রূপগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্র ও যুবকের লাশ উদ্ধার
Published: 30th, August 2025 GMT
রূপগঞ্জের তারাবো বিশ্বরোড এলাকার পুকুর থেকে সালমান (১৬) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর লাশ ও গোলাকান্দাইল পূর্বপাড়া কাঠপট্টি এলাকার পুকুর থেকে আলমগীর হোসেন (৪০) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৩০ আগষ্ট) সকালে পৃথকস্থনে থেকে লাশ ২টি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত সালমান উপজেলার বরাব পূর্বপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে, নিহত আলমগীর হাটাবো আতলাশপুর এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে এবং বর্তমানে গোলাকান্দাইল পূর্বপাড়া কাঠপট্টি এলাকায় বসবাস করতেন।
নিহত সালমানের বাবা আনোয়ার হোসেন জানান, সালমান স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করত, গতকাল শুক্রবার গোসল করবে বলে বাড়ি থেকে বের হয়, পরবর্তীতে সে বাড়িতে না ফিরলে আমরা সব জায়গায় তাকে খোঁজাখুজি করি কিন্তু তার কোন সন্ধান পাইনি।
শনিবার সকালে জানতে পারি তারাব বিশ্বরোড এলাকায় একটা ছেলের লাশ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে এসে দেখি এটা আমার সন্তান সালমানের লাশ।
নিখোঁজের বিষয়ে থানায় কোন সাধারন ডাইরী করা হয়েছিলো কিনা জানতে চাইলে, আনোয়ার হোসেন বলেন আমরা এই বিষয়ে থানায় কোন অভিযোগ বা জিডি করিনি।
এদিকে গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের পূর্বপাড়া কাঠপট্টি এলাকায় পুকুরে একটি লাশ ভেসে উঠতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে ভুলতা পুলিশ ফাড়িঁর সদস্যরা এসে নিহত আলমগীরের লাশ উদ্ধার করে।
খবর পেয়ে নিহতের আত্মীয় স্বজনরা এসে তার লাশ শনাক্ত করে জানান, পুকুরে মাছ ধরতে নেমে গতরাত্রে নিখোঁজ হয় আলমগীর। আজকে সকালে পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে তারাবো বিশ্বরোড এলাকা থেকে সালমান নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর লাশ ও গোলাকান্দাইল পূর্বপাড়া কাঠপট্টি এলাকার পুকুর থেকে আলমগীর হোসেন নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
লাশ ২টির মৃত্যুর সঠিক কারন নির্ণয় করতে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ আলমগ র এল ক র
এছাড়াও পড়ুন:
রাউজানে যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তাঁর সহযোগী গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের রাউজানে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে যুবদল কর্মী আলমগীর আলমকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় এক যুবককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার যুবক আলমগীর আলমের সহযোগী ছিলেন। গতকাল শনিবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার যুবকের নাম মুহাম্মদ রাজু (২৮)। তিনি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার মৃত নুর নবীর ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, আলমগীর আলমকে গুলি করার সময় তাঁর পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন মুহাম্মদ রাজু।
গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল বাজারসংলগ্ন কায়কোবাদ জামে মসজিদের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় আলমকে। এ সময় তাঁর স্ত্রী ও সন্তান পেছনে একটি অটোরিকশায় ছিলেন। পাশের গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন তাঁরা। আলমের বাড়ি পার্শ্ববর্তী ঢালারমুখ এলাকায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কবরস্থানে লুকিয়ে থাকা আটজন অস্ত্রধারী আলমকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা আলম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। অস্ত্রধারীরা তাঁকে হত্যার পর রাঙামাটি সড়ক দিয়ে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে পালিয়ে গেছেন। নিহত আলমের শরীরে পাঁচটি গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়।
রাউজান থানা-পুলিশ জানায়, আলম নিহত হওয়ার দুই দিন পর তাঁর বাবা আবদুস সাত্তার বাদী হয়ে ২১ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৬ থেকে ৭ জনকে আসামি করে রাউজান থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে রাজুর নাম নেই। তবে ঘটনার তদন্তে হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে।
এর আগে এ মামলায় এজাহারভুক্ত দুই আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁরা হলেন রাউজান কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ রাসেল খান (৩২) ও পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার বাসিন্দা ও যুবদল কর্মী মুহাম্মদ হৃদয় (৩০)।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, যখন অস্ত্রধারীরা আলমগীর আলমকে গুলি করার জন্য কবরস্থানে লুকিয়ে ছিলেন, তখন আলমগীর আলমের পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন রাজু। তিনি আলমগীরের সহযোগী হিসেবে পরিচিত। তবে হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। রোববার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অস্ত্র-মাদকসহ বিভিন্ন মামলায় ১২ বছর কারাগারে ছিলেন আলম। তিনি গত বছরের ৫ আগস্টের পর জামিনে মুক্তি পান। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত তিনি।