পুলিশ কর্মকর্তা নিহার রঞ্জন বিষয়ে যা বলল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
Published: 27th, August 2025 GMT
পুলিশ কর্মকর্তা নিহার রঞ্জন হাওলাদারের বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এসব সংবাদ অসত্য ও বিভ্রান্তিকর বলে দাবি করেছে মন্ত্রণালয়।
বুধবার (২৭ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে বলা হয়েছে, ‘প্রায় সাত লাখ টাকার ধার পরিশোধ না করায় পদ কেড়ে নেওয়া হয়েছে নিহার রঞ্জন হাওলাদার নামে এক পুলিশ কর্মকর্তার। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) এসপি ছিলেন তিনি। শাস্তির অংশ হিসেবে তার এ পদ কেড়ে নিয়ে তাকে অতিরিক্ত এসপি করা হয়েছে।’ কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে—ধার পরিশোধ না করায় তার পদ অবনমন করা হয়নি বা পদ কেড়ে নেওয়া হয়নি। চাকরি জীবনের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অপরাধে নিহার রঞ্জন হাওলাদারের নামে তিনটি বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয় এবং সেসব মামলায় তিনি অভিযুক্ত হন। যার একটি হচ্ছে ধার পরিশোধ না করা, যেটিতে যথাযথ বিধি প্রতিপালনপূর্বক তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালার ৩(খ) বিধি অনুসারে অসদাচরণের অভিযোগে একই বিধিমালার ৪(২)-এর উপবিধি (১) (ক) অনুসারে তাকে তিরস্কার দণ্ড প্রদান করা হয়। গত ২১ আগস্ট ২০২৫ তারিখে ২৪০ নম্বর স্মারকমূলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তিরস্কার দণ্ড প্রদান করা হয়।
নিহার রঞ্জন হাওলাদারকে গত ২২ জুন, ২০২৩ তারিখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের তৎকালীন সিনিয়র সচিব মো.
অন্যদিকে, প্রতারণামূলকভাবে অর্থ আত্মসাৎ বেদখলীয় জমি দখল করে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি ইত্যাদি কারণে নিহার রঞ্জন হাওলাদারের বিরুদ্ধে অপর একটি (তৃতীয়) বিভাগীয় মামলায় অভিযোগ তদন্তের মাধ্যমে প্রমাণিত হওয়ায় গত ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর তারিখের ২১৭ নম্বর স্মারকমূলে তাকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৪(২) এর উপ-বিধি (১) (ঘ) অনুযায়ী তাকে এক বছরের জন্য বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিতকরণের দণ্ড দেওয়া হয় এবং ভবিষ্যতে এ বেতন সমন্বয় করা হবে না মর্মে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য স আইড তদন ত সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
চরাঞ্চলের মানুষের স্বার্থ রক্ষা করে উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি
কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের মানুষের ভোটাধিকারের নিশ্চয়তা ও নির্বাচনের প্রচার–প্রচারণায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। নির্বাচনে পেশিশক্তির ব্যবহার বন্ধ করে ভোটারদের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশে দ্রুত গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) কুড়িগ্রামে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিতকরণে নাগরিক সমাজের প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এ দাবিগুলো উঠে আসে। বক্তারা আগামী জাতীয় নির্বাচন অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে সংসদীয় আসনে নারী আসন বৃদ্ধি, যুব প্রতিনিধিত্ব বাড়ানো, সংখ্যালঘু ও প্রান্তিক মানুষের স্বার্থ রক্ষার সুপারিশ করেন।
কুড়িগ্রাম জেলা সদরের উপজেলা অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে বেলা ১১টা থেকে জেলা পর্যায়ের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় একশনএইডের নেতৃত্বে সুশীল প্রকল্পের অধীনে বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন ‘উদয়াঙ্কুর সেবা সংস্থা (ইউএসএস)’ এ বৈঠকের আয়োজন করে। এ আয়োজনের প্রচার সহযোগী হিসেবে রয়েছে প্রথম আলো।
বিএনপির ৩১ দফায় নারীর ক্ষমতায়ন ও নারীর মর্যাদার কথা বলা আছে উল্লেখ করে কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান বৈঠকে বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে আমাদের দল নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের পাশাপাশি দলীয় মনোনয়নে নারীদের জন্য সুযোগ রাখবে। অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনে চরাঞ্চলের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, সংখ্যালঘু ও যুবসমাজের প্রতিনিধি আরও বাড়ানো হবে।’
‘অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিতকরণে নাগরিক সমাজের প্রত্যাশা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। আজ মঙ্গলবার সকালে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা অফিসার্স ক্লাব হলরুমে