৪৪তম বিসিএসে একই ক্যাডারে পুনরায় সুপারিশ নিয়ে হাইকোর্টের রুল
Published: 28th, August 2025 GMT
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে ৪৪তম বিসিএসে গত ৩০জুন প্রকাশিত ফলাফলে একই পদে সুপারিশ নিয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
প্রকাশিত ফলাফলে সমপদে কিংবা পছন্দের তালিকার নিম্নতম পদে পুনরায় সুপারিশকৃতদের সুপারিশ বাতিল এবং পদগুলোতে উত্তীর্ণ অন্যান্য প্রার্থীর মেধাক্রম অনুসরণ করে ফের ফলাফল প্রকাশের জন্য করা আবেদন নিষ্পত্তির জন্য ৪ সপ্তাহের সময় দিয়ে রুল জারি করা হয়।
আরো পড়ুন:
ডাকসু নির্বাচন: ভোটারদের তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষায় হাইকোর্টে রিট
দুদকের নতুন আইনজীবী শাহদীন মালিক
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি রিট মামলার প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি আকরাম হোসাইন চৌধুরী ও বিচারপতি ফয়েজ আহমেদের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এসময় আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এসএম মাহিদুল ইসলাম সজিব।
এতে ৪৪তম বিসিএসের নিয়োগে সুপারিশ প্রশ্নে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতাকে কেনো অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং পরবর্তীতে আবেদনকারীদের বিধি মোতাবেক উপযুক্ত ক্যাডার ও নন-ক্যাডারে শূন্য সেই পদগুলোতে কেনো নিয়োগ প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।
একইসঙ্গে রিট আবেদনকারীরা ৪৪তম বিসিএসের ফলাফলে সমপদে কিংবা পছন্দের তালিকার নিম্নতম পদে পুনরায় সুপারিশকৃতদের সুপারিশ বাতিল করে ফলাফল প্রকাশের যে আবেদন করেছেন, তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আবেদনকারীবরা উল্লেখ করেন, ইতোমধ্যে দেশের শীর্ষ স্থানীয় গণমাধ্যম, প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রকাশিত হয়েছে ৪৪তম বিসিএসের ১৭১০টি ক্যাডার পদের বিপরীতে দেশের ইতিহাসে রেকর্ডকৃত ৪ লাখ ৭৫ হাজার প্রার্থী আবেদন করেন। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১৫ হাজার ২৫৬ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়ে ১১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মোট ১১ হাজার ৮০০ জন মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পান।
ক্যাডার ফলাফলে ১ হাজার ৬৯০ জনকে সুপারিশ করা হলেও মৌখিকর পূর্বে ক্যাডার চয়েস পূরণের সুযোগ না থাকায় পূর্ববর্তী বিসিএস পরীক্ষায় নিয়োগপ্রাপ্ত প্রায় ৮০০ জন প্রার্থী ৪৪তম বিসিএসে সমপদে কিংবা পছন্দের তালিকার নিম্নতম পদে সুপারিশ প্রাপ্ত হন। যাদের কারোরই সুপারিশপ্রাপ্ত পদে যোগদানের সম্ভাবনা নেই। ফলে মেধাবী ও যোগ্য শিক্ষিত প্রার্থীদের বেকারত্ব বাড়িয়ে দিচ্ছে।
এর আগে, গত ৩০ জুন ৪৪তম বিসিএসের ফলাফল প্রকাশিত হলে রিটকারীরা ১৪ জুলাই বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর একই দাবিতে আবেদন করেন। কিন্তু কোনো প্রতিকার না পেয়ে, মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ক্যাডার পদে পদ শূন্য না থাকায় মনোনয়ন বঞ্চিত আফজাল হোসেনসহ অন্য আরো ১০ জন হাইকোর্টে এই রিট পিটিশনটি করেন।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রক শ ত পর ক ষ য় র ফল ফল
এছাড়াও পড়ুন:
যে ১০ কারণে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে বেশি ঝগড়া হয়
একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েই বিয়ে করেন দুজন ব্যক্তি; কিন্তু একসঙ্গে থাকতে শুরু করার পর সবচেয়ে আপন এই মানুষের সঙ্গেও নানা কারণে তৈরি হয় মতবিরোধ। এক কথা, দুই কথায় বাধে ঝগড়া। বয়োজ্যেষ্ঠদের মতে, স্বামী–স্ত্রীর ঝগড়া আসলে এক জায়গায় রাখা দুটি বাসনের ঠোকাঠুকির মতো। এগুলো জীবনেরই অংশ; কিন্তু এই ঠোকাঠুকি বাড়তে দিলেই বিপত্তি। তাই দাম্পত্য জীবনে ঝগড়া কমিয়ে আনতে চাইলে প্রথমে মতবিরোধের কারণগুলো খুঁজে বের করতে হবে। বিশ্বজুড়ে কী কারণে দাম্পত্যে ঝগড়া হয় বেশি, চলুন আগে সেটিই জেনে নেওয়া যাক।
১. বোঝাপড়ার অভাবনাবিলা ও রাফি (ছদ্মনাম) দুজনেই চাকরিজীবী। কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরে ক্লান্ত নাবিলা আশা করেন, স্বামী তাঁর কাছে জানতে চাইবেন সারা দিন কেমন কাটল। কিন্তু তা না করে চুপচাপ নিজের মনে ফোন স্ক্রল করেন রাফি।
স্বামীর এমন আচরণে কষ্ট পান নাবিলা। অন্যদিকে রাফি ভাবেন, সারা দিন কাজের পর স্ত্রীর হয়তো কথা বলতে ইচ্ছা করছে না, ও একটু নিজের মতো থাকুক। দুজনের চাওয়া ভিন্ন। এভাবে নিজের প্রত্যাশার কথা না জানিয়ে দিনের পর দিন কাটাতে থাকলে মনের ভেতর ক্ষোভ জমা হতে থাকে।
আবার বাসার বাড়তি বিল নিয়ে রাফি যখন চিন্তিত, সেটিকে পাত্তা না দিয়ে হেসে উড়িয়ে দিলেন নাবিলা। এভাবে অপর পক্ষকে কষ্ট দিতে না চেয়েও কষ্ট দিচ্ছেন তাঁরা। দাম্পত্য কলহ নিয়ে ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে গবেষণা করা মার্কিন মনোবিজ্ঞানী জন গটম্যান জানান, ৬৯ শতাংশ বৈবাহিক দ্বন্দ্বের কারণ পারস্পরিক বোঝাপড়ার অভাব।
আরও পড়ুনধনীদের ৮টি অভ্যাস, যা মধ্যবিত্তদের চোখে ধরা পড়ে না১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫২. অর্থনৈতিক হিসাবএকজন বাইরে খেতে ভালোবাসেন, অন্যজন সঞ্চয়ে বিশ্বাসী। আর এতেই বাধে বিপত্তি। এ ছাড়া দুজনেই আয় করলে কে কোন খাতে ব্যয় করবেন, তা নিয়েও ঝগড়া করেন দম্পতিরা। দীর্ঘদিন ধরে দাম্পত্য বিচ্ছেদ নিয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানজিম আল ইসলাম।
অভিজ্ঞতার আলোকে এই আইনজীবী বলেন, ‘কেউ নিজের শখ পূরণ করতে গিয়ে অন্যের দিকটা ভাবছেন না, কেউ আবার নিজের ইচ্ছা–অনিচ্ছায় ক্রমাগত ছাড় দিয়েই যাচ্ছেন। সংসারে বারবার একপক্ষীয় অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে যিনি ছাড় দিচ্ছেন, তাঁর মনে অসন্তুষ্টি তৈরি হয়, যা একসময় বড় ঝগড়ায় রূপ নেয়।’
এ ছাড়া ছোটখাটো অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে গিয়েও ঝগড়া করেন দম্পতিরা। আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের গবেষণা বলছে, টাকাপয়সা নিয়ে ঝগড়া করা দম্পতিদের ৩০ শতাংশই সম্পর্কে খুশি থাকেন না।
৩. সময় না দেওয়াসঙ্গীকে সময় না দিলে দ্বন্দ্ব বাড়ে