‎সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ সংক্রান্ত প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের তথ্য পেয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মার্কেট ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্ট। প্রতারকচক্র কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের লোভনীয় বার্তা পাঠিয়ে বিনিয়োগে প্রলুব্ধ করে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। এ ধরনের ঘটনার বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছে বিএসইসি।

‎বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো.

আবুল কালাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

‎বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতারকচক্র এআই ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (হোয়াটস্অ্যাপ, টেলিগ্রাম) বিনিয়োগকারীদের লোভনীয় বার্তা পাঠিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগের পর প্রথমে সামান্য মুনাফা দেখিয়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন করা হয় এবং পরবর্তীতে অধিক মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে বড় অঙ্কের বিনিয়োগে প্রলুব্ধ করা হয়। এভাবে বড় অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতে এক সময় বিনিয়োগকারীকে জানানো হয়- যে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিনিয়োগ করেছে সেটিতে সমস্যা হয়েছে। এ জন্য বিনিয়োগকারীকে আরও অর্থ দিতে হবে। এভাবে প্রতারণার মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার পর প্রতারকচক্র ভুক্তভোগীকে ব্লক করে দেয়।

‎এ ধরণের প্রতারণা থেকে সুরক্ষার জন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কিছু সতর্কবার্তা বিশেষভাবে অনুসরণ এবং সতর্ক থাকার অনুরোধ করা হয়েছে। যেমন: পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য বিও আইডি থাকা আবশ্যক, যা নিবন্ধিত স্টক ব্রোকার বা ডিপোজিটরি পার্টিসিপ্যান্টের মাধ্যমে খোলা হয়। 

নিজ নামে বিও হিসাব ব্যতিরেকে এবং নিবন্ধিত স্টক ব্রোকার বা মার্চেন্ট ব্যাংকার বা পোর্টফোলিও ম্যানেজারের মাধ্যম ছাড়া পুঁজিবাজারে সিকিউরিটিজ ক্রয়-বিক্রয় বা আর্থিক লেনদেন না করার জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে। 

‎এ ছাড়াও সিকিউরিটিজ বা শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত লেনদেন বিনিয়োগকারীর নিজ নামে পরিচালতি বিও হিসাবে সঠিকভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া আবশ্যক। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতারক চক্রের বিষয়ে বা পুঁজিবাজার সংক্রান্ত যে কোন অনিয়মের বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেলে তা কমিশনের মার্কেট ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্টকে ই-মেইলের ([email protected]) মাধ্যমে জানানোর অনুরোধ জানিয়েছে বিএসইসি।

 

‎ঢাকা/এনটি/

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসইস

এছাড়াও পড়ুন:

৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ

‎পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চারটি কোম্পানির সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও তা নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন না করায় সাত নিরীক্ষক (অডিটর) প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ বছরের জন্য অডিট এবং অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সেইসঙ্গে ওই নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষকদের কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না, সেই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে তাদের শুনানিতে ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

আরো পড়ুন:

সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি: ১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা জরিমানা

পুঁজিবাজার উন্নয়নে ডিএসই ও ডিসিসিআইয়ের যৌথ সভা

‎গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৭৩তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‎বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

‎সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক এ হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; রিংসাইন টেক্সটাইল লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক যথাক্রমে: আহমেদ অ্যান্ড আক্তার, মাহফেল হক অ্যান্ড কোং, আতা খান অ্যান্ড কোং এবং সিরাজ খান বসাক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; আমান কটন ফাইব্রাস লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক ইসলাম কাজী শফিক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস এবং ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৮ ও ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক মাহফেল হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন করেনি। 

এ সকল নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষককে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানি, সকল ধরনের বিনিয়োগ স্কিম (যথা- মিউচ্যুয়াল ফান্ড, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) এবং পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী সকল প্রতিষ্ঠানের অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রম পরিচালনার উপর নিষেধাজ্ঞা তথা পাঁচ বছরের জন্য অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণে কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে শুনানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

‎ঢাকা/এনটি/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ
  • সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি: ১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা জরিমানা
  • ২২ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ দেবে বিএসইসি
  • পুঁজিবাজার উন্নয়নে ডিএসই ও ডিসিসিআইয়ের যৌথ সভা
  • বিএসইসির তদন্তের মুখে ভ্যানগার্ড ও ক্যাপিটেক অ্যাসেট
  • দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নে পুঁজিবাজার ও বন্ডকে ব্যবহারের প্রস্তাব
  • ৫ কোম্পানির শেয়ার কারসাজি: ৩ জনকে দেড় কোটি টাকা অর্থদণ্ড