‎দেড় মাসেও সংশোধন হয়নি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অবস্থিত আবু সাঈদ স্মরণে স্থাপিত ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’।

‎জানা গেছে, ‎গত ১৬ জুলাই জুলাই শহীদ দিবসে উদ্বোধন করা হয় শহীদ আবু সাঈদ স্মরণে স্থাপিত স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প। উদ্বোধনের পর সেখানে জন্মতারিখসহ তথ্যগত নানা অসংগতি সামনে আসে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ১৮ জুলাই  আবু সাঈদের সহযোদ্ধা বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সমন্বয়ক শামসুর রহমান, সমন্বয়ক আরমান হোসেন ও আবু সাঈদের বাল্যবন্ধু মাহিদ হাসান সেটি লাল কাপড় দিয়ে ঢেকে দেন।

আরো পড়ুন:

বৈষম্য নিরসনের দাবিতে বেরোবির প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

‎তবে দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো সংশোধন করা হয়নি স্ট্যাম্পটি। প্রশাসন এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

তাদের দাবি, প্রশাসন যেন দ্রুত ভুল সংশোধন করে এবং শহীদ আবু সাঈদের স্মৃতিকে যথাযথ সম্মান প্রদান করে।

‎মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী শুভ শেখ বলেন, “দেড় মাস কেটে গেলেও আবু সাঈদ ভাইয়ের স্মরণে নির্মিত স্টিট মেমোরিটি এখনো অযত্নে পড়ে আছে। ‎সংশোধনের অভাবে এটি হারাচ্ছে সৌন্দর্য ও গুরুত্ব। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা গভীর হতাশা প্রকাশ করেছেন। তাই আমাদের  দাবি, স্মৃতিচিহ্নটি যেন দ্রুত সংস্কার করে সঠিক মর্যাদা দেওয়া হয়।”

‎জেন্ডার অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী নাঈম ইসলাম বলেন, “জুলাইয়ের মহানায়ক প্রথম শহীদ আমাদের ভাই শহীদ আবু সাইদের স্মরণে গড়া মেমোরি স্টাম্প আজো ভুলের বোঝা বইছে। দেড় মাস কেটে গেলেও সংশোধনের ছোঁয়া পায়নি এটি। এ স্তম্ভ কেবল ইট-পাথরের গাঁথুনি নয়, এটা আমাদের ইতিহাস, রক্তের বিনিময়ে পাওয়া মর্যাদার প্রতীক।”

তিনি বলেন, “অবহেলায় ঢাকা পড়ে গেলে শহীদের ত্যাগ অমর থাকে না, বরং ক্ষতবিক্ষত হয়। তাই অতি শিঘ্রই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আবু সাঈদ গেইটের সামনে নির্মিত স্টাম্পটির যথাযথ মর্যাদা সঠিক জায়গায় ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। আমরা বেরোবির শিক্ষার্থীরা আর এটিকে অবহেলা এবং অযত্নে দেখতে চাই না।”

‎এ বিষয়ে বেরোবি উপাচার্য ড.

শওকাত আলী বলেন, “এটা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে করা হয়নি। এটা করেছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও এখানকার প্রশাসন।”

তবে রংপুর জেলা প্রশাসক রবিউল ফয়সালকে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

ঢাকা/‎সাজ্জাদ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ বব দ য আম দ র স মরণ

এছাড়াও পড়ুন:

কারও ওপর আক্রমণ হলে যৌথভাবে জবাব দেবে পাকিস্তান ও সৌদি আরব

পাকিস্তান ও সৌদি আরব ‘কৌশলগত যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি’ সই করেছে। বুধবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এ চুক্তি সই করেন। চুক্তি অনুযায়ী, কোনো একটি দেশ আক্রান্ত হলে সেটাকে দুই দেশের ওপর ‘আগ্রাসন’ হিসেবে দেখবে রিয়াদ ও ইসলামাবাদ।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রিয়াদের ইয়ামামা প্রাসাদে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে শাহবাজ শরিফের বৈঠক হয়। সেখানে দুই নেতা চুক্তিতে সই করেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যৌথ প্রতিরোধ জোরদার করার লক্ষ্যে দুই দেশের নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও নিজেদের সুরক্ষিত করা এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি অর্জনের জন্য উভয় দেশের অভিন্ন প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটেছে এই চুক্তিতে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসলামাবাদ ও রিয়াদের মধ্যে ‘প্রায় আট দশকের ঐতিহাসিক অংশীদারত্ব...ভ্রাতৃত্ব ও ইসলামি সংহতির বন্ধন...অভিন্ন কৌশলগত স্বার্থ এবং ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা সহযোগিতার’ ভিত্তিতে এ চুক্তি সই করা হয়েছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর বলেছে, দু্ই পক্ষ ও তাদের প্রতিনিধিদল উভয় দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক ও কৌশলগত সম্পর্ক পর্যালোচনা করেছে। একই সঙ্গে দুই পক্ষের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কয়েকটি বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে।

এর আগে সৌদি আরব সফররত শাহবাজ শরিফ ইয়ামামা প্রাসাদে পৌঁছালে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান সৌদি যুবরাজ। এ সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পরে সৌদি আরবের যুবরাজের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে বৈঠক করেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ