ভারতে জাতীয় স্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা বাড়লেও, নিজের রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তার গ্রহণযোগ্যতা কমেছে। সম্প্রতি ইন্ডিয়া টুডে -সি ভোটার মুড অফ দ্য নেশন জরিপে উঠে এসেছে এমন তথ্য। জরিপে দাবি করা হয়, গত ফেব্রুয়ারি মাসের জরিপে যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রহণযোগ্যতা পশ্চিমবঙ্গে ৪৬ শতাংশ ছিল, সেটাই এখন ৩০ দশমিক ১ শতাংশে নেমে এসেছে ।

জরিপের হিসাবে ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী হলেন উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ। তার জনপ্রিয়তার হার ৩৬ শতাংশ। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যাঁর জনপ্রিয়তার হার ১২.

৫ শতাংশ। গত ফেব্রুয়ারিতে এই হার ছিল ১০.৬ শতাংশ, অর্থাৎ জাতীয় স্তরে তার গ্রহণযোগ্যতা কিছুটা বেড়েছে।

তৃতীয় স্থানে রয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের চন্দ্রবাবু নাইডু (৭.৩%)। এরপরের তালিকায় আছেন বিহারের নীতিশ কুমার (৪.৩%), তামিলনাড়ুর এম.কে. স্ট্যালিন (৩.৮%), কেরলের পিনারাই বিজয়ন (৩%), তেলঙ্গানার রেবন্থ রেড্ডি (২.৮%) এবং উত্তরপ্রদেশের মোনন যাদব (২.৭%)। প্রতিবেশী আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা নবম স্থানে রয়েছেন ২ দশমিক ১ শতাংশ জনপ্রিয়তা নিয়ে। আর মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস তালিকার দশম স্থানে (১.৭%)।

বাংলায় রাজ্য প্রশাসন, কর্মসংস্থান, দুর্নীতি ও আইনশৃঙ্খলার নানা ইস্যুতে মানুষের হতাশা এই ফলাফলে প্রভাব ফেলেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদিও এখনো বিরোধী রাজনীতির অন্যতম মুখ জাতীয় পর্যায়ে, তবুও নিজের রাজ্যে ক্রমশ কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছেন।

এদিকে নিজ রাজ্যে সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তালিকায় শীর্ষে আছেন আসামের হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তার গ্রহণযোগ্যতার হার ৪৪ দশমিক ৬ শতাংশ, যদিও ফেব্রুয়ারিতে তা ছিল ৫৫ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে আছেন ছত্তিশগড়ের বিষ্ণু দেও সাই (৪১.৯%)। সমান হারে তৃতীয় স্থানে আছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (৪১.৯%), যার গ্রহণযোগ্যতা ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় ১০ শতাংশ বেড়েছে।
 

সুচরিতা/ঢাকা

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বন দ য প ধ য য় ম খ যমন ত র র জনপ র জনপ র য়

এছাড়াও পড়ুন:

অন্তর্বর্তী সরকার না চাইলে ‘মব সন্ত্রাসের’ ঘটনাগুলো ঘটতে পারত না: বাম গণতান্ত্রিক জোট

গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশে যে ‘মব’ সন্ত্রাসের শুরু হয়েছিল, সেটা এখনো চলছে এবং নগ্ন রূপ নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা। অন্তর্বর্তী সরকার না চাইলে এমন ঘটনাগুলো ঘটতে পারত না বলেও মন্তব্য করেছেন তাঁরা। জোটের নেতারা বলেছেন, মব নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ভাব এমন যে খারাপ কিছু তো করছে না।

আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা এ কথা বলেন। মব সন্ত্রাস ও মাজার-খানকায় হামলা বন্ধসহ সুষ্ঠু-গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করে যথাসময়ে নির্বাচনের দাবিতে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে বাম জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পর যে মব শুরু হয়েছিল, সেই মব এখনো দূর হয়নি। বরং নগ্ন রূপ নিয়েছে।...তাহলে ইউনূস সাহেব (প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস) তখন কী করলেন?’

সরকার না চাইলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে না মন্তব্য করে রুহিন হোসেন বলেন, মব নিয়ে সরকারের উপদেষ্টারা আকারে-ইঙ্গিতে যা বলেন, তাতে ভাবটা এ রকম যে খারাপ কিছু করছে না। অন্তর্বর্তী সরকার এসব ঘটনার দায় এড়াতে পারবে না।

দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংস্কারের নামে শ্রমিক–কৃষক–মেহনতি মানুষের স্বার্থ রক্ষা করছেন না, কিন্তু সংবিধানের চার মূলনীতি পরিবর্তন করতে চান। অবিলম্বে নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত প্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।

‘মব’ সন্ত্রাস ও মাজার-খানকায় হামলা বন্ধসহ সুষ্ঠু-গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করে যথাসময়ে নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতা–কর্মীরা। আজ সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সংগীতশিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বাতিলের দাবি গ্রহণযোগ্য নয়: আসক
  • রাকসু নির্বাচন: ৬ দফা দাবিতে ছাত্রদলের স্মারকলিপি
  • অন্তর্বর্তী সরকার না চাইলে ‘মব সন্ত্রাসের’ ঘটনাগুলো ঘটতে পারত না: বাম গণতান্ত্রিক জোট