলোচিত জুটি শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। প্রেম, গোপন বিয়ে, সন্তান জন্ম, বিচ্ছেদ—সব মিলিয়ে তাদের ব্যক্তিজীবন সবসময় ছিল আলোচনার কেন্দ্রে। দর্শকের কৌতূহলও কখনো কমেনি।
২০০৮ সালে শাকিবকে গোপনে বিয়ে করেন অপু। বহুদিন গোপন রাখলেও ২০১৭ সালে ছেলে আব্রাম খান জয়ের জন্মের পর বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আনেন তিনি। এরপরেই ভাঙন ধরে সংসারে, বিচ্ছেদের পথেই হাঁটেন এই তারকা জুটি।
গল্প এখানেই থেমে যায়নি। ছেলের টানে আবারো কাছাকাছি আসা, একসঙ্গে ভ্রমণ, পারিবারিক সময় কাটানো—এসব নিয়ে বারবার ভেসে বেড়িয়েছে ‘আবারো কি এক হচ্ছেন শাকিব-অপু?’
অপুর খোলামেলা উত্তর। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অপু বিশ্বাস স্পষ্ট করে বলেন, “আমি বিবাহিত, সেটা ফেসবুকে প্রমাণ করার কিছু নেই। সংসার প্রতিষ্ঠা করতে হলে ফেসবুক পোস্ট লাগে না। কেউ বিশ্বাস করলে করবে, না করলে আমার বোঝানোর সময় নেই।”
শাকিবের সঙ্গে সংসার কেমন চলছে—এই প্রশ্নেরও সরাসরি জবাব দেননি। তিনি বলেন, “যতটুকু প্রয়োজন মনে করেছি, জানিয়েছি। এর বাইরে আমি পারিবারিক বিষয়গুলো ব্যক্তিগতই রাখতে চাই।”
নিজের সীমারেখা টেনে দিতে গিয়ে প্রিয় নায়ক শাহরুখ খানের উদাহরণ টানেন অপু। বলেন, “শাহরুখ দর্শকদের যতটুকু প্রয়োজন মনে করেছেন, ততটুকুই জানিয়েছেন। আমি-ও তাই মনে করি। আমার সংসার নিয়ে সব কিছু প্রকাশ্যে আনার দরকার নেই।”
অন্যদিকে শাকিব খানকে সম্প্রতি দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রে শবনম বুবলী ও ছেলে শেহজাদের সঙ্গে সময় কাটাতে। বছর খানেক আগে সেখানে শাকিবের সঙ্গেই ঘুরেছেন অপু ও জয়। ফলে আবারো আলোচনায় তাদের ‘পুরোনো-নতুন’ সম্পর্ক।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুতে এআই ব্যবহারে থাকবে শিথিলতা, তবে অপব্যবহার করা যাবে না: নির্বাচন কমিশন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) ব্যবহারে শিথিলতা থাকবে। তবে এর অপব্যবহার করা যাবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সদস্য জুলফিকার মাহমুদ।
রোববার উপাচার্যের সভাকক্ষে রাজনৈতিক ও সক্রিয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন-২০২৫-এর আচরণবিধিবিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ছাত্রশক্তির আহ্বায়ক ফয়সাল মুরাদের এক দাবির জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে ফয়সাল মুরাদ বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণবিধির ৭–এর ঘ ধারায় বলা হয়েছে, নির্বাচনী প্রচারণায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহার করা যাবে না। আমরা যারা ছোট সংগঠন, আমাদের তহবিল সীমিত। আমরা নির্বাচনী প্রচারের জন্য এআই ব্যবহার করে দু-এক মিনিটের ভিডিও বানিয়ে প্রচার কার্যক্রম চালাতে চাই। আমাদের দাবি, এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন যেন শিথিল নীতি গ্রহণ করে।’
মুরাদ আরও বলেন, বিগত চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে কিছু ত্রুটি লক্ষ করা গেছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনকে স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও বিতর্কমুক্ত রাখার জন্য যতগুলো ভোটকক্ষ থাকবে, সব কটি সিসিটিভি ফুটেজের আওতায় রাখতে হবে। সবার জন্য সেই সিসিটিভি ফুটেজ উন্মুক্ত রাখতে হবে। ভোট গ্রহণকে স্বচ্ছ রাখার জন্য ভোটকক্ষের ভেতরে জাতীয় গণমাধ্যমকে সরাসরি সম্প্রচার করার অনুমতি দেওয়ার কথা বলেন তিনি।
দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জকসুর নির্বাচন কমিশনার জুলফিকার মাহমুদ বলেন, ‘এআই ব্যবহার করে বিভিন্নজনের চরিত্র হনন করা হয়, অপপ্রচার চালানো হয়। সেদিক থেকে চিন্তা করে এআই ব্যবহার নিষিদ্ধ রেখেছিলাম। তোমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এআই ব্যবহারে শিথিলতা থাকবে প্রচার–প্রসারে, তবে অপব্যবহার করা যাবে না। আর সরাসরি সম্প্রচারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আলোচনা করে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য রেজাউল করিম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫–এর নির্বাচন কমিশনার ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল সংগঠন ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা।