গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুক পোস্ট দিয়ে তোপের মুখে পড়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। 

সরকারের এই আইন উপদেষ্টা তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লেখেন, “ভিপি নুরুল হক নূরের উপর বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

শুক্রবার (২৭ আগস্ট) রাত ১০টা ৫৭ মিনিটের দিকে দেওয়া আসিফ নজরুলের এই পোস্টে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মন্তব্য লেখেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। সেখানে উপদেষ্টাকে স্যার সম্বধন করলেও তাকে জবাবদিহির কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর হুঁশিয়ারি দেন তিনি। 

সরকারের দায়িত্বে থেকে হামলার নিন্দা জানানোর পাল্ট প্রশ্ন রেখে হাসনাত তার পোস্টে লেখেন, “প্রতিবাদের কাজ আপনার? ভণ্ডামি বাদ দেন স্যার। যেই জন্য বসানো হইছে সেটা না করে কী কী করছেন এসবের হিসাব দিতে হবে। কে কোথায় কীভাবে কোন কাজে বাধা দিছে, এসব খবর আমাদের কাছে আছে। এসব প্রতিবাদের ভং না ধরে কাজটা করেন।”

রাত ১১টা ৫৮ মিনিট পর্যন্ত হাসনাতের এই মন্তব্যের নিচে ৫৭ হাজারের বেশি রিঅ্যাকশন এবং প্রায় সাড়ে চার হাজার মন্তব্য পড়েছে, যার বেশিরভাগই গেছে অধ্যাপক নজরুলের বিরুদ্ধে।

রাজধানীর কাকরাইল-বিজয়নগরে সন্ধ্যা থেকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় লিপ্ত হয় জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদ। দফায় দফায় সংঘর্ষের মধ্যে উভয় পক্ষকে স্থান ছেড়ে যেতে বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে গণঅধিকারের সভাপতি সেখানে সংবাদিকদের উদ্দেশে কথা বলার চেষ্টা করলে তার ওপর লাঠিচার্জ করা হয়। 

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁনও আহত হন। আহত অবস্থার মধ্যেও মাঝে মাঝে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। চিকিৎসাধীন রাশেদ খান যান, নুরুল হক নুরের অবস্থা গুরুতর। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। 

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণঅধ ক র নজর ল

এছাড়াও পড়ুন:

হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় গেলেন নুর

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি হাসপাতাল ছাড়েন।

আরো পড়ুন:

নুরের শর্ট টাইম মেমোরি লস হয়নি: ঢামেক পরিচালক

গণঅধিকারের সমাবেশে বিভিন্ন দলের নেতা: জাতীয় পার্টিকে দ্রুত নিষিদ্ধ কর‌তে হবে

ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বিষয়টি জানিয়ে বলেন, “নুরুল হক নুরকে হাসপাতালের ভিআইপি কেবিন-১ থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। পরে বিকেল পোনে ৫টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তিনি নিজ বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হন।”

এর আগে গত ২৯ আগস্ট রাতে বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতাকর্মীদের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই দিন রাত সোয়া ৯টার দিকে সংঘর্ষ হয়, এতে গণঅধিকার পরিষদের নেতা নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন।

নুরুল হক নুরকে প্রথমে রাজধানীর ইসলামিয়া হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে রাত ১১টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি প্রায় ১৭ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় গেলেন নুর