কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক দ্রুত সংস্কার ও চার লেনে উন্নীতকরণের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বুধবার (২৭ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে তারা ময়নামতি থেকে কংশনগর পর্যন্ত নয়টি পয়েন্টে বিক্ষোভ করেন। 

বিক্ষোভ চলাকালীন মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে সড়ক ও জনপদ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জেলা পুলিশের আশ্বাসে বিক্ষোভকারীরা এক ঘণ্টা পর সড়ক থেকে সরে যান। ফলে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। 

আরো পড়ুন:

বুয়েট শিক্ষার্থীদের শাহবাগে সড়ক অবরোধ

সড়ক যেন চষা ক্ষেত

বিক্ষোভকারীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত করার প্রস্তাব দেওয়া হলেও তা কার্যকর হয়নি। খানাখন্দ ও ভাঙাচোরা সড়ক সংস্কার না করায় সাধারণ মানুষকে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দেবপুর এলাকায় সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল মালিক বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা দ্রুত সংস্কার কাজ শুরুর আশ্বাস দিলে এলাকাবাসী অবরোধ তুলে নেন। 

নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা বলেন, “কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার বিষয়টি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল। তবে, দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়ক সংস্কারকাজ শুরু করা হবে।” 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল মালিক বলেন, “সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তারা আশ্বাস দিয়েছেন যে, খুব শিগগিরই সড়ক সংস্কার কাজ শুরু হবে। এলাকাবাসী আশ্বস্ত হয়ে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন। এক ঘণ্টার যানজট ছাড়াও কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।”

ঢাকা/রুবেল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন অবর ধ সড়ক স স ক র অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

চকবাজারে প্রিজন ট্রাকের ধাক্কায় ঠেলাগাড়ির শ্রমিক নিহত

রাজধানীর চকবাজারে প্রিজন ট্রাকের ধাক্কায় সোহাগ হাওলাদার (৩০) নামের ঠেলাগাড়ির এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন।

আজ রোববার বেলা সোয়া একটার দিকে চকবাজারের নাজিমুদ্দিন রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

সহকারী প্রধান কারারক্ষী সাইফুল ইসলাম বলেন, দুপুরে কেরানীগঞ্জ থেকে কারা সদর দপ্তরের দিকে যাচ্ছিল ট্রাকটি। ট্রাকটি চালাচ্ছিলেন মনসুর নামের এক চালক। নাজিমুদ্দিন রোডে পৌঁছালে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

সোহাগের সহকর্মীরা বলেন, দুপুরে আগামাছি লেন থেকে তাঁরা চারজন মিলে ঠেলাগাড়িতে ইট বহন করে নাজিমুদ্দিন রোড দিয়ে যাচ্ছিলেন। নাজিমুদ্দিন রোডের বড় মসজিদের সামনে পৌঁছালে দ্রুতগতির একটি প্রিজন ট্রাক ঠেলাগাড়িতে ধাক্কা দেয়। এতে সোহাগ সড়কে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে সোহাগকে উদ্ধার করে বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

সোহাগের সহকর্মী আশরাফুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার পর এলাকাবাসী ট্রাক ও চালককে আটক করেছেন।

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, সোহাগের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।

নিহত সোহাগের বাড়ি বরিশালের মুলাদী উপজেলায়। বাবার নাম দুলাল হাওলাদার। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে সোহাগ কেরানীগঞ্জের জিনজিরা এলাকায় থাকতেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ