নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে ৪৪তম বিসিএসে গত ৩০জুন প্রকাশিত ফলাফলে একই পদে সুপারিশ নিয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

প্রকাশিত ফলাফলে সমপদে কিংবা পছন্দের তালিকার নিম্নতম পদে পুনরায় সুপারিশকৃতদের সুপারিশ বাতিল এবং পদগুলোতে উত্তীর্ণ অন্যান্য প্রার্থীর মেধাক্রম অনুসরণ করে ফের ফলাফল প্রকাশের জন্য করা আবেদন নিষ্পত্তির জন্য ৪ সপ্তাহের সময় দিয়ে রুল জারি করা হয়।

আরো পড়ুন:

ডাকসু নির্বাচন: ভোটারদের তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষায় হাইকোর্টে রিট

দুদকের নতুন আইনজীবী শাহদীন মালিক

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি রিট মামলার প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি আকরাম হোসাইন চৌধুরী ও বিচারপতি ফয়েজ আহমেদের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এসময় আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এসএম মাহিদুল ইসলাম সজিব।

এতে ৪৪তম বিসিএসের নিয়োগে সুপারিশ প্রশ্নে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতাকে কেনো অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং পরবর্তীতে আবেদনকারীদের বিধি মোতাবেক উপযুক্ত ক্যাডার ও নন-ক্যাডারে শূন্য সেই পদগুলোতে কেনো নিয়োগ প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।

একইসঙ্গে রিট আবেদনকারীরা ৪৪তম বিসিএসের ফলাফলে সমপদে কিংবা পছন্দের তালিকার নিম্নতম পদে পুনরায় সুপারিশকৃতদের সুপারিশ বাতিল করে ফলাফল প্রকাশের যে আবেদন করেছেন, তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আবেদনকারীবরা উল্লেখ করেন, ইতোমধ্যে দেশের শীর্ষ স্থানীয় গণমাধ্যম, প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রকাশিত হয়েছে ৪৪তম বিসিএসের ১৭১০টি ক্যাডার পদের বিপরীতে দেশের ইতিহাসে রেকর্ডকৃত ৪ লাখ ৭৫ হাজার প্রার্থী আবেদন করেন। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১৫ হাজার ২৫৬ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়ে ১১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মোট ১১ হাজার ৮০০ জন মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পান।

ক্যাডার ফলাফলে ১ হাজার ৬৯০ জনকে সুপারিশ করা হলেও মৌখিকর পূর্বে ক্যাডার চয়েস পূরণের সুযোগ না থাকায় পূর্ববর্তী বিসিএস পরীক্ষায় নিয়োগপ্রাপ্ত প্রায় ৮০০ জন প্রার্থী ৪৪তম বিসিএসে সমপদে কিংবা পছন্দের তালিকার নিম্নতম পদে সুপারিশ প্রাপ্ত হন। যাদের কারোরই সুপারিশপ্রাপ্ত পদে যোগদানের সম্ভাবনা নেই। ফলে মেধাবী ও যোগ্য শিক্ষিত প্রার্থীদের বেকারত্ব বাড়িয়ে দিচ্ছে।

এর আগে, গত ৩০ জুন ৪৪তম বিসিএসের ফলাফল প্রকাশিত হলে রিটকারীরা ১৪ জুলাই বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর একই দাবিতে আবেদন করেন। কিন্তু কোনো প্রতিকার না পেয়ে, মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ক্যাডার পদে পদ শূন্য না থাকায় মনোনয়ন বঞ্চিত আফজাল হোসেনসহ অন্য আরো ১০ জন হাইকোর্টে এই রিট পিটিশনটি করেন।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রক শ ত পর ক ষ য় র ফল ফল

এছাড়াও পড়ুন:

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সেই মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন মিনহাজ মান্নান

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বর্তমান পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমনের আপিল মঞ্জুর করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি মো. যাবিদ হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।

এ রায়ের ফলে ওই মামলা থেকে মিনহাজ মান্নান অব্যাহতি পেলেন বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী মঈন ফিরোজী।

আইনজীবীর তথ্য অনুসারে, ওই মামলায় ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়া ও মিনহাজ মান্নান ইমনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল। পলাতক অপর চার আসামি হলেন সুইডেনপ্রবাসী সাংবাদিক তাসনিম খলিল, হাঙ্গেরিপ্রবাসী সামিউল ইসলাম খান ওরফে স্যাম ওরফে জুলকার নাইন, আশিক ইমরান ও ওয়াহিদুন নবী।

দিদারুল ইসলাম ও মিনহাজ মান্নান নারাজি আবেদন দিলে তা নামঞ্জুর হয়। এই আদেশের বিরুদ্ধে মিনহাজ মান্নান একই বছর হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০২২ সালের ২৪ আগস্ট হাইকোর্ট আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে মিনহাজ মান্নানের ক্ষেত্রে মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত করেন। শুনানি শেষে আপিল মঞ্জুর করে আজ রায় দেওয়া হয়।

আদালতে মিনহাজ মান্নানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মঈন ফিরোজী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক কথাবার্তা ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগ তুলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর রমনা থানায় ১১ জনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ৫ মে মামলাটি করা হয়। ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। এতে কার্টুনিস্ট কিশোর, লেখক মুশতাক আহমেদ ও রাষ্ট্রচিন্তার দিদারুল ইসলামকে আসামি করা হয় এবং আটজনকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়।

আরও পড়ুন১০ মাস পর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন কার্টুনিস্ট কিশোর০৪ মার্চ ২০২১

এ মামলায় কারাবন্দী মুশতাক আহমেদ ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি মারা যান। এ কারণে তাঁকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ মামলা অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, অভিযোগ গঠনের সময় ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির ছিলেন দিদারুল ইসলাম ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান। তাঁরা নিজেদের নিরপরাধ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চান। সেদিন কার্টুনিস্ট কিশোর আদালতে হাজির না থাকায় তাঁর জামিন বাতিল করা হয়।

আরও পড়ুনআজিমপুর কবরস্থানে সমাহিত লেখক মুশতাক২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এখন দেখছি নতুন প্রতারকের জন্ম হয়েছে: কায়সার কামাল
  • ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকের বিরুদ্ধে ৫০ কোটি ডলার ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ
  • ‘শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন, এখনো কেন গুলি করছেন’
  • ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে ৯ দফা তিন সপ্তাহের মধ্যে বাস্তবায়নের নির্দেশ
  • ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সেই মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন মিনহাজ মান্নান
  • জামিন পেলেন বিএনপি নেতা সাখাওয়াতসহ ৬ জন
  • জামিন পেলেন বিএনপি নেতা সাখাওয়াতসহ ৬ আসামি