গোপালগঞ্জ, নীলফামারী, শেরপুর ও কক্সবাজারে পানিতে ডুবে ছয় শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে শেরপুর সদর উপজেলার একটি বিলি শুক্রবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে শাপলা তুলতে গিয়ে দুইজন এবং নীলফামারীর ডোমার উপজেলার পাঙ্গা নদীতে সকালে মাছ ধরতে গিয়ে দুইজন মারা যায়।

শেরপুরে মারা যাওয়া শিশুরা হলো-  সদর উপজেলার গাজিরখামার চকপাড়া এলাকার মাসেক আলীর মেয়ে ফাহিমা আক্তার নুন (৯) এবং একই এলাকার জয়নুদ্দিনের মেয়ে জেমি (৮)। 

আরো পড়ুন:

ডোমারে নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে ২ শিশুর মৃত্যু

গোপালগঞ্জে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

এলাকাবাসী জানান, আজ সকালে নুন ও জেমি বাড়ির পাশের বলেশ্বর বিলে শাপলা ফুল তুলতে যায়। এরপর থেকে তারা নিখোঁজ ছিল। দীর্ঘ সময় বাড়িতে না আসায় পরিবারের লোকজন তাদের খোঁজাখুঁজি শুরু করে। বিকেলে বিলের মাঝখান থেকে এলাকাবাসী তাদের মরদেহ উদ্ধার করেন।

শেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জুবায়দুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার পাঙ্গা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে মারা যায় দুই শিশু। তারা কেতকীবাড়ি ইউনিয়নের তেলীপাড়া গ্রামের হানিফ সরকারের মেয়ে হুমায়রা (৬) এবং একই গ্রামের তাহেরুল ইসলামের ছেলে তৌফিক (৬)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল ১১টার দিকে তিন শিশু মশারি নিয়ে মাছ ধরতে নদীতে যায়। পানিতে নামার পর দুই শিশু ডুবে যায়। সঙ্গে থাকা অপর শিশু সিয়ামের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে ডুবে যাওয়াদের উদ্ধার করে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক দুই শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন।

কেতকীবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলাম রোমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “শিশুরা পরিবারের অজান্তে মশারি নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।”

গোপালগঞ্জে মারা যাওয়া শিশুর নাম অয়োন ঢালী (৩)। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে পরিবারের অজান্তে পুকুরের পানিতে পড়ে মারা যায় সে। অয়োন কোটালীপাড়া উপজেলার তাল পুকুরিয়া গ্রামের নারায়ণ ঢালীর ছেলে। 

কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

হাফিজুর রহমান জানান, বিকেলে অয়োন বাড়ির উঠানে খেলা করছিল। সবার অজান্তে সে বাড়ির পাশের পুকুরে পড়ে যায়। তাকে দেখতে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেন পরিবারের সদস্যরা। পরে পুকুরে থেকে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক অয়োনকে মৃত ঘোষণা করেন।

কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদী থেকে পিংকি আক্তার (১৫) নামে এক স্কুল ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে ডুবুরি দল। আজ বিকেল পৌনে ৫টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়। মারা যাওয়া পিংকি আক্তার নবম শ্রেণির ছাত্রী। সে চকরিয়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড মৌলভীরচর এলাকার আনোয়ার হোসেনের মেয়ে।

স্থানীয়রা জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাতামুহুরী নদীতে গোসল করতে নেমে তলিয়ে যায় পিংকি ও তার খালাতো দুই বোন আছমা আক্তার (১৬) ও তাসফিয়া (১২)। এসময় নদীর অপরপাশ থেকে লোকজন সাঁতরে এসে দুই বোনকে উদ্ধার করলেও পিংকি নিখোঁজ হয়। স্থানীয় লোকজন মাছ ধরার জাল দিয়ে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। পরে চট্টগ্রাম থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল গিয়ে পিংকির মরদেহ উদ্ধার করে। 

চকরিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার দিদারুল হক জানান, দুপুরে নদীতে গোসল করতে নেমে ডুবতে থাকা তিনজনের মধ্যে দুইজনকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে। পিংকি নিখোঁজ ছিল। ডুবুরি দল চট্টগ্রাম থেকে এসে পিংকির লাশ উদ্ধার করে। 

চকরিয়া বদরখালী নৌ পুলিশের ওসি আবুল কাশেম জানান, কোনো অভিযোগ না থাকায় পানিতে ডুবে মারা যাওয়া স্কুল ছাত্রীর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ফুটবল খেলে গোসল করতে নেমে একই স্থানে চকরিয়া গ্রামার স্কুলের ৫ ছাত্র পানিতে ডুবে মারা যায়। ওই এলাকায় ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালি উত্তোলন করায় সৃষ্ট চোরাবলিতে পড়ে প্রতিনিয়ত মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

ঢাকা/তারিকুল/সিথুন/ বাদল/তারেকুর/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নদ র উপজ ল র পর ব র র ম ছ ধরত চকর য় ল কজন

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ