এবার দুদকের জালে ডিআইজি গাজী মোজাম্মেল দম্পতি
Published: 31st, August 2025 GMT
চাকরিকালে ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে এন্টি টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত ডিআইজি গাজী মো. মোজাম্মেল হক ও তার স্ত্রী ফারজানা মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক সত্যতা খুঁজে পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক জানায়, গাজী মোজাম্মেল হকের জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ১১ কোটি ৬৮ লাখ ৯৪ হাজার ৬৯ টাকার সম্পদ রয়েছে। এবং তার স্ত্রী ফারজানার অবৈধ সম্পদ রয়েছে ১১ কোটি ৬৮ লাখ ৯৪ হাজার ৬৯ টাকার। দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে মোজাম্মেল দম্পতির বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য মিলেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে মোজাম্মেল দম্পতিকে সম্পদ বিবরণীর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশ অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের সম্পদের হিসাব দিতে হবে।
রবিবার (৩১ আগস্ট) দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান।
দুদক জানায়, গাজী মোজাম্মেল হক ১৭তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বাংলাদেশ পুলিশ ক্যাডারে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে ১৯৯৮ সালে চাকরিতে যোগ দেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে পদোন্নতি প্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি পদে এন্টি টেররিজম ইউনিটে কর্মরত আছেন।
অনুসন্ধানকালে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে গাজী মো.
তার নামে ২২ কোটি ৯৬ লাখ ৪১ হাজার ৯৭৫ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। একই সময়ে তিনি ৪ কোটি ৫২ লাখ ৭০ হাজার ৪০৭ টাকার পারিবারিক ব্যয়সহ অন্যান্য ব্যয় করেছেন। ব্যয়সহ তার মোট অর্জিত সম্পদের পরিমাণ ২৭ কোটি ৪৯ লাখ ১২ হাজার ৩৮২ টাকা। উক্ত সম্পদ অর্জনের বিপরীতে তার বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয়ের উৎস পাওয়া যায় ১৫ কোটি ৮০ লাখ ১৮ হাজার ৩১৩ টাকা। এ ক্ষেত্রে তার নামে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ ১১ কোটি ৬৮ লাখ ৯৪ হাজার ৬৯ টাকা।
অন্যদিকে তার স্ত্রী ফারজানা মোজাম্মেলের রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় তিনি আয়কর দাতা। তার নামে ৫ কোটি ৫৮ লাখ ১৮ হাজার ২৬ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। একই সময়ে তিনি ২ কোটি ৭৩ লাখ ১৫ হাজার ৮৬৯ টাকার পারিবারিক ব্যয়সহ অন্যান্য ব্যয় করেছেন। ব্যয়সহ তার মোট অর্জিত সম্পদের পরিমাণ ৮ কোটি ৩১ লাখ ৩৩ হাজার ৮৮৯ টাকা। উক্ত সম্পদ অর্জনের বিপরীতে তার বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয়ের উৎস পাওয়া যায় ৫ কোটি ৪৫ লাখ ৯০ হাজার ৯০৩ টাকা। এ ক্ষেত্রে তার নামে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি ৮৫ লাখ ৪২ হাজার ৯৮৫ টাকা।
আরও অধিকতর অনুসন্ধানের জন্য মোজাম্মেল দম্পতিকে সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম জ ম ম ল হক ম ম ল দম প ত স থ বর দ অর জ
এছাড়াও পড়ুন:
অন্তর্বর্তী সরকার না চাইলে ‘মব সন্ত্রাসের’ ঘটনাগুলো ঘটতে পারত না: বাম গণতান্ত্রিক জোট
গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশে যে ‘মব’ সন্ত্রাসের শুরু হয়েছিল, সেটা এখনো চলছে এবং নগ্ন রূপ নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা। অন্তর্বর্তী সরকার না চাইলে এমন ঘটনাগুলো ঘটতে পারত না বলেও মন্তব্য করেছেন তাঁরা। জোটের নেতারা বলেছেন, মব নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ভাব এমন যে খারাপ কিছু তো করছে না।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা এ কথা বলেন। মব সন্ত্রাস ও মাজার-খানকায় হামলা বন্ধসহ সুষ্ঠু-গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করে যথাসময়ে নির্বাচনের দাবিতে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে বাম জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পর যে মব শুরু হয়েছিল, সেই মব এখনো দূর হয়নি। বরং নগ্ন রূপ নিয়েছে।...তাহলে ইউনূস সাহেব (প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস) তখন কী করলেন?’
সরকার না চাইলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে না মন্তব্য করে রুহিন হোসেন বলেন, মব নিয়ে সরকারের উপদেষ্টারা আকারে-ইঙ্গিতে যা বলেন, তাতে ভাবটা এ রকম যে খারাপ কিছু করছে না। অন্তর্বর্তী সরকার এসব ঘটনার দায় এড়াতে পারবে না।
দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংস্কারের নামে শ্রমিক–কৃষক–মেহনতি মানুষের স্বার্থ রক্ষা করছেন না, কিন্তু সংবিধানের চার মূলনীতি পরিবর্তন করতে চান। অবিলম্বে নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত প্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
‘মব’ সন্ত্রাস ও মাজার-খানকায় হামলা বন্ধসহ সুষ্ঠু-গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করে যথাসময়ে নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতা–কর্মীরা। আজ সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে