বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা মুনাফা ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৩ হাজার কোটি টাকা। এ থেকে কর ও অন্যান্য খরচ বাদে নিট মুনাফা হয়েছে ২২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। ট্রেজারি বিল বন্ড ও সরকারের দেওয়া সুদ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক এই মুনাফার রেকর্ড করেছে। এই আয় সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের ৪৪৩তম পরিচালনা পর্ষদ সভায় আর্থিক বিবরণী অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই সভায় সভাপতিত্ব করেন গভর্নর ড.

আহসান এইচ মনসুর। এবাবের মুনাফা থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নিজস্ব বেসিক বেতনের ৬ গুণ ইনসেনটিভ বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ।

আরো পড়ুন:

‘রপ্তানিকারকদের প্রাপ্য অর্থ পরিশোধে উদ্যোগ নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক’

ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য আবেদন শুরু ১ সেপ্টেম্বর

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. হাবিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক গত অর্থবছরের চেয়ে এবার বেশি মুনাফা করেছে। সরকারের কাছে ধার দেওয়া এবং ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ থেকে বড় অঙ্কের সুদ আয় হয়েছে, যা মুনাফা বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, এক বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট মুনাফা বেড়েছে প্রায় ৭ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নিট মুনাফার পরিমাণ ছিল ১৫ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এ সময়  বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা হয়েছিল প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে নিট মুনাফা হয়েছিল ১০ হাজার ৭৪৮ কোটি টাকা।

ঢাকা/নাজমুল/রাসেল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

প্রকল্পের তিন মাসের খরচ বিবেচনা করে সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ

চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) প্রকল্পের বাস্তবায়নের অগ্রগতির ওপর পর্যালোচনা করে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (আরএডিপি) বরাদ্দ দেবে অর্থ মন্ত্রণালয়। বিদেশি সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পগুলোর ক্ষেত্রে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)।

আগামী রোববার থেকে বিদেশি সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পে আছে প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে বৈঠক শুরু করবে ইআরডি।

চলতি অর্থবছরে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকার এডিপি নেওয়া হয়েছে। প্রথম তিন মাসে মাত্র ৫ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে।

এবারের এডিপিতে ১ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা দেশীয় উৎস থেকে এবং ৮ হাজার ৬৯৬ কোটি টাকা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা দেবে। বাকি ৮৬ হাজার কোটি টাকা বিদেশি সহায়তা হিসেবে বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

কিন্তু চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মাত্র ৫ হাজার ৭৮ কোটি টাকা খরচ হয়েছে, যা বিদেশি সহায়তার মাত্র ৬ শতাংশের মতো। এর মানে হলো, অর্থবছরের চার ভাগের এক ভাগ সময় পেরিয়ে গেলেও বিদেশি সহায়তা খরচে হতাশাজনক চিত্র মিলছে।

ইতিমধ্যে সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ কীভাবে হবে, তা নিয়ে ইআরডি সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে পাঁচ দফা নির্দেশনা পাঠিয়েছে। এই নির্দেশনাগুলো হলো—এক. প্রকল্পের আর্থিক বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও ক্রমপুঞ্জিভূত খরচ ইত্যাদির সঙ্গে অবশিষ্ট প্রাপ্যতার সামঞ্জস্য রেখে বরাদ্দ চাহিদা দিতে হবে। দুই. প্রকল্পের ব্যয়ের বিদেশি ঋণ, অনুদান ইত্যাদি আলাদা করে পাঠাতে হবে। চার. অনুমোদন ছাড়া সংশোধিত এডিপিতে কোনো প্রকল্প নেওয়া যাবে না। চার. ২০২৬-২৭ ও ২০২৭-২৮ অর্থবছরের প্রক্ষেপণ প্রেরণের সময় বিশেষ সতর্কতা ও যৌক্তিকতা অবলম্বন করতে হবে। চার. কোনো প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হলে বা প্রকল্পের খরচ বাড়ানো হলে সরকারি আদেশের কপি পাঠাতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তিন মাসে গৃহকর আদায় কমেছে ৩০ কোটি টাকা
  • জুলাই–সেপ্টেম্বরে ঋণছাড়ে এগিয়ে বিশ্বব্যাংক ও রাশিয়া, কোনো অর্থ দেয়নি চীন
  • সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি বাস্তবায়নে কমিটি 
  • ২৯ দিনে প্রবাসী আয় ২৪৩ কোটি ডলার
  • শেষে এসে ‘বিপদে’ ওয়াসা
  • তিন মাসে বিদেশি ঋণ এসেছে ১১৫ কোটি ডলার, শোধ ১২৮ কোটি ডলার
  • রেমিট্যান্স ২৯ হাজার কোটি টাকা অতিক্রম
  • প্রকল্পের তিন মাসের খরচ বিবেচনা করে সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ