রূপগঞ্জের তারাবো বিশ্বরোড এলাকার পুকুর থেকে সালমান (১৬) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর লাশ ও গোলাকান্দাইল পূর্বপাড়া কাঠপট্টি এলাকার পুকুর থেকে আলমগীর হোসেন (৪০) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৩০ আগষ্ট) সকালে পৃথকস্থনে থেকে লাশ ২টি উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত সালমান উপজেলার বরাব পূর্বপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে, নিহত আলমগীর হাটাবো আতলাশপুর এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে এবং বর্তমানে গোলাকান্দাইল পূর্বপাড়া কাঠপট্টি এলাকায় বসবাস করতেন।

নিহত সালমানের বাবা আনোয়ার হোসেন জানান, সালমান স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করত, গতকাল শুক্রবার গোসল করবে বলে বাড়ি থেকে বের হয়, পরবর্তীতে সে বাড়িতে না ফিরলে আমরা সব জায়গায় তাকে খোঁজাখুজি করি কিন্তু তার কোন সন্ধান পাইনি। 

শনিবার সকালে জানতে পারি তারাব বিশ্বরোড এলাকায় একটা ছেলের লাশ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে এসে দেখি এটা আমার সন্তান সালমানের লাশ।

নিখোঁজের বিষয়ে থানায় কোন সাধারন ডাইরী করা হয়েছিলো কিনা জানতে চাইলে, আনোয়ার হোসেন বলেন আমরা এই বিষয়ে থানায় কোন অভিযোগ বা জিডি করিনি।

এদিকে গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের পূর্বপাড়া কাঠপট্টি এলাকায় পুকুরে একটি লাশ ভেসে উঠতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে ভুলতা পুলিশ ফাড়িঁর সদস্যরা এসে নিহত আলমগীরের লাশ উদ্ধার করে। 

খবর পেয়ে নিহতের আত্মীয় স্বজনরা এসে তার লাশ শনাক্ত করে জানান, পুকুরে মাছ ধরতে নেমে গতরাত্রে নিখোঁজ হয় আলমগীর। আজকে সকালে পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ । 

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে তারাবো বিশ্বরোড এলাকা থেকে সালমান নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর লাশ ও গোলাকান্দাইল পূর্বপাড়া কাঠপট্টি এলাকার পুকুর থেকে আলমগীর হোসেন নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

লাশ ২টির মৃত্যুর সঠিক কারন নির্ণয় করতে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ আলমগ র এল ক র

এছাড়াও পড়ুন:

আসামিদের হুমকিতে অসহায় মা, নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি

খুলনা মহানগরীর লবণচরার বাংলাদেশ সী ফুডস রোড এলাকার ঘের ব্যবসায়ী মো. আলমগীর হোসেন বিদ্যুৎ (২৪) হত্যা মামলার বিচার কাজ এক যুগ অতিবাহিত হলেও এখনো শেষ হয়নি। মামলার দীর্ঘ সূত্রিতার কারণে আসামিরা জামিনে বের হয়ে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছেন নিহতের পরিবারকে। তাদের বিরুদ্ধে বাদীর অপর ছেলেকে হত্যার ভয়-ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে। 

এ অবস্থায় সাক্ষীদের নিরাপত্তা দিয়ে সাক্ষ্য গ্রহণের ব্যবস্থা এবং আসামিদের অপতৎপরতা থেকে রক্ষা করে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির আহ্বান জানিয়েছেন নিহত বিদ্যুতের মা জাহানারা বেগম। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিচার বিভাগ, পুলিশ বিভাগ ও সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

আরো পড়ুন:

কেএমপির ৮ থানার ওসি রদবদল

জলবায়ু পরিবর্তন আজকের বিশ্বের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ: ইইউ রাষ্ট্রদূত

লিখিত বক্তব্যে জাহানারা বেগম বলেন, ‍“২০১২ সালের ৪ ডিসেম্বর সন্ত্রাসীরা আমার ছোট ছেলে মো. আলমগীর হোসেন ওরফে বিদ্যুৎকে (২৪) নগরীর খানজাহান আলী (র.) সেতু এলাকায় নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনার পর ৭ ডিসেম্বর আমি বাদী হয়ে খুলনা সদর থানায় হত্যা মামলা করি (মামল নং- ০৩)। মামলাটি বর্তমানে খুলনা মহানগর দায়রা জজ (মামলা নং: ৪৪৯/১৫) বিচারাধীন আছে।” 

“মামলায় লবণচরা বাংলাদেশ সী ফুডস রোড এলাকার নাজিম খলিফার দুই ছেলে আরমান খলিফা ও আরিফ খলিফা, লবণচরা মোহাম্মদীয়া পাড়া মসজিদ এলাকার আব্দুল জলিল হাওলাদারের ছেলে হারুন হাওলাদার, লবণচরা ইব্রাহীমিয়া মাদরাসা রোড এলাকার হামিদ মিস্ত্রীর ছেলে মো. সিরাজ এবং লবণচরা মোক্তার হোসেন রোড এলাকার হযরত আলী ফকিরের ছেলে বাদল ফকিরকে আসামি করা হয়। এ মামলায় আসামিরা বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারেও ছিলেন। আসামিরা জামিনে মুক্তি পেয়ে জেল থেকে বের হয়ে মামলা তুলে নিতে নানাভাবে হুমকি-ধামকি অব্যাহত রেখেছে। এই সব আসামিদের বিরুদ্ধে একাধিক থানায় বিভিন্ন মামলাও রয়েছে”, যোগ করেন তিনি।

জাহানারা বেগম অভিযোগ করে বলেন, “আমার কলিজার টুকরো সন্তানকে হত্যা করেও সন্ত্রাসীরা ক্ষ্যান্ত হয়নি। উপরন্ত জামিনে মুক্তি পেয়ে তারা এখন মামলা তুলে নিতে আমি ও আমার এক মাত্র সন্তান এবং মামলার স্বাক্ষীদের জীবননাশসহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে বারবার সাধারণ ডায়রি (জিডি) করার ফলে হত্যাকারী-সন্ত্রাসীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। যে কোন সময় তারা আমি ও আমার বড় ছেলেসহ আমার পরিবারের সদস্যদের বড় ধরণের ক্ষতি করতে পারে। এ অবস্থায় আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছি।”

তিনি আরো বলেন, “হত্যাকারী-আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ভয়ে আমি এখন পর্যন্ত খুলনা ও লবণচরা থানায় চারটি সাধারণ ডায়রি করেছি। সর্বশেষ গত ৩ মার্চও আমি লবণচরা থানায় জিডি করি। কারণ ২ মার্চ দুপুরে মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রধান আসামি আরমান তার ভাই আরিফ এবং অপর আসামি জুয়েল শেখ, হারুন হাওলাদার, সিরাজ ও বাদল ফকিরসহ আরো অনেকে আমার বাসার সামনে এসে মামলা তুলে নেয়ার জন্য ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। এমনকি তারা আমাকে ও আমার বড় ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন বিপ্লবকেও হত্যা করবেন বলেও হুমকি দেয়। এ ছাড়া, একই ধরণের ভয়ভীতি ও হুমকির কারণে আমি ২০১৪ সালের ৪ মার্চ ও ২ মে খুলনা থানায় এবং একই বছরের ৪ মে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে লবণচরা থানায় সাধারণ ডায়রি করি।”

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আসামিদের হুমকিতে অসহায় মা, নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি